google.com, pub-8571279523475240, DIRECT, f08c47fec0942fa0 Freelancers IT | Learn More About Freelancing and Outsourcing

sfd

কি-ওয়ার্ড রিসার্চ। ব্লগারদের প্রাথমিক গাইডলাইন

  কি-ওয়ার্ড রিসার্চ মূলত কিছু শব্দের অভাবে আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইটের ভেতরকার অবস্থা নাজেহাল হয়ে যায়। আর তাই সঠিক কি-ওয়ার্ড বাছাই করে সেই অনুযায়ী কাজ করাটা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। 

তাই আজকের আমাদের বিষয় হচ্ছে কীভাবে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়। তাই আপনার ব্লগিংকে আরো উন্নত করতে চাইলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।


কি-ওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword Research)

সর্বপ্রথম কি-ওয়ার্ড রিসার্চ সম্পর্কে বলার আগে জানতে হবে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ আসলে কী! কি-ওয়ার্ড হচ্ছে আপনার সিইও ক্যাম্পেইনের সফলতার মূল স্তম্ব। আপনাকে মূলত এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করা লাগবে যা বেশিরভাগ মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকে। সাথে এটাও মনে রাখতে হবে যাতে আপনার এই কাজটির কারণে যাতে আপনার ব্লগটি গুগলের সবচেয়ে উপরে থেকে যায় সেইটাও জরুরী।

যখন আপনি কিওয়ার্ডগুলো পেয়ে যাবেন তখন ভালোভাবে তা প্রয়োগের কাজ শুরু করুন। আর এর জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার কিওয়ার্ড এর সাথে সিইও পেইজের প্রাকটিসের সাথে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে। কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে গেলে এর মূল তত্ত্ব এতো সহজ না। শুনতে ভালো লাগলেও কিওয়ার্ড রিসার্চ করাটা অনেক সময়ের ব্যাপার।

অনেক ধরণের কিওয়ার্ড রিসার্চ আছে যা খোঁজার পর লিস্ট তৈরি করে আর এইসব তৈরি করা হয় যা প্রতিমাসের ব্যবহারকারীর থেকে উৎপন্ন হয় তার উপর। আর আমাদের টার্গেট থাকবে যাতে একসাথে অনেকগুলা কিওয়ার্ডকে একসাথে করে যাতে একাধিক কিওয়ার্ডের কাজ করে। আপনি আপনার লেখা মূলত প্রতিদিন দিয়ে হয়ত ব্যবহারকারীদের সহজে মুগ্ধ করতে পারবেন না যদি না আপনার কিওয়ার্ড রিসার্চ ভালো মতো হয়। তাই কিওয়ার্ড রিসার্চ করাটা অত্যন্ত জরুরী।

কিওয়ার্ড রিসার্চ এর ধরন (Types of Keyword Research)

কি-ওয়ার্ড রিসার্চ মূলত ধরণের হয়ে থাকেঃ ১.গতানুগতিক ও ২.প্রতিযোগিতামূলক। আমরা এদের বিস্তারিত জানবো।

১.গতানুগতিক 

গতানুগতিক ধারায় যদি আপনি কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করেন তবে আপনাকে সেইক্ষেত্রে একটি সিড কি-ওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। এইক্ষেত্রে সিড কিওয়ার্ড হলো আপনার শর্ট-টেল কি-ওয়ার্ড। মূলত আপনাকে লং-টেল আর শর্ট-টেল এর মধ্যে একটা ভারসাম্য এনে নতুন সিড কিওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। আপনি সেগুলো বিভিন্ন কিওয়ার্ড টুলস ব্যবহার করেও করতে পারেন।

এখানে একটি উদাহরণ দেয়া হলো কীভাবে উবারসাজেস্টে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন।


বাম পাশে দেখতে পাবেন কি-ওয়ার্ড এর সাজেশন্স আর ডান পাশে প্রতি শব্দের গুগল সার্প দেখাবেন। পেইজের র‍্যাংকিং দেখে শব্দ বাছাই করলে আপনার সেই কাজটি করতে সুবিধা হবে। গতানুগতিক কিওয়ার্ড রিসার্চ করাটা অনেক লাভবান নতুন ব্লগারদের জন্য। কারণ তারা খুব সহজেই জেনে নিতে পারবে কিওয়ার্ড এর ব্যাপারে এরপর সেইটা দিয়ে ব্লগিং লিখে পাবলিশ করতে পারবে। তবে এর একটিই সমস্যা এটি আপনাকে আপনার প্রতিযোগিদের সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারবেনা।

