FREELANCERS IT
https://www.freelancersit.com/2023/08/how-to-apply-for-pension-online.html
সর্বজনীন পেনশনের জন্য আবেদন করার নিয়ম | How to Apply for Pension Online
বাংলাদেশ সরকার সবার জন্য সর্বজনীন পেনশন সুবিধা চালু করে দিয়েছেন। আপনি যদি এই সুবিধা নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে অনলাইন এর মাধ্যমে একটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আর আপনারা টাকা পরিশোধ করতে পারবেন অনলাইনে। কি কি শর্তে এবং কিভাবে সম্পন্ন করবেন সেই সম্পর্কে আমি এই পোস্টটি তে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। অবশ্যই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
সর্বজনীন পেনশন সুবিধা চালু করতে কি করতে হবে?
সর্বজনীন পেনসন সুবিধার চালু করতে আপনাকে প্রথমে অনলাইনে একটা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তাই আপনাকে অবশ্যই যে কোন একটি ব্রাউজারে চলে যেতে হবে আপনার মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে। ব্রাউজারে আসার পরে আপনি সার্চ বারে সার্চ দিবেন UPENSION.GOV.BD লিখে। সার্চ করবেন এবং সার্চ করার পরে আপনাদের কাছে একটা ইন্টারফেস ওপেন হবে।
এখানে দেখানো থ্রি লাইনে ক্লিক করবেন ক্লিক করার পরে আপনার সামনে নতুন আরেকটা ইন্টাফেস ওপেন হবে।
এখান থেকে আপনি পেনশনার রেজিষ্ট্রেশন এ ক্লিক করবেন এর পর আপনার সামনে নতুন ইনফরমেশন ওপেন হবে।
এই গুলো আপনি ভালো করে পড়ে নিবেন। দেখেন এখানে কিন্তু স্পষ্ট করে বলা আছে যে কোনো ভুল তথ্য প্রদান করলে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে এবং আপনার জমাকৃত অর্থ আর ফেরত দেওয়া হবে না।
এখন আপনাকে যেটা করতে হবে।
আপনাকে যেটা করতে হবে। প্যাকেজ / স্কিম নির্বাচন করুন এখানে ক্লিক করবেন। ক্লিক করার পরে উপরের ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে, প্রবাস, সমতা , সুরক্ষা, প্রগতি দেওয়া আছে। প্রবাস বলতে এখানে যারা দেশের বাহিরে মানে প্রবাসী আর সমতা বলতে বোঝাচ্ছে যে,
যারা স্বল্প আয় করেন তাদেরকে বোঝাচ্ছে। স্বল্প আয়ের ব্যক্তি কারা যারা দরিদ্র সীমার নিচেঅবস্থান করছেন তাদের জন্য এই সমতা।আয় টা নির্ধারণ হবে এইভাবে যে, আপনার আয় যদি বাৎসরিক ৬০ হাজার এর নিচে হয় তাহলে আপনি সমতাতেই আবেদন টা করবেন।
তারপরে যেটা থাকছে সেটা হলো সুরক্ষা, সুরক্ষা বলতে বোঝাচ্ছে, ধরেন আপনি নিজেই কোনো কাজ করছেন যেমন আপনি ছোটো খাটো ব্যবসা করছেন বা আপনি ফ্রিল্যান্সিং করছেন। আবার আপনি কৃষিকাজ করছেন। তাহলে সুরক্ষাটা আপনার জন্যই।
সবশেষে যেটা থাকছে সেটা হলো প্রগতি। প্রগতি হচ্ছে, আপনি কোনো বেসরকারি চাকরি করেন বা আপনার কোনো প্রতিষ্ঠান আছে।
আমরা সুরক্ষা দিয়ে কাজ শুরু করব। তো আমারা সুরক্ষাতে ক্লিক করবো। তারপর
আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর আর যারা দেশের বাহির থেকে করবেন তারা তাদের পাসপোর্ট নাম্বার দিবেন। তারপর আপনার জন্ম তারিখ, মোবাইল নাম্বার আর আপনার ইমেইল আইডি দিয়ে ক্যপচা টাইপ করবেন। টাইপ করে পরবর্তী পেইজ এ ক্লিক করেন। তারপরে, আপনার ফোনে
একটা কোড যাবে। সেই কোডটা বসাতে হবে। তারপরে পরবর্তী পেইজ এ ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পরে। আপনার সামনে আপনার সব ব্যক্তিগত তথ্য চলে আসবে। এখান থেকে আপনাকে আপনার বাৎসরিক আয় আর পেশা সিলেক্ট করে দিতে হবে।
এরপর সব ঠিক ঠাক থাকলে আমরা পরবর্তীতে ক্লিক করবো
