google.com, pub-8571279523475240, DIRECT, f08c47fec0942fa0 Freelancers IT | Learn More About Freelancing and Outsourcing

sfd

১৫ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে ৫টি সেরা স্মার্টফোন ২০২৩

এই মুহূর্তে শুধু যারা 15 থেকে 20 হাজার টাকার মধ্যে সেরা স্মার্টফোন কিনতে চান আজকের ব্লগটি শুধুমাত্র তাদের জন্য। কারণ আমি বেশ কিছুদিন ধরে ঘেঁটে ঘুঁটে মার্কেট এনালাইস করে এই মুহূর্তে 15 থেকে 20 হাজার টাকা প্রাইস রেঞ্জ এ সেরা স্মার্টফোন এর মধ্যে সেরা 5 টি স্মার্টফোন নিয়ে হাজির হয়েছি।
১৫ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে ৫টি সেরা স্মার্টফোন ২০২৩

এই স্মার্টফোন গুলো অন্যান্য স্মার্টফোনগুলো থেকে দাম কম, ক্যামেরা, ডিসপ্লে, চিপসে্‌ট ব্যাটারী, চার্জার সবদিক থেকে এগিয়ে থাকছে। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন সেই পাঁচটি স্মার্টফোন নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলা যাক।

১. Redmi 10 Prime :

নাম্বার ওয়ানে যে স্মার্টফোন নিয়ে আমি আলোচনা করব সেটা হচ্ছে সকলের প্রিয় ব্যান্ড, রেডমি নিয়ে আলোচনা করব। রেডমি 10 প্রাইম । এই স্মার্টফোনটা 4/64 ভেরিয়েন্ট এ আনঅফিসিয়াল প্রাইস ধরা হয়েছে 15 হাজার 500 টাকা। অফিশিয়ালি 4/64 ভেরিয়েন্ট প্রাইস 19 হাজার 500 টাকা। 
Xiaomi Redmi 10 Prime 2022
এখন এই 15 হাজার পাঁচশত টাকার স্মার্টফোন থেকে আমরা যা পাচ্ছি সেটা হয়ত এতদিন আমাদের কল্পনাতে ছিল। কিন্তু রেডমি আমাদের বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে দিয়েছে। কারণ আমরা একটা স্মার্ট ফোন চাই কি? খুব একটা ভালো ডিজাইন, যা ফোনটিতে রয়েছে এবং ডিসপ্লেটাও পান্সফুল হতে হবে। এটাও কিন্তু এখানে রয়েছে।

ডিসপ্লেতে ফুল এইচডি প্লাস রেজুলেশন হতে হবে এবং রিপ্ফেসার থাকতে হবে। এটাও কিন্তু ফোনটা তে রয়েছে । তারপরও যদি আমরা চিপসেট এর দিকে যাই, এখানে কিন্তু লোওয়ার বাজেটে খুব পাওয়ারফুল গেমিইং চিপসেট অর্থাৎ মিডিয়াটেক হেলিও জি 88 রয়েচে। আমরা ক্যামেরাতে যদি যাই এখানেও কিন্তু ভাল সেট আপ লাগবে বাট এখানেও কিন্তু ফিফটি মেগাপিক্সেলের কর্ডিয়াল ক্যামেরা থাকছে যাতে কিন্তু আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরাও থাকছে ।

মানে এটা একটি অবিশ্বাস্যকর ব্যাপার যে, 15500 টাকার স্মার্টফোনে এখানে আল্ট্রা ওয়াইড সেন্সর, ফিফটি মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দেওয়া হচ্ছে। ক্যামেরার কোয়ালিটিও ভালো। তারপরও যদি আমরা এখানে ফিঙ্গারপ্রিন্টের কথা বলি ফাইন ।সাইট মার্চ ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও কিন্তু রয়েছে। তবে এটা কিছুটা স্লো। এখন দেখেন ব্যাটারি সেকশনে ভাবতে পারেন 5 হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার বেশি দেওয়ার কোন একটি কথাই নেই। কারণ এতকিছু কি দেওয়া সম্ভব? কিন্তু এই স্মার্টফোনটতে কেন জানি তারা 6000 মিলি এম্পিয়ার ব্যাটারী দিয়েছে একটা বিপুল পরিমাণের ব্যাকআপ ।

