google.com, pub-8571279523475240, DIRECT, f08c47fec0942fa0 Freelancers IT | Learn More About Freelancing and Outsourcing

sfd

ইউটিউবার হতে কি কি লাগে?

আমাদের প্রায় সবার আশা যে আমরা নিজেরা কিছু করবো। এটা কিভাবে করবো। এখন অনেকেই ইউটিউবার হতে চাচ্ছে কিন্ত সঠিক গাইডলাইন এবং হতাশায় পড়ে ব্যর্থ  হচ্ছে। আবার কেউ ভাবছেন ইউটিউবার হতে  গেলে অনেক দামি ক্যামেরা লাগে আবার কেউ ভাবছেন অনেক দামি কম্পিউটার লাগবে ভিডিও এডিটিং এর জন্য। আপনারা যদি এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন যে ইউটিউবার হতে কি কি লাগে। 

ইউটিউবার হতে কি কি লাগে?

ইউটিউব আসলে কি?
ইউটিউব হলো সান ব্রুনো,ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক একটি বৈশ্বিক অনলঅইন প্লাটফর্ম সেবার সাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, যা ২০০৫ সালের ফেব্রয়ারিতে প্রকাশিত হয়। ইউটিউব বর্তমানে একটি গুরূত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম, ২০০৬ সালের অক্টোবরে, গুগল সাইটটিকে ১.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে কিনে নেয়। বর্তমানে ইউটিউব এর মাধ্যমে অনেক বেকার ছেলে মেয়ে ভিডিও তৈরী করে সাবলম্বী হচ্ছে।

ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করা যায়?
ইউটিউব আমাদের মতো অকেককেই ধনী বানিয়ে দিয়েছেন। আমরা যে ভিডিও তৈরী করি এবং ইউটিউব এ আপলোড করি। এটার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখায়। আর মূলত এই বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমেই ইউটিউব আমাদের টাকা দিয়ে থাকে। আমরা হয়তো ভোবতেছি মাসে কত টাকা আয় করতে পারবো এই ইউটিউব থেকে। এই আয়টা আসবে আপনার জনপ্রিয়তার উপর আপনার ভিডিও যতো বেশি মানুষ দেখবে ততো বেশি আয় করতে পারবেন । এটার কোনো লিমিট নাই যে আপনাকে মাসে ইউটিউব থেকে এত টাকা দেওয়া হবে। 

ইউটিউব থেকে কত ভাবে আয় করা যায়
ইউটিউব থেকে িঅনেক ভাবে আয় করা যায়। তার মধ্যে চারটি মাধ্যমে বেশি আয় করা যায়। 
  • বিজ্ঞাপন দেখিয়ে।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং
  • বিভিন্ন পন্যর রিভিউ
  • SEO
ইউটিউব এর আয় কি হালাল?
এই বিষয়টা নির্ভর করতেছে আপনার ভিডিও তৈরীর উপরে। আপনি যদি হালাল কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করেন। তাহলে আপনার আয় হবে হালাল উপায়ে। আর কন্টেন্ট যদি হারাম হয় তাহলে আপনার আয় ও হবে হারাম উপায়ে। আপনিই বুঝতে পাবেন আপনার আয় হালাল হচ্ছে নাকি হারাম হচ্ছে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন। 

 ইউটিউবার হতে কি কি লাগে? 

অনেকেই মনে করেন যে ইউটিউবিং শুরু করতে গেলে অনেক দামী ক্যামেরা, মাইক্রোফোন বা অন্যান্য দামী জিনিস পত্রের দরকার হয়! বস্তুতপক্ষে এই ধারণা সম্পুর্ণ সত্য নয়। আপনার কাছে যদি একটা নরমাল এন্ড্রয়েড ফোন থাকে তাহলেও কিন্তু আপনি ইউটিউবিং শুরু করতে পারেন। আর আপনার হাতে যদি টাকা থাকে। তাহলে কি কি জিনিস কিনে আপনি আপনার ইউটিউব জার্নি শুরু করলে শুরুর দিকে আপনি আপনার প্রোফেশনাল লুক পাবেন সেইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

অর্থাৎ আজকের এই পোস্টটিতে  আপনাদের সাথে আলোচনা করব যে আপনারা ইউটিউবিং করতে বা ফেসবুকিং করতে কি কি গ্যাজেট লাগবে। ইউটিউব বা ফেসবুক এর ভিডিও মেক করার জন্য যদি আপনার কাছে টাকা থাকে তাহলে আপনি অনেকগুলো দামী গ্যাজেট বা গিয়ার কিনে নিতে পারেন।আর যদি আপনার কাছে টাকা না থাকে বা আপনি একদম জিরো থেকে শুরু করতে চান তাহলে একটা স্মার্ট ফোন নিবেন।

কারণ স্মার্ট ফোন দিয়ে আপনি চ্যানেল খুলতে পারবেন। পেইজ খুলতে পারবেন। চ্যানেল পরিচালনা করতে পারবেন। ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। এইটা দিয়ে আপনি ভয়েস রেকর্ড করতে পারবেন। আবার এইটা দিয়েই আপনি ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। তার মানে আপনি একটা স্মার্ট ফোন দিয়ে মোটামুটি সব কিছুই করতে পারবেন। যখন একটা স্মার্ট ফোন থাকবে তখন আপনি আরো একটা গেজেট বাড়ানোর জন্য। 

