google.com, pub-8571279523475240, DIRECT, f08c47fec0942fa0 Freelancers IT | Learn More About Freelancing and Outsourcing

sfd

১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ২০২৩

১৫ই আগস্ট হত্যাকান্ড

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাঙালি জাতির পিতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় । ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একটি মাত্র বৈধ রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন।

১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ২০২৩

এর ফলে দেশে সামগ্রিক অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন ঘটতে থাকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অভাবনীয় উন্নতি হয়, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য দ্রুত কমাতে থাকে, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দেয়। ঠিকই এমনি সময় সংঘটিত হয় ১৫ আগস্টের নির্মম নৃশংস হত্যাকাণ্ড।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের উপস্থিত সকল সদস্য হত্যাকান্ডের শিকার হন। ১৯৭৫সালে ১৫ই আগস্ট ভোর রাতে নিজ বাসভবন ধানমন্ডির 32 নম্বর বাড়িতে কতিপয় আদর্শ সেনা কর্মকর্তার যোগসাদ সে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।

সে রাতে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা, জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল, মেজো পুত্র শেখ জামাল, কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রুজি জামাল, বঙ্গ বন্ধুর ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তার কন্যা বেবি সেরনিয়াবাত, পুত্রআরিফ, দৌহিত্র সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু, ভাতুস্পুত্র শহীদ সেনিয়া বাত ।

বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব কর্নেল জামিল আহমেদ বঙ্গবন্ধু ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং চৌদ্দ বছরের কিশোর রিন্টু সহ ১৬ জনকে ঘাতকরা হত্যা করে। বিদেশে অবস্থান করার কারণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ঘাতকরা নির্মম হত্যাকাণ্ড শেষে।

কঠোর সামরিক নিরাপত্তার মধ্য বঙ্গবন্ধুকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এবং অন্যদেরকে বনানী কবরস্থানে দাফন করে। বঙ্গবন্ধু নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর খন্দকার নেতৃত্বে ঘাতকদের ক্ষমতায় আসীন হয়। এর পরপরই দেশের সামরিক শাসন জারি হয়।

যদিও সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন সময় চাকরিচ্যুত কিছু সেনা সদস্য কর্তৃক এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় তবুও এর সাথে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত দেশি-বিদেশি শক্তি ও এদের প্রতিক্রিয়াশীল সহযোগী গোষ্ঠীর যে সংশ্লিষ্টতা ছিল, তা এখন বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা যায়। মূলত এটি ছিল একটি ষড়যন্ত্রমূলক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।

ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধু কর্তৃক একটিমাত্র বৈধ রাজনৈতিক দল গঠনকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত সাময়িক বিভ্রান্তিকর রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নেয়। এই হত্যাকাণ্ড কেবল একজন বা কয়েকজন ব্যক্তিকেই হত্যা করা ছিল না, এই হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল একটি আদর্শকে হত্যা করা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধে চেতনাকে শুধু সংবিধান থেকে নয়, বাঙালি মন থেকে মুছে ফেলা। স্বভাবতই হত্যাকাণ্ড টি ছিল সুপরিকল্পিত। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক আজও বিদ্যমান।

১৫ই আগস্ট যারা শহীদ হয়েছিলেনঃ

১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সালে সেই কাল রাতে শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়নি এর সাথে আরও অনেককে হত্যা করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবথেকে ছোট যে সদস্য শেখ রাসেল কেউ ছাড় দেওয়া হয়নি।

শেখ রাসেল ঘাতকদেরকে বলেছিল আপনারা আমাকে মারবেন না আমাকে আমার হাসু আপার কাছে পাঠিয়ে দিন আমি সেখানে তাদের কাছেই থাকব। কিন্তু তার এ আর্তনাদ কেউ শুনেনি তাকে তার মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নিচে নামিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।

সেই রাতে যাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল তারা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা,

এসবি অফিসার সিদ্দিকুর রহমান, কর্নেল জামিল, এবং সেনা সদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হককে। ঠিক একই সময়ে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মণির বাসায় হামলা করে সেরনিয়াবাত ও তার কন্যা, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজিব সেরনিয়াবাত, আত্মীয় বেন্টু খান।

আজ কততম শোক দিবসঃ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ। আজ থেকে ৪৬ ছয় চল্লিশ বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বয়স কত ছিলঃ

জন্মঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৭ ই মার্চ ১৯২০ ‍টুঙ্গীপাড়া, গোপালগঞ্জ মহকুমা । ফরিদপুর জেলা বাংলা প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত ( বর্তমান ‍টুঙ্গীপাড়া উপজেলা গোপালগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশ )

মৃত্যুঃ ১৫ ই আগস্ট ১৯৭৫ ( বয়স ৫৫ ) নিজস্ব বাসভবন,৩২ নং সড়ক, ধানমন্ডি ঢাকা বাংলাদেশ।

মৃত্যুর কারণঃ গুপ্ত হত্যা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

as