google.com, pub-8571279523475240, DIRECT, f08c47fec0942fa0 Freelancers IT | Learn More About Freelancing and Outsourcing

sfd

নিজেই যেভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন

বেশ কিছু দিন যাবত অনেকেই আমাকে মেসেজ করছেন যে, ভাইয়া আমাকে একটু হেল্প করেন। বা আমাকে একটু সাজেশন দেন। আমি সবার মেসেজই দেখছি। কিন্তু কাজের ব্যবস্ততার মাঝে এতজনের রিপ্লাই আমার একার পক্ষে দেওয়া সম্ভব না। আর ভিডিও করার সময়ও হয়ে উঠছে না। তাই এই পোস্টটি লিখছি। আমি জানি যে অনেক ছেলে মেয়েই আছে যে, যারা কিছু একটা করতে চায় এবং অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসতে চায়। 

নিজেই যেভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন

কিন্তু আসলে সঠিক গাইডলাইনের অভাবে আসতে পারে না এবং অনেক সময় দ্বিধাদন্দের মধ্যে পরে যায় যেটা আমার মনে হয়। আমি আশা করি এই পোস্ট পুরোটা পড়বেন্। যদি এই পোস্ট পুরোটা পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার কতদিন সময় লাগবে, কিভাবে নিজে নিজে শিখবেন, আপনার কি কি ডিভাইস লাগবে। সবকিছু আমি এই পোস্টে আলোচনা করার চেষ্টা করব। তো চলুন শুরু করা যাক।

কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন? How To Start Freelancing?

প্রথমেই আমি যে বিষয়টা আপনাদের বলতে চাই, সেটা হলো এই যে, আমরা যে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে যাচ্ছি সেটাকে উচ্চারণ আমরা অনেকেই সঠিক ভাবে করতে পারি না। অনেকেই ভুলভাবে উচ্চারণ করি। যেমনঃ ফাইনান্স করব, ফ্রিলান্স করব, আউটচসোর্সিং করব ইত্যাদি। আপনারা যারা এই সেক্টরে আসতে চান তারা একটু বোঝার চেষ্টা করবেন যে, এই সেক্টরে আসতে সময় লাগে। 

কারণ এইখানে কোন একটা কাজের স্কিল প্রয়োজন হয়। এই পুরো বিষয় যেটাকে আমরা বলি ফ্রিল্যান্সিং বাংলায় এটাকে বলে মুক্ত পেশা। মানে হচ্ছে আপনাকে ধরাবাধা সময়ে কাজ করতে হবে না। আপনি আপনার সুবিধামতে সময়ে কাজ করতে পারবেন। এমনকি যে কোন যায়গা থেকেই কাজ করতে পারবেন। যেমন কেউ ভ্রমণ করতে যাচ্ছে সে অবস্থাতেও কাজ করতে পারবে। শুধু হাতে একটা ডিভাইস থাকলেই হবে। অনেকের প্রশ্ন হলো কি ধরণের ডিভাইস লাগবে ফ্রিল্যান্সিং করতে।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে কি ধরনের ডিভাইস প্রয়োজন?

প্রথম যে ডিভাইস প্রয়োজন তা হল একটা ল্যাপটপ বা একটা ডেস্কটপ কম্পিউটার। এক্ষেত্রে অনেকেই মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য  হাই কনফিগারেশন কম্পিউটার প্রয়োজন কি না। আসলে বিষয়টা এমন নয়। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সময় যে কোন মানের কম্পিউটার হলেই চলবে। এরপর যখন আপনি কাজ করতে করতে কাজের পরিমাণ বেড়ে যাবে বা ধীরে ধীরে জটিল কাজ শিখবেন তখন আপনার একটু ভালো স্পীডের কম্পিউটার প্রয়োজন হবে। তার আগ পর্যন্ত আপনার যে কোন মানের কম্পিউটার হলেই শুরু করতে পারবেন। আবার অনেকেই ভাবেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব কিনা।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে কি?

