google.com, pub-8571279523475240, DIRECT, f08c47fec0942fa0 Freelancers IT | Learn More About Freelancing and Outsourcing

sfd

বাংলাদেশ স্মার্টফোন ব্যবহারে পিছিয়ে আছে পাকিস্থান-নেপালের চেয়ে

বর্তমান যুগে স্মার্টফোনের ব্যবহার বেড়ে চলেছে অতি দ্রুত গতিতে। স্মার্ট ফোন ছাড়া এখন কিছুই ভাবাই যায় না। এখন প্রায় প্রতিটি মানুষের হাতে হাতে লক্ষ্য করা যায় স্মার্ট ফোন। যতদিন যাচ্ছে স্মার্টফোনের ব্যবহারও তেমনি বেড়েই চলেছে। 


জি,এস,এম'র আন্তর্জাতিক মোবাইল ফোন অপারেটর সংগঠন "মোবাইলনির্ভর ডিজিটাল অর্ন্তভূক্তি" এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয় ।

উপমহাদেশের অন্যান্য দেশগুলোর ন্যায় বাংলাদেশেও বেড়ে চলেছে স্মার্টফোনের ব্যবহার। বাংলাদেশের ৪১ শতাংশ লোক স্মার্টফোন ব্যবহার করে। তবে এটি উপমহাদেশের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। বাংলাদেশের মানুষ ফোন ব্যবহার করলেও স্মার্ট ফোনের ব্যবহার কম। কারণ স্মার্টফোনের ওপর উচ্চ কর ধার্য্য থাকার কারণে এর মূল্য একটু বেশি হওয়ায় স্মার্টফোনের ব্যবহার অনেকাংশ কম। 

আন্তর্জাতিক মোবাইল ফোন অপারেটর সংগঠন জিএসএম'র "মোবাইলনির্ভর ডিজিটাল অন্তর্ভূক্তি" শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উঠে আসে। 

জিএসএমএ ও বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব কর্তৃক গত ৩০ মার্চ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায়  প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় স্মার্টফোন ব্যবহারে ভারত, পাকিস্থান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের তুলনায় অনেকাংশ এগিয়ে রয়েছে। স্মাটফোন ব্যবহারে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে ভারত সর্বোচ্চ ৬৯ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার কারী নিয়ে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। তাছাড়া শ্রীলঙ্কায় ৬০ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী নিয়ে ২য় স্থান, নেপাল ৫৩ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী নিয়ে ৩য় স্থান ও পাকিস্থান ৫১ শতাংশ স্মাটফোন ব্যবহারকারী নিয়ে ৪র্থ স্থানে আছে।

যেখানে বাংলাদেশে রয়েছে ৪১ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী। ১৭ কোটি মোবাইল ফোন সংযোগের ৫৪ শতাংশ লোক প্রকৃত ব্যবহারকারী বা ইউনিক ইউজার। এর মধ্যে ৫৯ শতাংশ লোক এখনো স্মার্টফোন ব্যবহার করে না। 

জিএমএসএ'র প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছেন যে "ফোর-জি" নের্টওয়ার্ক সেবার মান বেড়েছে। জিএমএসএ'র তথ্য অনুযায়ী ফোর-জি নের্টওয়ার্ক সেবায় বাংলাদেশে ২য় স্থানে আছে। ২০১৮ সাল থেকে দেশে ফোর-জি নের্টওয়ার্ক চালু হলেও ২০২০ সালে সেটা বৃদ্ধি পেয়ে ৯৫ শতাংশ এসে দাঁড়িয়েছে।

ফোর-জি নের্টোয়ার্ক ব্যবহারের দিক দিয়ে ভারতে রয়েছে ৯৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৯৩ শতাংশ, পাকিস্থানে ৮০ শতাংশ এবং নেপালে ৭৫ শতাংশ এলাকায় ফোর-জি নের্টওয়ার্ক ব্যবহার হয়ে থাকে। 

বাংলাদেশ ফোর-জি নের্টওয়ার্ক সেবায় ২য় স্থানে থাকলে বাংলাদেশের ফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে ২৮ শতাংশ মানুষ ফোর-জি ব্যবহারকারী, ২৫ শতাংশ মানুষ থ্রি-জি ব্যবহারকারী এবং ৪৭ শতাংশ মানুষ এখনও টু-জি নের্টওয়ার্ক  ব্যবহার করে আসছে। 

জিএসএমএ'র প্রতিবেদনে প্রকাশিত তালিকায় ভারত থ্রি-জি ও ফোর-জি নের্টওয়ার্ক ব্যবহার ও সেবায় প্রথম স্থানে। ভারত ৬৮ শতাংশ দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৬০ শতাংশই ফোর-জি নের্টওয়ার্ক সেবা গ্রহণ করে। বাংলাদেশে যেখানে তিন ভাগের দুই ভাগ ফোন ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না।

উক্ত প্রতিবেদনে আরও প্রকাশিত হয় যে, ভারতসহ অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মোবাইল কর অনেক বেশি। টোটাল কস্ট অব মোবাইল ওনারশিপ (টিসিএমও) কর বাংলাদেশে ৩৫ শতাংশ এবং ভারতে ২৫ শতাংশ এবং পাকিস্থানে সবথেকে কম ২৩ শতাংশ।

বাংলাদেশে প্রতিটি সিমের উপর ২০০ টাকা কর ধার্য্য করা হয় এবং মূল সংযোজন কর (ভ্যাট) এর সাথে শুল্ক হারও রয়েছে। যে কারণে বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের মূল্য অত্যাধিক বেশি বলে প্রতীয়মান হয়। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

as