২. প্রতিযোগিতামূলক নির্ভর

গতানুগতিক ধারায় আপনি প্রতিযোগীদের সম্পর্কে জানতে না পারায় আপনি একটু অন্যভাবে চিন্তা করতে চাইবেন। আপনি আপনার প্রতিদ্বন্দির ডোমেইন নাম সার্চ করে আপনার প্রিমিয়াম কিওয়ার্ড টুলসে দিলে খুব সহজেই জানতে পারবেন তার  ব্যাপারে। প্রিমিয়াম টুলসে এটা বুঝাবে আপনার কিওয়ার্ড এর অবস্থা কতো এবং সাথে গুগল সার্পে তাদের বর্তমান অবস্থা। এরপর যখন তাদের কিওয়ার্ড বের করতে পারবেন তখন অবশ্যই নিজের ব্লগে কোনটা দিলে অপটিমাইজ পেইজটি সেটা বের করে ফেলতে পারবেন।

মুলত প্রতিযোগিতামূলক কিওয়ার্ড রিসার্চ আপনাকে সাহায্য করবে প্রতিদ্বন্দ্বীর ব্যাপারে ভালোমতো জানতে, তার কিওয়ার্ড এর অবস্থান জানতে। তাই আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী যদি এটা করতে পারে আপনাকে জানার জন্য তবে আপনি কেনো নয়! তবে এই ধরণের কিওয়ার্ড রিসার্চ তখনি কাজ করে যখন আপনি এবং আপনার ওয়েবসাইট একটা নির্দিষ্ট র‍্যাংকিংয়ে থেকে থাকেন তবে। আর এতো কিছু প্রদান করবে তাই এর জন্য মূল্য ও পরিশোধ করতে হবে বিনামূল্যে এমন সুবিধা পাওয়া যাবেনা।

কি-ওয়ার্ড রিসার্চ ফ্যাক্টর

জানতে চান কেনো কিওয়ার্ড রিসার্চ এতোটা কঠিন! কারণ কোনো কিওয়ার্ড ই আসলে এক নয়। যদিও তারা দেখতে এক হলেও মূলত তারা গঠনগতভাবে একরকম নয়। মানুষ সার্চ করে কিছুমাত্র কিওয়ার্ডের জন্য আর তাই সেগুলোর উপর বেশিরভাগ কিওয়ার্ড টুলস সাহায্য করে থাকে। আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে এমন শব্দ যা মূলত অধিকহারে সার্চ করা হয় এবং প্রতিযোগিতাও কম। তখন আপনি সেই শব্দগুলোকে বাছাই করে নিজের কাজে লাগাতে পারলেই সফলতা আসা সম্ভব। তবে এই কাজের জন্য কিছু ফ্যাক্টর হিসাব করা লাগে নিচে তা দেয়া হলোঃ

  • ১। সার্চ ইনটেন্ট

আর ভালোভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম সার্চ ইনটেন্ট সম্পর্কে জানতে হবে। এটা মূলত আপনাকে ব্যাখা করে কেনো মানুষ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিনে কোনোকিছু খুঁজে থাকে। সার্চ ইন্টেন্ট এর মাধ্যমে রিসার্চ করে যদি কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার ব্লগের সাথে সামঞ্জস্য। তবেই আপনার বিক্রি,সাবস্ক্রাইবার, এবং অন্যান্য সবকিছু বৃদ্ধি পাবে।

  • ২। তথ্যগত (Informational)

মানুষ তখনি তথ্যগত কিওয়ার্ড ব্যবহার করে যখন সে কোনো প্রশ্নের উত্তর জানতে চায়। ধরুন কেউ সার্চ করলো "selling shoes" ইহা একটি শব্দগুচ্ছ কিওয়ার্ড যা আপাতত অস্পষ্ট আছে। তাহলে মানুষের এইরকম প্রশ্ন কীভাবে উত্তর দেয়া যাবে প্রশ্ন থেকেই যায়। তাই বলা যায় যেসব কিওয়ার্ড এর শুরু হয়ে থাকে প্রশ্নবোধক শব্দ দিয়ে অথবা উক্ত কিওয়ার্ড শুরু হয় 5W (who,what,which,when, why) সেসব কিওয়ার্ডগুলোকে তথ্যগত কিওয়ার্ড বলা হয়।