মানে আপনি 8 ঘন্টা স্কিন অন টাইম পাবেন। বুঝতে পারছেন? অনেকটা হিউজ ব্যাকআপ পাবেন। এখানে কিন্তু 18 ওয়ার্ডের ফাস্ট চার্জার কিন্তু দেওয়া আছে। যদিও এটা চার্জ করতে আড়াই ঘণ্টার কিছু বেশি সময় লেগে যায়। সব মিলিয়ে আমি একটা কথা আপনাদের বলতে পারি, যেটা আমাদের কল্পনাই থাকে, এইটাই কিন্তু আমরা এই বাজেটের মধ্যে পেয়ে যাচ্ছি। মানে এর কমপিটিটর আশেপাশে খুব একটা খুঁজে পাবেন না।

২. Redmi Note 11:

নাম্বার টু তে যে স্মার্টফোনটি নিয়ে আলোচনা করব,  সেটা কিন্তু এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মার্কেটে জাতীয় ফোন বলতে পারেন। মানে আমি বোঝাতে চাচ্ছি রেডমি নোট এলিভেন । এই স্মার্টফোনটা বর্তমানে 4/64 ভেরিয়েন্ট এ আনঅফিশিয়ালী 16000 থেকে 16500 টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। আর অফিশিয়ালি এইটা 19 হাজার 300 টাকার মধ্যে 4/64 ভেরিয়েন্ট টা পেয়ে যাবেন। তাই এখানে একটা চমক রয়েছে যে এখানে কিন্তু সমস্ত কন্ডিশন অর্থাৎ আমাদের মনের যে চাহিদা সবগুলোই এখানে পূরণ করতে পারছে।
Xiaomi Redmi Note 11
এখানে ফুল এইচডি প্লাস রেজুলেশনের অ্যামোলেড ডিসপ্লে থাকছে। 90 হার্জ এ রিফ্রেসার থাকছে।তারপর ডিজাইন টা দেখলে আপনার খুবই ভালো লাগবে। সামনের দিকে পান্সফুল রয়েছে। তারপর যদি চিপসেটের দিকে যান। এখানেও কিন্তু আপনাকে ফুললি স্যাটিসফাইড করবে। কারণ এখানে স্ন্যাপড্রাগন এর 680 চিপসেট দেওয়া হয়েচে।  যা ৬ ন্যানোমিটার চিপসেট। ৬ ন্যানোমিটার হওয়াতে এখানে হিটিং ইস্যু কিন্তু খুবই কম ।

এখানে ব্যাটারি ব্যাকআপ ও কিন্তু অনেক বেশি পাবেন। তার পর যদি ফোনটি ক্যামেরার দিকে যাই এখানে ফিফটি মেগাপিক্সেলের এর কোয়াড ক্যামেরা অর্থাৎ চারটা ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স ও কিন্তু রয়েছে এবং থার্টিন মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা রয়েছে। এ জায়গাতে কিন্তু বাজিমাত করে দিয়েছে।

ব্যাটারি সেকশন ও 5000 মিলি এম্পিয়ার ব্যাটারী দিয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বাজিমাত করেছে  33 ওয়াটের ফাস্ট চার্জার দিয়ে। যেটা আমরা এই 16500  বা 16000 টাকার প্রাইস রেঞ্জ এ আনঅফিশিয়ালি বা  অফিশিয়ালি 19300 টাকার মধ্যে খুব একটা ভাবতে পারিনা। সেই হিসাবে রেডমি কিন্তু এই জায়গাতে বাজিমাত করে দিয়েছে। তাই আপনি যদি এই বাজেটের মধ্যে কোন ফোন ইউজ করতে চান তাহলে এটাকে অবশ্যই চয়েস করতে পারেন। 