আসলে এই কাজটা মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব নয়। কারণ আপনি যদি কোন অফিসে চাকুরী করেন এবং সেখানে আপনার কোন এক্সেল ফাইল পাঠানোর প্রয়োজন হয়, আপনি তা মোবাইল দিয়ে পাঠাতে পারবেন? পারবেন না । ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজ গুলোও আপনি পারবেন না। কারণ এখানে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ডিজিটাল মার্কেটিং যেটাই করেন না কেন এই কাজগুলো হাই কনফিগারেশন টাইপের কাজ। তাই এই কাজগুলো মোবাইলে করতে পারবেন না। সুতরাং আপনি ফ্রিল্যান্সিং মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন না। এবার আলোচনা করব  ফ্রিল্যান্সিং এর কনসেপ্ট নিয়ে।

ফ্রিল্যান্সিং এর কনসেপ্ট টা কী?

কিছু জব থাকে যেগুলো ডিজিটালাইজড। ডিজিটালাইজড মানে হচ্ছে এরকম যে একটা কোম্পানীর ওয়েবসাইট ডেভেলপ করতে হবে। এই কাজটা কিন্তু একটা ডিজিটাল জব বা ডিজিটাল সার্ভিস। অথবা একটা কোম্পানীর ওয়েবসাইট ম্যানেজ করতে হবে। এইটাও একটা অনলাইন বেজড বা ডিজিটাল সার্ভিস । এরপর মার্কেটিং বা লিড জেনারেশন এরকম অসংখ্য কাজ রয়েছে যেগুলো ডিজিটালি করা সম্ভব। যেসব কাজ ডিজিটালি করা যায় না সেগুলো ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে করা যায় না। 

এই যে ডিজিটাল সার্ভিসগুলোর কথা বললাম এই ডিজিটাল সার্ভিস গুলোকে বলা হয় স্কিল। এই স্কিল টা হচ্ছে দক্ষতা। এই দক্ষতাটা অর্জন করতে হয়। যখন আপনি দক্ষতাটা অর্জন করে ফেলেন বা দক্ষতাটা জানা হয়ে গেল । ধরুন আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখছেন বা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখছেন। এইটা একটা দক্ষতা। দক্ষতা অর্জন করার পর এই দক্ষতা বেজড একটা প্রমাণ থাকতে হয়। যেটা প্রমাণ করবে আপনি কাজ পারেন। যেমন আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট পারেন তার জন্য  আপনার  একটা প্রমাণ থাকতে হবে। এই প্রমাণটা কে বলে পোর্টফোলিও। এই পোর্টফোলিওটা রেডি করতে হয়। 

রেডি করার পর আমরা যেটাকে ফ্রিল্যান্সিং বলি, বাইরের দেশের যে টা হয় অনেক কোম্পানী থাকে যাদের এই কাজগুলো অনলাইনে করিয়ে নিতে হয়। কারণ তাদের যে কর্মচারী আছে তাদের দ্বারা সম্ভব না বা খুব ছোট কোম্পানী যে তাদের যথেষ্ঠ  কর্মচারী নেই, কিন্তু তাদের ওয়েব ডেভেলপ করাতে হবে বা ডিজিটাল মার্কেটিং করাতে হবে । 

এর জন্য যদি তাদের নিজ দেশের কেউকে নিয়োগ দিতে চায় তাহলে তাদের নিজ দেশের বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন দিতে হয়। আর যখন আমাদের দেশের কাউকে নিয়োগ দেয় তখন অনেক কম খরচে কাউকে নিয়োগ দিতে পারে। বা অনেক কম খরচে কাজটি করিয়ে নিতে পারে। যেমন ধরুন বাইরের দেশে যে কাজ ১০ ডলার বা ২০ ডলারে নিজ দেশের কেউকে দিয়ে একটা কাজ করিয়ে নিতে হয় সে কাজ বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের মতো অন্য কোন দেশের কাউকে দিয়ে আউটসোর্স করিয়ে নেয় তখন ৫ ডলার বা ৭ ডলারে করতে পারে। 