তথ্যগত কিওয়ার্ড সেসব ব্লগারদের জন্য ভালো যারা তথ্য শেয়ার করতে পছন্দ করে। তারা তাদের স্ট্র‍্যাটিজি তৈরি করতে পারে এবং খুব ভালো একটা ট্রাফিকিং ব্যবস্থা করতে পারে এই কিওয়ার্ডগুলো দিয়ে।

  • ৩. ব্যবসায়িক (Commercial)

আমি নিশ্চিত যদি আপনি কোনো প্রোডাক্ট  ক্রয় করতে যান গুগলে একবার হলেও সার্চ করবেন। আর এটাই মূলত ব্যবসায়িক কিওয়ার্ড এর অন্তর্ভুক্ত হবে। ধরুন, আপনি সার্চ করলেন "Best professional drone" গুগল সার্প আপনাকে এর ভিত্তিতে যতো ভালো কিওয়ার্ড আছে তা প্রদর্শন করবে। 


বেশিরভাগ সময় কিছু শব্দ আছে যা আপনার প্রশ্নে যুক্ত করলে তা ব্যবসায়িক কিওয়ার্ড এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ

  • বেস্ট
  • সেরা দশ বা Top ten
  • কম মূল্য বা Cheap 
  • সাশ্রয়ী বা Affordable 
  • রিভিউ

আর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত এই ধরণের কিওয়ার্ড এর কারণে তাদের ওয়েবসাইট ব্যবসায় অপটিমাইজ করে থাকে। বেশিরভাগ রিভিউ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এফলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে তাদের পন্য ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। তারা গ্রাহককে ভালোভাবে গাইড করে সাহায্য প্রদান করে এর বিপরীতে তারা কিছু টাকা পায় যা কমিশন হিসেবে গন্য হয়।

  • ৪. লেনদেনগত (Transactional)

ব্যবসায়িক ইন্টেন্ট থেকে এটা একটু আলাদা। এই কিওয়ার্ডগুলি আপনাকে পন্য কোথা থেকে এবং কেনো ক্রয় করা উচিত সেটার ব্যাপারে জানাবে। ধরুন,"I want to buy a DJI Mavic 2 Pro as my professional drone"  কিছু শব্দ আছে যা লেনদেনগত ইন্টেন্ট তৈরি করে যেমনঃ

  • Buy DJI Mavic 2 Pro
  • DJI Mavic 2 Pro deals
  • DJI Mavic 2 Pro discount codes
  • DJI Mavic 2 Pro shipping

তাই বুঝতে পারছেন এইসব কিওয়ার্ড সার্চ দিয়েই কেউ পন্যটি ক্রয় করবে আর এইভাবে সার্চ দিলে গুগল শার্প তাদের সব ভালো পন্যর বেশি কিওয়ার্ড সমৃদ্ধ পোস্ট সামনে তুলে ধরবে। আর আমরা জনগণ একটু ডিসকাউন্ট পেয়েই পন্য কিনতে পছন্দ করি তাই এইভাবে করেই সবকিছু সাজানো থাকে।


তাই যেসব ব্লগার পন্য ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত তাদের উচিত লেনদেনগত ইন্টেন্ট সম্পর্কে রিসার্চ করা।

  • ৫. সার্চ ভলিউম (Search Volume)

সার্চ ভলিউম হচ্ছে একজন ব্যবহারকারী কতোবার আপনার কিওয়ার্ড সার্চ করছে। তারমানে বুঝাচ্ছে যতো বেশি ক্লিক ততো বেশি আপনার ওয়েবসাইটটি সবার সামনে আসবে। আর আপনার ওয়েবসাইট যাতে প্রথম পেইজে থাকে গুগলের এতে ওয়েবসাইটের নাম বাড়বে। আর তাই অধিক ব্যবহৃত কিওয়ার্ড ইন্টেন্ট করা উচিত। 

তাহলে কতটুক ট্রাফিক হয় ভলিউমের মাধ্যমে তা দেখার জন্য আমরা "এডভান্স ওয়েব র‍্যাংকিং সিটিআর স্টাডির অনুযায়ী" বলেছে যে-

  •  সবচেয়ে বেশি রেজাল্ট দেখানো হয় যেটা ৩০% ক্লিক করে সব ব্যবহারকারীরা
  • দ্বিতীয় রেজাল্ট আসে ১৫% এর থেকে বেশি বা কম ক্লিকে
  • তৃতীয় রেজাল্ট ১৫% ক্লিক গ্রহণ করে