আর সেটা হল মাইক্রোফোন। কারণ আপনি যে ক্যাটাগরির ভিডিও তৈরি করেন না কেন আমাদের প্রত্যেকটাতেই কিন্তু ভয়েস কভার করতে হয়। ব্যাকগ্রাউন্ডে হোক বা ক্যামেরার সামনে হোক, আমাদেরকে কিন্তু মাস্ট বি ভয়েস কভার দিতে হয়। আর অডিও কোয়ালিটিটা কিন্তু একটা ভিডিওর ক্ষেত্রে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বলতে পারেন আপনার ভিডিওতে অডিও ৫০%। ওকে। আপনার কাছে যদি টাকা থাকে তাহলে দামি মাইক্রোফোন কিনে নিবেন। 

আর যদি টাকা না থাকে তাহলে ঠিক 800 থেকে 1000 টাকার ভেতরে একটা মাইক্রোফোন কিনে নিবেন। যখন আপনি ব্লগিং বা বাইরে শুট করার জন্য কোন মাইক্রোফোন কিনবেন তখন অবশ্যই ওয়ারলেস মাইক্রোফোন কিনবেন। আর আপনি যদি মনে করেন ভয়েস কভার দিবেন তাহলে কিন্তু আপনার ভয়েসটা অনেক বেশি ইম্পরট্যান্ট সেক্ষেত্রে আপনি একটা দামী মাইক্রোফোন কিনতে পারেন।সেটা ২০ হাজার টাকার মধ্যে হলে ভালো হয়। যেমন এন টি- ইউ এস বি রয়েছে । 

এই ধরনের মাইক্রোফোনগুলো অনেক ভালো ভয়েসের জন্য। যদি আপনার কাছে মাইক্রোফোন কেনার টাকা একদমই না থাকে তাহলে এই স্মার্ট ফোন দিয়ে রেকর্ড করে এড অফ প্রকাশ নামে একটা ওয়েবসাইট হয়েছে সেখানে গিয়ে যদি আপনারা এটাকে মডিফাইড করেন তাহলে কিন্তু একটা প্রফেশনাল লেভেলের ভয়েস পেয়ে যাবেন। 

Making Vlog: শুরুতেই আপনাদেরকে বলি যে ব্লগিং ভিডিও করতে কি কি লাগবে? যদি আপনি চান যে স্মার্টফোন দিয়ে ব্লগিং করবেন তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনি দেখবেন যে ফোনের ক্যামেরাটা কেমন। এবং এই স্মার্টফোনে স্টেবিলেশন আছে কিনা? জিনিসগুলো দেখে কিন্তু আপনারা স্মার্টফোনটা কিনবেন। আর যদি মনে করেন আপনারা ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও শুট করবেন তাহলে অবশ্যই ক্যামেরার সাথে একটা গিম্বল কিনে নিবেন। 

কারণ গিম্বল যেকোনো আনেস্টেবল সিচুয়েশনে ফুটেচ কে স্টেবল করতে পারে। যদি আপনার মনে হয় যে আপনি মটর ব্লগিং করবেন তাহলে অবশ্যই অ্যাকশন ক্যামেরা কিনবেন। তারপর যদি আপনি চান আরো ইনভেস্ট করবেন তাহলে অবশ্যই একটা ড্রোন ক্যামেরা কিনতে পারেন। এক্ষেত্রে আমি আপনাদেরকে বলবো যে DGA এর ক্যামেরাগুলো কিনবেন। 

For Indoor: যদি আপনি ইনডোরে সুট করেন তাহলে আপনার প্রথমে যে জিনিসটা প্রয়োজন এটা হল একটা রিং লাইট। যদি আপনার বাজেট কম থাকে আর কি! বস্তুতপক্ষে রিং লাইট এর মধ্যে আপনি লাইটও পেয়ে যাচ্ছেন এবং সেখানে কিন্তু আপনি আপনার মোবাইল রেখেও ভিডিও তৈরি করতে পারছেন। আর যদি আপনার বাজেট একটু বেশি থাকে এবং একটা ক্যামেরা থাকে তাহলে অবশ্যই একটা ট্রাই পোড কিনে নিবেন । দুইটা সফট বক্স কিনতে পারেন। যখন একটা সফট আলো এসে পড়বে তখন কিন্তু ভিডিওটা অনেক সুন্দর হবে। 

For Table Shoot: আর আপনি যদি কোন প্রকার ড্রয়িং ভিডিও করেন অর্থাৎ আপনার ক্যামেরাটা উপর থেকে ধরতে হয় তাহলে অবশ্যই আপনি একটা ওভারহেড ড্রাই পড কিনে নিবেন। 

For vedio edit: যাই হোক এতোক্ষন তো ভিডিও থেকে বিভিন্ন এক্সারসিুজে নিয়ে কথা বললাম যে আসলে কোন কোন গ্যাজেট বা গিয়ার থাকলে আপনারা ভিডিও সুট করতে পারবেন।

এখন বলি ভিডিও টা edit করতে কি কি প্রয়োজন? যদি আপনার smart phoneদিয়ে ভিডিও edit করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনারা cap cut ইউস করবেন। অথবা Kinemaster ব্যবহার করতে পারেন।কারণ এই দুইটা এপ্স দিয়ে কিন্তু মোটামুটি আপনারা একটা vedio সুন্দরভাবে এডিট করতে পারবেন। আর যদি আপনারা computer দিয়ে এডিট করতে চান তাহলে অবশ্যই filmora ইউস করতে পারেন।

filmora এই সফটওয়্যার টি খুব ইজি। আর যদি আপনাদের এডভান্স লেভেল এর ভিডিও এডিট করা প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই adobe primiere pro ইউস করবেন। মুলত কোন কোন এক্সারসিরিজ ইউস করে আপনারা ভিডিও মেক করতে পারবেন সেই সম্পর্কে বুঝাতে পেরেছি।
 
উপসংহারঃ
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ইউটিউবার হওয়া যায় । আর ইউটিউবার হতে কি কি লাগে। ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

as