এজন্যই মূলত মানুষ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এসে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে এবং এই পুরো প্রসেসটাক আউটসোর্সিং বলে। এই যে আমরা অনেকেই বলি আমরা আউটসোর্সিং করে। আমরা কিন্তু আউটসোর্সিং করি না। আমরা ফ্রিল্যান্সিং করি। যারা আমাদেরকে হায়ার করে তারা মূলত আউটসোর্সিং করে। তার মানে হচ্ছে আমরা ফ্রিল্যান্সিং করি আর আমরা হচ্ছি ফ্রিল্যান্সার। অর্থাৎ আমরা সার্ভিস প্রোভাইড করি। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এরপর আমি আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সিং শিখতে গেলে কি যোগ্যতা লাগে।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কি যোগ্যতা থাকতে হবে?

আপনি যদি কোন ভার্সিটি বা মেডিকেলে ভর্তি হতে চান তাহলে আপনার যেমন যোগ্যতার প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনি ভাবে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। সেই যোগ্যতা টা কি? চলুন আমরা সে যোগ্যতা সম্পর্কে জানি। আপনি যদি কোনো স্কিল অর্জন করতে চান তাহলে আপনার আগে কম্পিউটার ব্যবহার জানতে হবে। অর্থাৎ যদি আপনি কম্পিউটার সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারেন তাহলে আপনার জন্য স্কিল অর্জন করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। 

এককথায় স্কিল অর্জন করার পূর্বে আপনার যোগ্যতা টা হচ্ছে কম্পিউটারের ব্যবহার জানা।কম্পিউটারের ব্যবহার জানা বলতে যে কোন সফটওয়্যার ওপেন করা, ইন্সটল করা, আনইন্সটল করা, ডাউনলোড করা, আপলোড করা, ইন্টারনেট ব্রাউজিং করা ইত্যাদি সঠিকভাবে জানতে হবে।তাহলে আপনি যেকোন স্কিল খুব সহজেই অর্জন করতে পারবেন। 

তারপর সুন্দরভাবে কোন ফাইল ডকুমেন্ট রেডি করা। যেমনঃ এমএস-ওয়ার্ড, গুগোল ড্রাইভ এরকম ছোট ছোট স্কিল জেনে রাখা উচিৎ।এ বিষয়গুলো আপনি কোথা থেকে শিখবেন? এগুলো আপনি গুগল সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন অথবা নিচের লিঙ্ক থেকে শিখে নিতে পারেন।

কম্পিউটারের বেসিক স্কিল গুলোর শেখার পর আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে মার্কেটপ্লেসে কোন সার্ভিস আপনি দিতে চান এবং সেই স্কিলটি আপনাকে অর্জন করতে হবে। এরপর আপনি কোন কাজটি শিখবেন তা কিভাবে সিলেক্ট করবেন সে বিষয়ে আলোচনা করব। 

কিভাবে সিলেক্ট করবেন কোন কাজটি শিখতে হবে আপনার?

আমরা অনলাইনে যোগাযোগ করার জন্য যেরকম বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্ম ই্উজ করে থাকি যেমনঃ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিঙ্কডইন ইত্যাদি। ঠিক তেমনি ভাবে বেশ কিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে বাহিরের দেশের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করা যায় এবং এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে পেমেন্ট দেওয়া এবং নেওয়ার সুযোগ সুবিধা রয়েছে যেমন upwork.com freelancer.com fiverr.com ইত্যাদি। এই সাইট গুলোতে যখন আপনি ভিজিট করবেন ওপরে দেখবেন বেশকিছু ক্যাটাগরি রয়েছে যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, রাইটিং এন্ড ট্রানসলেশন, প্রোগ্রামিং এন্ড টেক ইত্যাদি। এই ক্যাটাগরিগুলো আবার অনেক sub-category রয়েছে। 