৩. Realme Nazro 50:

আমাদের পরের ফোনটি রিয়েলমির পক্ষ থেকে মানে রিয়েলমি নাজরো ফিফটি। আগের যে দুইটি ফোনিএর কথা বলেছি, এই দুইটি ফোন নর্মাল ইউজের জন্য বলা হয়েছিলো। কিন্তু আপনি যদি পনের হাজার কিংবা 16 হাজার টাকার ভিতরে গেমিং এর জন্য স্পেশালি কোন ফোন নিতে চান তাহলে রিয়েলমি নাজরো ফিফটি আপনার জন্য পারফেক্ট। কারণ এইটা আন অফিসিয়ালি 4/64 ভেরিয়েন্ট এর প্রাইস ধরা হয়েছে 15 হাজার আটশত টাকা।
Realme Nazro 50
আরেকটা যদি আপনি অফিশিয়ালি নিতে চান তাহলে 4/64 ফ্রেন্ডের জন্য দাম পড়বে 17999 টাকা । আরে 18,000 টাকার মধ্যে আপনি পেয়ে যাচ্ছেন ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে। সাথে পাচ্ছেন 120 হার্জ রিফেসরেট। সেটা কিন্তু আমরা আগের দুইটা ফোনে পাইনি। এর ডিজাইন কিন্তু আপনাকে 100% সন্তুষ্ট করবে বাজেট বিবেচনায়। তারপর ফোনটি যদি চিপসেটের দিকে যাই , এখানে কিন্তু সব থেকে বড় ধামাকা। এখানে দেওয়া হয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও গেমিং প্রসেসর G96 ।

যেটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মার্কেটে গেমিং এর জন্য ভাবাই যায় না ,যে 16 হাজার টাকা বা 18 হাজার টাকা প্রাইস রেঞ্জ যে একটি স্মার্টফোন থেকে। তাই যারা গেমিং করতে চান, তারা এই বাজেটে যদি কোন স্মার্ট ফোন কিনে তাদের জন্য এটা একদম পারফেক্ট। তারপর এখানে যদি ক্যামেরার দিকে যাই, তাহলে এখানে ফিফটি মেগাপিক্সেলে এ আই ট্রিপল ক্যামেরা থাকছে এবং এখানে থার্টিন মেগাপিক্সেলের এর সেলফি ক্যামেরা থাকছে। ব্যাটারি এবং চার্জারে এর ক্ষেত্রেও কিন্তু অনেক ভালো করেছে। 5000 এম্পিয়ার ব্যাটারী এর সাথে 33 ওয়াটের চার্জার সরবরাহ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এই স্মার্টফোনটি এ বাজেটের মধ্যে গেমারদের জন্য একদম পারফেক্ট।

৪. Infinix Hot 20s:

এবারের ফোনটি আমাদের ইনফিনিক্স এর পক্ষ থেকে অর্থাৎ ইনফিনিক্স হট 20এস। এই ফোনটি 8/128 ভ্যারিয়েন্ট এ অফিশিয়াল প্রাইস ধরা হয়েছে 18000 টাকা। আর এই টাকার মধ্যে গেমিং এর জন্য ভালো মানের একটা ফোন পেয়ে যাচ্ছেন আপনারা। এর ডিজাইন যে কারো খুব সহজে ভালো লাগবে। আর এখানে ডিসপ্লে হিসাবে থাকছে 6.৭ ইঞ্চি ফুল এইচডি প্লাস রেজুলেশনের ডিসপ্লে। সাথে 120 হার্জ রিফ্রেশরেট। তাই ডিসপ্লে সেকশনটাও আপনার কাছে ভালো লাগবে।

Infinix Hot 20s
আর চিপসেট হিসেবে এখানে থাকছে মিডিয়াটেকের হেলিও G96 । এটা নিয়ে আমি আগেও বলেছি গেমিং এর জন্য এই বাজেটে খুবই ভালো মানের চিপসেট। তারপর যদি আমি ক্যামেরার দিকে যাই, ফিফটি মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে ট্রিপল ক্যামেরা রিয়ারে। 8 মেগাপিক্সেল এর সেলফি ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে । ক্রামেরার কোয়ালিটিও বাজেট বিবেচনায় বিচার-বিশ্লেষণ করে মোটামুটি পারফেক্ট লেগেছে। যদিও গেমিং ফোন গুলোতে ক্যামেরা কোয়ালিটি ততটা ভাল হয় না। এভারেজে ছিল বলা যায়।

