google.com, pub-8571279523475240, DIRECT, f08c47fec0942fa0 Freelancers IT | Learn More About Freelancing and Outsourcing

sfd

ইউটিউবে সফল হওয়ার উপায় | How to Get Success in YouTube

Facebook এবং youtube এ ভালো মানের ভিডিও তৈরি করেও ছোট বড় কিছু ভুলের কারণে আপনি একজন ব্যর্থ কনটেন্ট ক্রিয়েটর । আপনার ক্যাটাগরিতে আপনার চেয়ে বাজে ভিডিও আপলোড করেও অনেকেই সফল । কোন ভুল গুলোর কারনে আপনার কনটেন্ট  ক্রিয়েশনে  এই বাজে অবস্থা। আমি আমার এই দীর্ঘ ইউটিউব জার্নির আলোকে আপনাদেরকে বলবো যে  আসলে কিভাবে আপনারা সেই ভুলগুলোকে  সমাধান করে একজন সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটরে পরিণত হবেন । 

ইউটিউবে সফল হওয়ার উপায়

ইউটিউবে কিভাবে সফল হবেন?

চলুন কথা না বেড়িয়ে পোস্টটা শুরু করা যাক । নতুন চ্যানেল খোলার পর মোটামুটি আমরা  কম বেশি সবাই একটা ভুল করি । আমিও শুরুর দিকে করেছিলাম যে কাউকেই পেলাম ফ্রেন্ডস ফ্যামিলি বা আত্মীয়-স্বজন তার ফোনে কিন্তু আমার চ্যানেলটাকে লাইক এন্ড সাবস্ক্রাইবার করে দিচ্ছি। ওকে এই যে সাবস্ক্রাইব টা করে দিচ্ছি এটা কিন্তু চরম একটা ভুল ।


এখন আপনি বলতে পারবেন না আমার সাবস্ক্রাইব বাড়ছে এই সাবস্ক্রাইবার বারাবার কোন দরকার নেই । আপনি যে মোবাইল থেকে সাবস্ক্রাইব করছেন সে কিন্তু কখনো আপনার ভিডিও দেখবে না। সে  ইন্টারেস্টেড না সুতরাং দেখা গেল আপনি কোন একটা ভিডিও আপলোড করার সাথে সাথেই  তার মোবাইলে পৌঁছালো ফেসবুক বা ইউটিউব । কিন্তু সে তো ইন্টারেস্টেড না সে ভিডিওটা দেখলো না ।


আর যখন সে ভিডিওটা দেখলো না তখন ফেসবুক বা ইউটিউব ধরে নিল আপনার ভিডিওটা কোয়ালিটি ফুল হয়নি যে কারণে সেই ভিডিওটা সে দেখে নি সাবস্ক্রাইব করার পরেও । যে কারণে আপনি পরবর্তীতে ভিডিও আপলোড করার পরেও তার কাছে পৌঁছাবে না তা কিন্তু না । ফেসবুক বা ইউটিউব মনে করবে এটা কোয়ালিটি ফুল ভিডিও না । যার ফলে আপনার ভিডিওটা রিস অনেক কমে দিবে ।


যার ফলে আপনার ভিউ টা একদমই পড়ে যাবে । সুতরাং এই ক্ষেত্রে আমি বলব কেউ যদি আপনার ভিডিওটা ইন্টারেস্ট হয়ে দেখে এবং সাবস্ক্রাইবার করে সেটাই বেস্ট । আপনি কাউকে দিয়ে এভাবে সাবস্ক্রাইব করাবেন না এটা কিন্তু ফলাফলটা মোটেই ভালো পাবেন না । সময়ের সাথে সাথে আমরা কিন্তু অনেক চালাক হয়ে গেছি অর্থাৎ নিজের ভিডিও নিজে দেখি বা ফ্যামিলির অন্য কাউকে দিয়ে দেখায় বা কোন ফ্রেন্ড এর মোবাইল দিয়ে দেখায় এরকম করি অনেক কিছুই ।


আর এইটা কিন্তু মোটেই ঠিক নয় । আপনি আপনার ফোন দিয়ে ভিডিওটা দেখছেন না ঠিক আছে কিন্তু আপনি যে রাউটার ইউজ করছেন বা লাইন ইউজ করছেন সেই একই লাইন থেকে যখন কোন একটা লোক ওই ভিডিওটা সম্পূর্ণ দেখবে তখন কিন্তু ফেসবুক বা ইউটিউব এর রোবট সে মেক আইডিটা ট্রেক করে ফেলবে যে এইটা একই রাউটার থেকে ভিডিওটা দেখছে ।  তার মানে এই ভিডিওটা ইনটেনশনালি দেখা হচ্ছে । যার ফলে কিন্তু এটাকে তারা একটা নেগেটিভ মার্ক হিসাবে দেখবে এবং ভিউ টাকে অনেক কমে দিবে ।


সুতরাং আপনারা কখনোই নিজের ভিডিও নিজেদের দিয়ে দেখাবেন না ।  ইন্টেশনালি একই রাউটার বাকি লাইন থেকে কখনো ভিডিওটা দেখা যাবে না ।


কনটেন্ট ক্রিয়েশনে ব্যর্থ হওয়ার পিছনে এখন যে একটা কারণ  ব্যাখ্যা করব আমার মনে হয় যে এটা প্রায় সবাই করে থাকে । এবং আমিও কিন্তু এটা করে এসেছি । ধরেন আমি যে ক্যাটাগরির ভিডিওটা আপলোড করছি আমার কাছে মনে হচ্ছে এডিটিং প্রেজেন্টেশন সবকিছুই বেস্ট । কিন্তু আমি যখন শুরু করেছি আমার কাছে বেস্ট মনে হচ্ছে বা আপনার কাছে বেস্ট মনে হচ্ছে । কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমার আপনার ভিডিওর কোয়ালিটির চেয়ে সেম অনেক ভালো কোয়ালিটির ভিডিও ফেসবুক বা youtube এ রয়েছে ।


সুতরাং এটা কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না । আমরা নতুন নতুন ভিডিও আপলোড করছি যা আমার কাছে বা আপনার কাছে বেস্ট লাগছে । সুতরাং এই ক্ষেত্রে আমাদের নিরপেক্ষভাবে ঠিক করতে হবে আমাদের চেয়ে কে ভালো কনটেন্ট তৈরি করছে এবং আমাদের দেখতে হবে তার চেয়েও যেন আমরা ভালো করতে হলে আমাদের কি কি করতে হবে সেগুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে ।


ওকে তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন । অনেককেই বলতে দেখবেন যে ভিডিওর লেন্থ বেশি থাকলে ভিউ বেশি আসবে হ্যাঁ আমি এই কথাটার সাথে একমত । কিন্তু এইটা করতে গিয়ে আমরা যে ভুলটা করে ফেলি সেটা হচ্ছে আমাদের কনটেন্টের আসলে ডিউরেশন হয় চার থেকে পাঁচ মিনিট ।  কিন্তু আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না ভিডিওটাকে আরো বড় করলে ভিউ বেশি আসবে সেই জন্য আমরা এই পাঁচ মিনিটের  কনটেন্ট  টেনে হিঁচড়ে ১০ মিনিট বা ১৫ মিনিটে নিয়ে যায় ।


আর যখন এটাকে ১৫ মিনিটে নিয়ে যায় তখন কিন্তু একটা মানুষের ইনটেনশন  থাকেনা ৫ মিনিটের টা চায় ৫ মিনিটে দেখতে পারলে সে চায় এটা তিন মিনিটে দেখতে । কারণ অনলাইনে ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে মানুষের বেশি ধৈর্য থাকে না । সেই ক্ষেত্রে যখন আমরা এটা ১৫ মিনিটে নিয়ে যায় তখন দেখা যায় সেই ভিডিওটা সেই ব্যক্তির তিন মিনিটে বা ৫ মিনিট দেখেই ভিডিওটা কেটে দিচ্ছে । আর এই যে ভিডিওটার পার্সেন্ট টেন্স ফেসবুক বা ইউটিউব এর রোবট বিবেচনা করে যে আসলে একটা লোক ভিডিওটা কত পারসেন্ট দেখলো বা কত পারসেন্ট সময় দেখলো ।


টাইম  বিচার বিশ্লেষণে সে ১০% দেখেছে বা ৫% দেখেছে বা ২% দেখেছে বা ২০% দেখেছে । সুতরাং এটাকে সে কিন্তু ভালোভাবে নেয় না কারণ ভিডিওটার যে লেন্থ রয়েছে সে অনুপাতে কিন্তু এটা তার জন্য পারফেক্ট না । যার ফলে কিন্তু এই ভিডিওটা রিচ কমে দেয় । হ্যাঁ তবে যদি  আপনি ১০ মিনিটের ভিডিও  ১০ মিনিটেই ছাড়তে পাড়েন এবং মানুষের এটেনশনটা ফুল ভিডিওটা থাকে তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন । আমরা ফেসবুক বা ইউটিউব চ্যানেল খুলেই দৌড়াতে থাকি যে কিভাবে আমাদের সাবস্ক্রাইবার বাড়বে কিভাবে ফলোয়ার আসবে বা কিভাবে দ্রুত ভিউ আসবে  ।