কিভাবে সিলেক্ট করবেন কোন কাজটি শিখতে হবে আপনার


আপনি কিভাবে সিলেক্ট করবেন আপনি কোন কাজটি শিখবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে চিন্তা করতে হবে, আপনি কোন কাজটি ভালো পারেন বা ভাল বোঝেন যেমন, ধরুন আপনি টেকনোলজি খুব ভালো বোঝেন, আপনার শেখার আগ্রহ অনেক বেশি এবং ধৈর্য অনেক বেশি, অনেক দীর্ঘ সময় ধরে আপনি শিখতে পারেন এবং খুব দ্রুত কিছু শিখে ফেলতে পারেন । সে ক্ষেত্রে আপনি প্রোগ্রামিং শিখতে পারেন। যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারেন অথবা ডেস্কটপ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারেন অথবা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারেন এই সবগুলোই প্রোগ্রামিং স্কিল। 

আবার যদি এমন হয় আপনি টেকনোলজি মোটামুটি ভাল বোঝেন কিন্তু  দীর্ঘ সময় ধরে শেখার আগ্রহ নেই সেক্ষেত্রে রাইটিং এন্ড ট্রানসলেশন ক্যাটেগরির কোন একটি সাব ক্যাটাগরিতে কাজ শিখতে পারেন।যেটাকে আমরা বলি ডাটা এন্ট্রি। আবার আপনার যদি আঁকাআঁকির জ্ঞান থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন। অথবা আপনার মার্কেটিং এবং সেলস খুব ভালো লাগে বা আপনি খুব সহজে বুঝতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন। 

এমন নয় যে, আমার এক প্রতিবেশী গ্রাফিক ডিজাইন করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করছে, তাই আমিও গ্রাফিক ডিজাইন শিখব। অথবা আমার এক বন্ধু web-development করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করছে, তাই আমিও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখব। এককথায় কারো দেখে নয় নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে। এরপর আপনার সিলেক্ট করা ক্যাটাগরিতে কাজ শিখতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এরপর আমরা আলোচনা করব আমাদের সিলেক্ট করা ক্যাটাগরির কাজগুলো আমরা কিভাবে শিখব। 

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কিভাবে আপনি নিজে নিজেই কাজ শিখবেন?

যদি আপনি সিলেক্ট করেন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর ফেসবুক মার্কেটিং স্কিলটি অর্জন করবেন।সে ক্ষেত্রে আপনি ইউটিউবে ফেসবুক মার্কেটিং বাংলা টিউটোরিয়াল বা  ফেসবুক মার্কেটিং বাংলা ফুল কোর্স লিখে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ আপনি যে কাজটি শিখতে চান সেই কাজের টিউটোরিয়াল লিখে সার্চ করলে অনেক চ্যানেল পাবেন। যেখান থেকে আপনি আপনার নির্ধারিত ক্যাটাগরির বেসিক স্কিল শিখে ফেলবেন। প্রথমেই পেইড কোন কোর্স করার প্রয়োজন নেই। ফ্রি কোর্সগুলো থেকে বেসিক স্কিল শিখার পর ফাইনাল সিলেক্টশন করবেন। 

বেসিক স্কিল শিখার পর আপনার কাজ হচ্ছে পোর্টফোলিও তৈরি করা। তো চলুন এখান আলোচনা করি পোর্টফোলিও কিভাবে তৈরি করবেন।

পোর্টফোলিও কিভাবে তৈরি করবেন?

যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং বা লিড জেনারেশন কাজ শিখেন তাহলে কাজ এর প্রাকটিস করার পর স্ক্রিনশট নিবেন। লাইটশট সফ্টয়্যার দিয়ে স্ক্রিনষট নিয়ে রাখতে পারেন বা প্রিন্টস্ক্রিন বাটনে ক্লিক করে পেইন ট্রল ব্যবহার করে সেইভ করে রাখতে পারেন একটা ফোল্ডারে। এই স্ক্রিনশট ই হচ্ছে আপনার কাজের প্রমাণ। এই স্ক্রিনশট গুলোকে সুন্দরভাবে রিপ্রেজন্টেশন করা যায় । যেমন যদি আপনি এডবি ফটোশপ ব্যবহার করতে পারেন তাহলে মোকাপ বানাতে পারেন। হয়ত অনেকেই বোঝেনা এসব। 

আমার পোস্ট এর যেই বিষয়টাই বুঝবেন না, সেই বিষয় লিখে গুগলে বা ইউটিউবে সার্চ করবেন। তাহলেই বুজতে পারবেন। যাইহোক, পোর্টফোলিও রেডি করার পর আপনাকে ধীরে ধীরে ইংরেজি শেখার চেষ্টা করতে হবে। কারণ আপনি অধিকাংশ জবই করবেন দেশের বাইরে। তাই খুব ভালো ভাবে ইংরেজিতে কথা বলা শিখতে হবে। 

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কিভাবে নিজে নিজে ইংরেজি শিখবেন?