ধরুম আপনার কিওয়ার্ড এর সার্চ ভলিউম আছে ২,০০০ এবং আপনার র‍্যাংক দ্বিতীয় স্থানে। তাহলে ২,০০০ এর ১৫% ৩০০ ক্লিকের সমতুল্য। আর এইভাবেই মূলত আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর এসে থাকে। তা ভাবছেন এইভাবে অধিক ভলিউম এর সাথে তুলনা করলেই হয়ে যাবে? অবশ্যই না আপনাকে আরো ভালো আর বেশি করতে হবে তাহলেই সফলতা আসবে।

  • ৬. কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি (Keyword Difficulty)

কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি বুঝায় কিওয়ার্ড এই প্রতিযোগিতার বাজারে খুঁজে বের করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রতিবন্ধকতা। অধিক ভলিউমের কিওয়ার্ড সবাই ব্যবহার করলে সবাই সফলতা পাবেনা। কেউ বা বেশি কেউ বা কম। আর প্রত্যেক মাসে বেশি ব্যবহৃত কিওয়ার্ড খুঁজে বের করলেই টিকে থাকা যায়না কারণ এইগুলা খুঁজে পাওয়াটা বেশি কষ্টকর। তাই কম প্রতিযোগিতা থেকে সরে এসে বেশি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন কিন্তু এমনটা কেনো নয় যে অল্প প্রতিযোগিতায় নাম দেয়া যাক! বেশি প্রতিযোগিতা না হলে পেইজ অপটিমাইজ হবেনা কিন্তু ধীরে ধীরে হয়তো আপনার মাধ্যমেই এই এই কিওয়ার্ড জনপ্রিয়তা পাবে। 

আমরা কম প্রতিযোগিতা বলতে বুঝাচ্ছি যেসব কিওয়ার্ড মাসে ১০০ এর কম সার্চ হয় তাদের ব্যাপারে। তাই হয়তো এর ফলে আপনার কিওয়ার্ডটি গুগল শার্পে আসবেনা কিন্তু আপনিই পারেন এটাকে বৃদ্ধি করতে। আর এইরকম ব্যাপারগুলিকে লং-টেইল কিওয়ার্ড বা লম্বা-লেজের কিওয়ার্ড বলে। কারণ ছোট্ট থেকে ধীরে ধীরে বড় হয়ে অধিক পরিমাণে বিস্তৃত হওয়াকে বুঝায়। আর এর জন্য আপনার লং টেইল কিওয়ার্ড খুঁজে বের করতে হবে আপনার কন্টেন্ট অনুযায়ী।আর সফলতা আসবেই।


কীভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন

কিওয়ার্ড রিসার্চ মূলত দুই ধরণের হয়ে থাকে। ১। বিনামূল্যে এবং ২।টাকা প্রদান করে। আপনার যদি টাকা বাজেট না থাকে তবে আপনি বিনামূল্য ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন তবে অনেক কাজ আপনি বিনামূল্যতে করতে পারবেন না। তাই যদি একটু ভালো সুবিধা গ্রহণ করতে চান তাহলে অবশ্যই টাকা প্রদান করা ভার্সনটা গ্রহণ করতে পারবেন।

কীভাবে গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার ফ্রীতে ব্যবহার করবেন

গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার পুরোপুরি ফ্রী ব্যবহারের জন্য। আপনাকে এক পয়সাও লাগবেনা ফ্রী ভার্সন ব্যবহার করবার জন্যন শুধু আপনার একটি গুগল একাউন্ট লাগবে, আর যদি গুগল একাউন্ট থাকে তবে আর নতুন করে খোলা লাগবেনা সেটাকেই কাজে লাগাতে পারবেন।

প্রথমত আপনাকে একটি এডওয়ার্ডস ক্যাম্পেইন করতে হবে। গুগল তাদের টাকার ক্ষেত্রে বেশ রুক্ষ তাই টাকা ছাড়া এডওয়ার্ড চালু করতে দিবেনা। তবে বাইপাসের মাধ্যমে কাজটি এমনিতেই করা যায়।

এইখানে ক্লিক করে শুরু করুন এবং নিচে দেয়া মোটা হরফে লেখা "Go to Keyword Planner"বাটনে ক্লিক করুন।


নোটঃ এটা স্বাভাবিক ভেরিফিকেশনের জন্য আপনাকে আপনার পাসওয়ার্ড দিতে বলবে।

তারপর নীল আইকনে " Continue" অপশনে ক্লিক করে পরের স্ক্রীনে যান।



এরপর এই স্ক্রীন আসবে (Congrats! you're all done)


এখন "Tools" ট্যাব যা উপরের কর্নারে মেনুবার থেকে ক্লিক করে "keyword planner"সিলেক্ট করুন

এখন আপনি পুরোপুরিভাবে কিওয়ার্ড প্ল্যানার পেয়ে গেলেন।

কীভানে গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার চালাবেন

শুরুতেই ইন্টারফেসে গেলে আপনাকে দুটি অপশন দেখাবে। তা হলোঃ

Discover New Keywords: এই অপশনটি আপনার নতুন কিওয়ার্ড আইডিয়া প্রদান করবে।

Get search volume and forecasts: এই অপশন দিয়ে আপনি কিওয়ার্ড ভলিউম এবং ভবিষ্যৎ পারফরম্যান্স দেখতে পারবেন।


এছাড়া আপনি " How to Use keyword Planner" নিচে দেয়া লিংকে ক্লিক করে দেখতে পারেন ছবি অনুযায়ী।

এই জিনিসগুলি আরেকটু বিস্তারিত বলা যাক

১. Discover new Keywords

আপনাকে প্রথমে এইখানে আসতে হবে যদি নতুন কিওয়ার্ড খুঁজতে চান। এই বক্সে এসে আপনার সার্চ করা শব্দ লিখতে হবে যা আপনার ব্যবসার সাথে সম্পর্কযুক্ত। এরপর সার্চ দিলে লিখে আপনি খুব সহজেই পারবেন। সেখান থেকে পছন্দের নামগুলো সিলেক্ট করে নিলেই হবে।


২. Get search volume and forecasts

এটা সেসব কিওয়ার্ড এর জন্য ভালো যাদের মূলত ব্যবহার হয়ে আছে। এর মাধ্যমে আপনি তার ম্যাট্রিক্স দেখতে পারবেন। জাস্ট কপি এবং পেস্ট করে শুরু করে "Get started" বাটনে ক্লিক করে দিন।

এরপর আপনি সেখান যাওয়ার পর গুগল দুটি বিষয় আপনাকে বুঝাবে

  1. আপনি ডাটা গ্রহন করবেন আপনার প্রদত্ত শব্দের
  2. গুগল আপনাকে বলবে আপনি কীভাবে এবং কতো ইম্প্রেশন পাবেন এই কিওয়ার্ড থেকে


"Historical Metrics" এ ক্লিক করলে গত ১২ মাসে আপনার প্রদত্ত কিওয়ার্ড কতোবার ব্যবহার হয়েছে তা দেখাবে।


কীভাবে উবারজাস্ট ব্যবহার করবেন

উবারসাজেস্ট মূলত একটি নতুন কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল যা নেইল পাটেলের দ্বারা লঞ্চ হয়েছে।এখান থেকে অনেক সাহায্য পাবেন।এখানে মূলত দেখতে পারবেন


  • কিওয়ার্ড অভারভিউ

অভারভিউ দেখতে অনেকটা এইরকম। আমরা সার্চ করবো "Skin Care"


প্রথম সেকশনেই আপনি একটি গ্রাফের ছবি দেখতে পাবেন এবং কতোবার এটা ব্যবহৃত হয়েছে তা দেখতে পাবেন।


  • কিওয়ার্ড আইডিয়া

দ্বিতীয় অংশে দেখতে পাবেন কিওয়ার্ড আইডিয়াগুলো। "View all keyword Ideas" এ ক্লিক করে সব আইডিয়াগুলো দেখতে পাবেন।


এখন আপনি একটি লিস্ট পাবেন। লিস্টে প্রায় "৫৫৫ কিওয়ার্ড" দেখতে পাবেন।


পাশেই এছাড়া আপনি আপনার কিওয়ার্ড এর আইডিয়াস রিপোর্ট দেখতে পাবেন যেখানে প্রায় সেরা একশটি কিওয়ার্ড দেখতে পাবেন।


আপনি উবারজাস্টের এই বিষয়গুলোকে নিজের কাছে আরো ভালোভাবে রাখার জন্য আপনার রেজাল্টটিক এক্সপোর্ট করতে পারবেন সিএসভি ফরম্যাটে।


আর সর্বশেষে আপিজি কিওয়ার্ড আইডিয়া ফিল্টারিং ও করতে পারবেন।ফিল্টার অপশনে ক্লিক করার মাধ্যমে।


আর এইভাবেই মূলত উবারজাস্টের মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত কিওয়ার্ডটি পেয়ে যাবেন।


আজ এই পর্যন্তই কিওয়ার্ড রিসার্চ নিয়ে। আশা করি পোস্টটি আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগবে।  ধন্যবাদ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

as