আর এটার জন্য দৌড়াতে দৌড়াতে অনেকেই যে কাজটা করে থাকি সেটা হচ্ছে ফলোয়ার কিনে ফেলি সাবস্ক্রাইবার কিনে ফেলি এবং অনেকেই কিন্তু ভিউ ও কিনে ফেলি । আর এটা কিন্তু একটা চ্যানেলের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ । আপনাকে প্রথমেই গুরুত্ব দিতে হবে আপনার কোয়ালিটির  প্রতি মানে আপনার কনটেন্ট এর কোয়ালিটির প্রতি  । তারপর এখানে রেগুলার ভিডিও আপলোড করে যেতে হবে ধৈর্য সহকারে আর আপনি যদি সাবস্ক্রাইবার ফলোয়ার এবং এর পেছনে দৌড়ান তাহলে কিন্তু আপনার চ্যানেল গ্রো করবে না ।  যার ফলে আপনার চ্যানেলে ভিউ আসবে না আর আপনি একসময় ব্যর্থ হয়ে ইউটিউবিং এবং কনটেন্ট  ক্রিয়েটর  এর পেশাটা ছেড়েই  দিবেন ।  


দিন দিন ফেসবুক বা youtube এর কমিউনিটি গাইডলাইন কিন্তু অনেক বেশি জটিল হচ্ছে । সুতরাং আমরা এই কমিউনিটি গাইডলাইনের সম্পর্কে না জেনেই কনটেন্ট  ক্রিয়েশনে চলে আসি । সে কারণে আমরা ভালো কন্টাক্ট তৈরি করলেও আমরা সফল হতে পারি না । ধরেন আপনি খুব ভালো ফুটবল খেলেন। কিন্তু আপনি ফুটবলের নিয়ম কানুন সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আপনাকে কোন একটা মাঠে নামিয়ে দেওয়া হল কিন্তু আপনি যতই ভালো খেলেন সফল হতে পারবেন না ।


কারন আপনি তো জানেন না কোথায় বল লাগলে হ্যান হবে । কোথায় গিয়ে গোল করা যাবেনা বা কাকে হচ্ছে ফাউল করা যাবে না ।  এই বিষয়গুলি যদি আপনারা না জানেন তাহলে আপনি যতই ভালো খেলেন সফল হতে পারবেন না। সুতরাং কনটেন্ট ক্রিয়েশনের ক্ষেত্রেও কিন্তু একই জিনিস এরকম কমিউনিটি গাইডলাইন আছে যেগুলো অবশ্যই আপনাকে ভালো করে পড়তে হবে । ধরেন কোন ভিডিও আপনাকে আপলোড করা যাবে না । 


দেখছেন যে অন্য একজন আপলোড করেছে তাকে  আসলে কপিরাইট  ক্লেম দিচ্ছে না আপনাকে দিচ্ছে । আবার আপনি একটা সাউন্ড ব্যবহার করছেন তাতে কপিরাইট আসতেছে বা আপনার ভিডিওতে  কমিউনিটি গাইডলাইন ভঙ্গের অভিযোগ আসতেছে অন্যর একটা ভিডিওতে আসছে না এই বিষয়গুলো আপনাকে অবশ্যই পড়তে হবে । যেহেতু আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েশনটাকে পেশা হিসেবে নিতে যাচ্ছেন তাই আপনাকে দুই থেকে চারদিন এটা নিয়ে স্টাডি করতে হবে ।


আপনি গুগলে সার্চ দিলেই কিন্তু তাদের কমিউনিটি গাইডলাইন সম্পর্কে জানতে পারবেন বা ইউটিউবে সার্চ দিলেও ভালো একটা আইডিয়া পাবেন। আর এই আইডিয়া নিয়ে যদি আপনি শুরু করতে পারেন তাহলে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আপনি যদি এই কারণে ব্যর্থ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই ব্যর্থতার মুখ কাটিয়ে সফলতাকে দেখতে পাবেন । আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে আপনাকে কনটেন্ট  ক্রিয়েটরে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে কোন বিষয়ে । 