এখানে বলা হচ্ছে আমারা এখানে মাসে কত টাকা করে চাঁদা দিবো। সেটা সিলেক্ট করার কথা বলা হচ্ছে। এখানে আপনি চাইলে আপনি ১ হাজার বা ২ হাজারো করতে পারবেন। আপনার আরেকটি জিনিস দেখতে পাচ্ছেন যে, চাঁদা পরিশোধের ধরন। আপনি চাইলে মাসে মাসে দিতে পারবেন এবং তিন মাস পরপর বা বার্ষিক ভাবে দিতে পারবেন।
এরপর আপনার কাছে আপনার ব্যাংক এর তথ্য চাইবে।
এখানে আপনাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে রাখি। আপনার ব্যাংক একাউন্ট কিন্তু আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এর নামে ব্যাংক একাউন্ট খোলা থাকতে হবে। তা নাহলে কিন্তু আপনার তত্যগুলো ভুল প্রমিাণিত হবে। আর আপনার সমস্ত টাকা নষ্ট হয়ে যাবে।
আচ্ছা ব্যাংক একাউন্ট এর তথ্য সবকিছু ঠিক ভাবে দেওয়ার পরে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবো। তারপর আপনার কাছে নমীনির তথ্য চাইবে।
এখানে আপনি নমীনির তথ্য সঠিকভাবে দিবেন আর আপনি চাইলে একের অধিক নমীনি যোগ করতে পারবেন। নমীনির সঠিক তথ্য দেওয়ার পরে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে দিবেন।
এরপর আপনাকে এতক্ষন যতো তথ্য দিয়েছেন সকল কিছু একসাথে আপনাকে দেখানো হবে।
এখান থেকে আপনি আপনার সব তথ্য ডাউনলোড করে রাখতে পারবেন। আর আপনার সব তথ্য ঠিকঠাক থাকলে টিক মার্ক দিয়ে আবেদন সম্পূর্ণ করুন এ ক্লিক করলেই কিন্তু আপনার আবেদন সাবমিট হয়ে যাবে।
অবশেষে আমার আবেদন করা শেষ। এখন আমাকে টাকা পরিশোধ করতে বলছে।
টাকা পরিশোধ করবো কিভাবে?
টাকা পরিশোধ করার জন্য আমাকে এখানে বলা হচ্ছে আমাকে কত টাকা পরিশোধ করতে হবে। নিচে লিখা আছে আবেদন সংশোধন করূন এখানে ক্লিক করে কিন্তু আপনি আপনার আবেদন এ ভুল হলে সংশোধন করতে পারবেন।
আর আপনি যদি পেমেন্ট করতে চান তাহলে পেমেন্ট করূন এই বাটনে একটা ক্লিক করে দিবেন । তারপরে,
আপনার সামনে এই রকম একটা ইন্টাফেস আসবে। এখানে আপনি চাইলে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমেও দিতে পারবেন। আপনি বিকাশ এর মাধ্যমে দিতে চাইলে মোবাইল ব্যাংকিং এ ক্লিক করে বিকাশে যেভাবে টাকা দেন সেইভাবে দিবেন। তারপরে,
এখন আপনি আপনার পেমেন্ট স্লিপ ডাউনলোড করে নিবেন। তারপরে আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হলো আপনাকে একটা ইউজার তৈরী করতে হবে।
ইউজার তৈরী করতে নিচে দেখানো বাটনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার সামনে যে টা আসবে,
দেখেন এখানে কিন্তু আপনার ইউজার আইডিটা দেখাচ্ছে। এটা আপনি সুন্দর করে সংরক্ষন করে রাখবেন। তারপরে আপনি আপনার পাসওয়ার্ড সেট করে দিবেন । তারপর ইউজার তৈরী করূন এখানে ক্লিক করে দিবেন। তারপর
এখন আপনি ঠিক আছেতে ক্লিক করে দিবেন। তারপর আপনি আপনার ইউজার আইডি দিয়ে লগইন করে নিবেন। তাহলে আপনি আপনার যাবতীয় তথ্য দেখতে পারবে।
এই সুবিধা কাদের জন্য
বাংলাদেশের নাগরিক ১৮ থেকে ৫০ বয়সের মানুষেরা এই পেনশন সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে শর্ত সাপেক্ষে এর বেশি বয়স হলেও আবেদন করতে পারবেন।
এই সুবিধা সরকারী কোনো কর্মকর্তা নিতে পারবে না।
আরও পড়ুনঃ
চাঁদা দাতার ৬০ বছর হওয়ার পরে তিনি কিভাবে পেনশন পাবে?
চাঁদা দাতার বয়স ৬০ বছর হওয়ার পরে তার ব্যাংক হিসাব বা তার মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে তাকে পেনশন দেওয়া হবে।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন