google.com, pub-8571279523475240, DIRECT, f08c47fec0942fa0 Freelancers IT | Learn More About Freelancing and Outsourcing

sfd

ব্লগিং শেখার সহজ উপায়। ধাপে ধাপে

 হতে পারে আপনি একটি ব্যক্তিগত ব্লগ অথবা মুনাফা অর্জনের জন্য একটি ব্লগ তৈরি করতে চান, এখানে আপনি রেকর্ড সময়ে যথাযথ দিক নির্দেশনার মাধ্যমে একটি সফল ব্লগ তৈরির সঠিক পদক্ষেপগুলো শিখতে পারবেন। সেই ব্লগটি কীভাবে লিখবেন এবং তার সকল নির্দেশনা জানতে আর্টিকেলটি বিস্তারিতো শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।


ব্লগিং- লেখার ভবিষ্যত

আপনি যদি ব্লগিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করার চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে বলে দেওয়া ভালো যে ব্লগিং দ্রুত সমৃদ্ধি অর্জন করার কোনো বিষয় নয়। বরং এখানে কয়েক ঘণ্টার গবেষণা, রচনা, ওয়েবসাইটের বিকাশ এবং বিপণনের বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাছাড়াও এটি চিরস্থায়ী নয় এমন একটি শিক্ষা অভিজ্ঞতা যার জন্য প্রয়োজন ধৈর্য ও সঠিক সংস্থান। 

আপনার ব্লগিং আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবে রুপান্তরিত করতে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপসমূহ ধাপে ধাপে নিম্নে দেওয়া হলোঃ

ব্লগিং কী ?

ব্লগিং নিয়ে কৌতূহল মিটানোর আগে প্রথমেই ব্লগিং আসলে কী তা স্পষ্ট করে জানা প্রয়োজন। এটি যেকোনো বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লেখা এবং তা নিজ ওয়েবসাইট বা ব্লগিং প্লাটফর্মে প্রকাশের চেয়েও আরো বেশি কিছু। আপনি যদি ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করতে চান তবে সেক্ষেত্রে আপনার এটিকে এমন ব্যবসায় হিসেবে বিবেচনা করা উচিত যেখানে আপনার চূড়ান্ত উৎসর্গের প্রয়োজন।"কেডব্লিউফাইন্ডার" প্রকাশ করেছে যে কয়েকলক্ষ মানুষ বর্তমানে এই প্রচেষ্টাটি বিবেচনা করছেন। 


ব্লগিং এর ক্ষেত্রে সম্প্রদায় তৈরির দিকটিও রয়েছে যেটি বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড গড়ে তোলার মূল বিষয় যা একটি অনুগত পাঠককে সমর্থন করে থাকে। মনে রাখবেন, যেখানে লোক সমাগম যত বেশি রয়েছে সেখান থেকে অর্থ উপার্জনের সম্ভবনা ও তত বেশি। ভিসিটরদের নিরবিচ্ছিন্ন স্ট্রিম ট্রাফিক মনিটাইজেশনের সুযোগগুলোকে খুলে দেয় যা ব্লগিংকে সম্ভাব্য করে তোলে। নির্দিষ্ট ক্ষেত্র ও পরিস্থিতিতে ব্লগগুলো কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত বিশ্বাসযোগ্যতা এবং কর্তৃত্বকে আরো এগিয়ে নিতে সহয়তা করতে পারে।

উদাহরস্বরুপ "আইলিন আদলাদি" এমন একটি ভ্রমণ ব্লগার যা স্পষ্টভাবে একটি ব্লগকে ঠিক কিভাবে মনিটাইজ করতে হয় তা পরিচালনা করে থাকে। উক্ত ব্লগের শপ সেকশন বাদে ব্লগিংকে আধ্যাত্মিক ও লাভজনক করার কয়েকটি উপায় নিচে উল্লেখ করা হলোঃ 


কেভিন ফো কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত "কেভিনএমডি ডটকম" এমন একটি ব্লগের উদাহরণ যা ব্র্যান্ড বিল্ডিংকে অগ্রাধিকার দেয়। এখানে বিভিন্ন চ্যানেলসমূহ মনিটাইজেশন করা হয় যেখানে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনসহ কেভিন ফো-এর নিজস্ব বইয়ের লিঙ্কগুলো দেওয়া হয়েছে। তবে ওয়েবসাইটটির নকশা ও বিন্যাস দেখে যে কেউই অনুমান করতে পারবে যে সাইটের মনিটাইজেশনটি কেবলমাত্র তাদের একটি চিন্তাভাবনা।

স্বাভাবিকভাবে আয় করার পাশাপাশি ব্লগিংইয়ের মাধ্যমে যে যে সুবিধা পেতে পারেন তা হলোঃ 

  • ডিজিটাল বিপণন শিল্পে পদচারণ করা 
  • বইয়ে লেখার সুযোগগুলো অনুসরণ করে লেখার দক্ষতা সংশোধন করা 
  • একজন পরামর্শদাতা বা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে উপযুক্ত ক্যারিয়ার বেছে নেওয়ার সুবিধা
  • শিল্পে জনপ্রিয় প্রভাবশালীদের সাথে খুব সহজেই সংযোগ স্থাপন করা 
  • কোথায় এবং কখন কাজ করবেন তার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন নিজের কাছে রাখা
  • বিপণন ও আলোচনার দক্ষতা বিকাশ করা 

একজন ব্লগার হওয়ার পদক্ষেপসমূহ

ওয়েবসাইটটির জন্য সঠিক হোস্ট খুজে পাওয়া, ওয়েবসাইটটির ডোমেন নেম ও এর নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনার জন্য সবচেয়ে লাভজনক ব্লগ নিক শনাক্ত করতে হবে।

উপযুক্ত নিক বেছে নেওয়ার পর কিভাবে একটি ব্লগ তৈরি ও পরিচালনা করতে হয় তা আপনাকে জানতে হবে। উক্ত কাজটি সম্পাদন করার ক্ষেত্রে আপনার ওয়েব বিকাশের অভিজ্ঞতার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনি চাইলেই একটি পেশাদার চেহারার ব্লগ পেতে পারেন এবং তা ১ ঘণ্টার ও কম সময়ের মধ্যেই। 

এসইও এর কথা বলতে গেলে এমন একটি কৌশল রয়েছে যা আপনার কখনোই হারানো উচিত নয় সেটি হলো - মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি। সার্চ ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে রাডার পেতে হলে আপনার ব্লগটির অবশ্যই একটি প্রাসঙ্গিক সিগন্যাল থাকা প্রয়োজন এবং এটি করার একমাত্র নির্ভরযোগ্য উপায় হলো ধারাবাহিকভাবে তথ্যমূলক সামগ্রী প্রকাশ করা। 

দুর্ভাগ্যক্রমে, পাঠক ও সার্চ ইঞ্জিনগুলো প্রাসঙ্গিক বলে মনে করে এমন ধরনের বিষয়বস্তু সবসময় নিয়ে আসা সম্ভব হয় না। এছাড়াও মাঝে মাঝে আপনি চাইলেও কোনো ব্যপারে ভেবে কিছু লিখতে পারবেন না সেই প্রবণতা ও এখানে থেকে যায়। 

পাঠককে আকৃষ্ট করতে সক্ষম এমন ধরনের কন্টেন্টগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। ইন্টারনেটে একই কন্টেন্টের উপর কয়েক হাজার আর্টিকেল থাকতে পারে তাই আপনি যদি এগুলোর মধ্য থেকে নিজের ব্লগটি আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে চান তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ব্লগ রাইটিং-এর প্রতিটি বিষয় উন্নত করতে হবে। এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পাঠকের আবশ্যকতা যা আপনি আপনার কন্টেন্ট এর মাধ্যমে পাঠককে প্রদান করতে সক্ষম হবেন।

নিখুঁতভাবে ব্লগ লেখার সক্ষমতা অর্জন করার পর আপনার দরকার সেটিকে নিরলসভাবে প্রচার করা। আপনি শুধু ব্লগ তৈরি করেই যাবেন আর পাঠকরা সেখানে এসে আপনার তৈরি করা ব্লগ পড়বে ব্যপারটি মোটেও সেরকম নয়। যদি আপনি আপনার তৈরিকৃত কন্টেন্টগুলোর মাধ্যমে একটি বিশাল লাভজনক পাঠক সাধারণ অর্জন করতে চান তবে সেক্ষেত্রে কিভাবে আপনার জিনিসগুলো প্রচার করতে হবে তা শিখতে হবে।

যথাযথভাবে প্রত্যেকটি ধাপ অনুসরণ করার পর আপনি আপনার ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জন করার সক্ষমতা অর্জন করবেন। ব্লগিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে যেমন অনেকগুলো উপায় রয়েছে  তেমনি এর মধ্যে থেকে কয়েকটি মনিটাইজেশন পদ্ধতি ও রয়েছে যেগুলো সেরা আরওআই দিয়ে থাকে। আপনাকে সেগুলো সম্পর্কে অবশ্যই শিখতে হবে যাতে করে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কোন উপায়টি আপনার ব্লগের জন্য উপযুক্ত হবে।


উল্লেখিত প্রত্যেকটি ধাপ হলো লাভজনক ব্লগ তৈরির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ যা আপনাকে একজন পরিপূর্ণ ব্লগার হতে সহয়তা করবে। তবে একটি ব্যপার মাথায় রাখবেন,যেকোনো বিষয়ে শুধুমাত্র জ্ঞান অর্জন করলেই সেটি আপনার কাজে আসবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রাপ্ত জ্ঞান আপনি সরাসরি আপনার বাস্তব জীবনের কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করছেন। তাই আজ থেকে কাজে লেগে পরুন এবং পার্থক্য দেখুন।

আজ ব্লগিং নিয়ে এই পর্যন্তই ।আশা করি সবাই পদক্ষেপগুলো পরে কাজ লাগবে এবং পোস্টটি ভালো লাগবে আলহামদুলিল্লাহ। আলো লাগলে শেয়ার করে পাশে থাকবেন।ধন্যবাদ 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

as