তারপরও ফোনটিতে 5000 মিলি এম্পিয়ার ব্যাটারী সাথে 33 ওয়ার্ড ফাস্ট চার্জার ইউজ করা হয়েছে। তাই গেমিং এর জন্য খুবই পারফেক্ট। স্টোরেজ থাকছে, ই অফাইস 2 থাকছে। আর সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে আগের ফোনগুলোতে কিন্তু আমরা স্টোরেজ ভেরিয়েন্ট পাইনি। এখানে কিন্তু আমরা গেমিং এর জন্য বলেন বা মাল্টিটাস্কিং এর জন্য বলেন ফোনটিকে ফাস্ট ইউজ করার জন্য 8 জিবি রাম পাচ্ছি এবং 128gb রম পাচ্ছি । তাই আপনার কাছে যদি এই স্টোরেজ ভেরিয়েন্ট ইম্পর্টেন্ট মনে হয়, তাহলে এই ফোনটি অবশ্যই আপনার পছন্দের লিস্টে রাখতে পারেন।

৫. Realme 9:

এবারের স্মার্টফোনটি রিয়েলমি 9 । স্মার্টফোনটা কিন্তু আমরা 20000 হাজার প্রাইস রেঞ্জের মধ্যে রাখতে পারলাম না। 1000 টাকা বাড়াতে হচ্ছে অর্থাৎ এটা 21 হাজার টাকায় 4/64 ভেরিয়েন্ট এর প্রাইস। এ ফোনটাকে আমাদের লিস্টে রাখার অন্যতম একটি কারণ হলো যারা খুবই একটা কম্প্যাক্ট ফোন পছন্দ করেন। যেমন এটার ডিসপ্লে সাইজ হচ্ছে 6.4 ইঞ্চি এবং এটা 178 গ্রাম ওজন। যার ফলে ফোন টাও কিন্তু সাইজে ছোট এবং লাইট ওয়েট। একারণে কিন্তু এই ফোনের একটি বিশেষত্ব রয়েছে। তারপর অন্যান্য স্পেসিফিকেশন গুলোও কিন্তু এই বাজেটের মধ্যে খুব একটা খুঁজে পাবেন না।

Realme 9
যেমন এতে সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে থাকছে এবং 90 হার্জ এর রিফ্রেশরেট। সেই সাথে যদি আমরা চিপসেটের দিকে যাই এখানে স্ন্যাপড্রাগন এর 680 চিপসেট থাকছে। রেডমি নোট এলিভেন এ বলেছি । আমরা যদি এই ফোনের ক্যামেরার দিকে যাই এখানে কিন্তু অন্যান্য সমস্ত ফোন থেকে বাজিমাত করে দিয়েছে। কারণ এখানে রিয়ারে 108 মেগাপিক্সেল এর ট্রিপল ক্যামেরা দেওয়া হচ্ছে এবং সিক্সটিন মেগাপিক্সেল এর সেলফি ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। তাই আপনারা যদি এই বাজেটের মধ্যে ২০ হাজার থেকে 21 হাজার টাকার মধ্যে ছবি তোলার জন্য খুব ভালো একটা ফোন খুঁজে থাকেন, সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে যদি চান তাহলে অবশ্যই এই ফোন রাখতে পারেন। কারণ ক্যামেরা খুবই ভালো মানের ছবি তুলতে পারে ।

তারপরে 5000 মিলি এম্পিয়ার এর ব্যাটারি তারপর 33 ওয়ার্ডের ফাস্ট চার্জার। তাই এই দিক থেকে কোন কমতি নাই। তাই সব মিলিয়ে বলতে পারি 20 হাজার থেকে 21 হাজার টাকার প্রাইস রেঞ্জ এর মধ্যে কমপ্লিট প্যাকেজ । তাই আমি 20 হাজার টাকা প্রাইজের ফোন প্রাইস না করে 21000 টাকা চলে গিয়েছি। তাই আমার মনে হয় ,যে ফোনগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এই মুহূর্তে আপনি বাংলাদেশের মার্কেট ঘেটেও আসলে এর থেকে ভাল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরিশেষে, আপনার বাজেট যদি 15 থেকে 20 হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে আপনি এখান থেকে যেকোন একটি ফোন চয়েজ করতে পারেন।

আরও জানুনঃ
এই পোস্টটি আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করুন। এরকম আরো উপকারি পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

as