তাহলে আমি বলি অনেক বিষয়েই আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটা রাখতে হবে সেটা হচ্ছে ধৈর্য। কারন আমাদের বেশিরভাগ লোকেরই ধৈর্য থাকে না । দেখা গেল আমি খুব ভালো  কনটেন্ট তৈরি করছি আমি একাধারে পাঁচটা দশটা বা বিশটা কন্টেন্ট তৈরি করেছি । তৈরি করার পর আমি দেখি না আমার চেয়েও অনেক লো কোয়ালিটির কনটেন্ট তৈরি করেও অনেক বেশি ভিউজ পাচ্ছে সাবস্ক্রাইবার পাচ্ছে কিন্তু আমি কোন পজিশনে যেতে পারছি না । যে কারণে অনেকে রাগ করে দেখা গেল আর কনটেন্ট ক্রিয়েশনটা  এগিয়ে  নিয়ে যায় না ।


এক্ষেত্রে আমি আপনাদের বলবো  কনটেন্ট ক্রিয়েশন বা প্রতিযোগিতার যে মার্কেট বলতে পারেন ফেসবুক বা ইউটিউবকে। এখানে যদি আপনাকে এগিয়ে যেতে হয় বা টিকে থাকতে হয়, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য নিয়ে দীর্ঘ সময় কনটেন্ট  তৈরি করে যেতে হবে । আর এই দীর্ঘ সময় পড়ে গিয়ে কিন্তু আপনি সফলতার দেখা পাবেন । আর যখন আপনি  সফলতার দেখা পাবেন আর তখন শুধু কনটেন্টক্রিয়েট করেই যাবেন আপনাকে আর পিছনে যেতে হবে না ।


জাস্ট আমি আপনাদের শেষ কথাটা বলব যে আপনাকে ধৈর্য নিয়ে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কাজ করতে হবে । ভিডিও আপলোড করার ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই বড় একটা ভুল করি যে মিক্স কন্টেন্ট আপলোড করে দেই । যেমন কেউ একজন ব্লগ নিয়ে ভিডিও করছে সে কোন একটা প্রাকৃতিক পরিবেশে যাচ্ছেন বা কোন একটা হিস্টোরিক্যাল প্লেসে  গিয়ে ভিডিও করছে ।


ভালো ভিউজ পাচ্ছে সাবস্ক্রাইব পাচ্ছে । এখন সে মনে করছে ব্লগ ভিডিও এখন আমি একটা প্রোডাক্টের ব্লগ ভিডিও করতে পারি আবার দেখা গেল বাসায় এসে ফ্যামিলিদের সাথে একটা ব্লক ভিডিও তৈরি করলাম এরকম করে দেখা গেল । সে যেখানে যাচ্ছে সেখানে একটা করে ব্লক ভিডিও আপলোড করছে। সে মনে করছে আসলে ব্লগ তো হলেই হচ্ছে। কিন্তু সেরকম না। ধরেন যে ব্যক্তি আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব করেছিল যে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দেখবে আপনার ব্লগের মাধ্যমে ।

হিস্টোরিকাল প্লেসে গুলা দেখবে সে কিন্তু আপনার এ প্রোডাক্ট এ ব্লগে ইন্টারেস্ট না বা ফ্যামিলি ব্লগে সে ইন্টারেস্টট না। যার  কারণে আপনি ভিডিও আপলোড করার পরে তার কাছে নোটিফিকেশন গেলে বা ভিডিও গেলে সে কিন্তু দেখেনা । আর তখনই কিন্তু ফেসবুক বা ইউটিউব এর রোবট দেখবে সে সাবস্ক্রাইবার হলেও আপনার ভিডিওতে এসে ইন্টারেস্টেড না। যার ফলে বেশ কয়েকটা ভিডিও তার সামনে শো করবে  কিন্তু সে দেখবে না। সেই ক্ষেত্রে পরবর্তীতে আপনি ভিডিও আপলোড করলে তার কাছে কিন্তু আর রিচ করবে না । 


আর জানুনঃ

এর ফলে আপনি যতই ভালো ভিডিও আপলোড করেন না কেন  আপনার ভিডিওতে কিন্তু খুব বেশি ভিউজ আসবেনা । সুতরাং এই ক্ষেত্রে আপনাকে মিক্স কনটেন্ট আপলোড করা যাবে না । এরকম করেই আপনাকে ভিডিওগুলো দেখে সতর্কতার সাথে আপলোড করতে হবে । তাহলে কিন্তু আপনার চ্যানেলের ভিউস আপনি ধরে রাখতে পারবেন এবং ক্রমান্বয়ে ভিউ টা বাড়াতে পারবেন । সুতরাং আজকের মত এই ব্লগ পোষ্টটি এখানেই শেষ । ধন্যবাদ। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

as