ইংরেজি শেখার জন্যও আপনি গুগলে বা ইউটিউবে স্পোকেন ইংলিশ ফুল কোর্স লিখে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন অনেক ভালো কোর্স। সেখান থেকে নিজে নিজে শিখতে পারবেন। তারপরও আমি একটা চ্যানেল এর লিংক দিয়ে দিচ্ছি আশা করি ভালোভাবে শিখতে পারবেন। 

আর ইংরেজি শিখার জন্য বেশি বেশি প্রাকটিস করতে হবে। আপনাদের একটা বিষয় পরিষ্কার করা দরকার যে আপনি যখন প্রথম ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যাচ্ছেন তখন আপনি কিন্তু অনেক বড় বড় ফ্রিল্যান্সারদের সাথে কম্পিটিশন করতে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয় বাংলাদেশের সব চেয়ে ইনকাম বেশি যেসব ফ্রিল্যান্সারদের তাদের সাথেও কম্পিটিশন করতে হবে। সুতরাং  ‍বুঝতেই পারছেন আপনাকে কিভাবে শিখতে হবে। আর শেখা কখনও বন্ধ হবে না। আপনার একটার পর একটা স্কিল বাড়াতেই থাকতে হবে। ইংরেজি শেখার পর আপনি কি করবেন? 

এরপর আপনি যে কোন একটি মার্কেটপ্লেস সিলেক্ট করে সেই মার্কেটপ্লেস  সম্পর্কে রিসার্চ শুরু করবেন।

কিভাবে মার্কেটপ্লেস  সম্পর্কে নিজে নিজে ধারণা নিবেন?

ইউটিউবে মার্কেটপ্লেস রিলেটেড ভিডিও সার্চ করবেন। যেমন ফাইবার বাংলা টিউটোরিয়াল, আপওয়ার্ক বাংলা টিউটোরিয়াল, পিপলপারআওয়ার বাংলা টিউটোরিয়াল এইভাবে সার্চ করলে অনেক ভিডিও পাবেন। তবে যে কোন একটি মার্কেটপ্লেসদিয়ে শুরু করবেন। এসব ভিডিও  দেখে  শিখবেন কিভাবে প্রোফাইল তৈরি করতে হয়, কিভাবে ওভারভিউ লিখতে হয়, কিভাবে ভালো ওফার লিখতে হয় এই বিষয়গুলো রিসার্চ করে শিখে নিতে হবে। যখন পরিষ্কার ধারণা হয়ে যাবে তখন মার্কেটপ্লেস এর নীতিমালা সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নিবেন। 

এরপর যখন আপনার এই সব কিছু হয়ে যাবে তখন দেখবেন আপনি পরিপূর্ণ কনফিডেন্ট কি না। যখন আপনি আপনি পরিপূর্ণ কনফিডেন্ট হয়ে যাবেন তখন নিজের পোফাইল তৈরি করা শুরু করবেন। আর এরপর থেকেই আপনার ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু হবে।

এরপর আপনি বিভিন্ন জবে এপ্লাই করবেন।দেখবেন যে অনেক জব থেকে রিজেকশন আসবে। তারপরও আপনি কোনভাবেই আশা ছেরে দিবেন না। আপনি প্রতিনিয়ত খুঁজে বের করবেন আপনার কোথায় দুর্বলতা আছে। এবং দুর্বলতা দূর করার টেষ্টা করবেন।

এই যে পুরো পোস্ট টা যে পরলেন, আপনার কি মনে হয় এইটা খুব তারাতারি করা সম্ভব? সম্ভব না । যদি আপনার পরিপূর্ণ কনফিডেন্টস না আসে তখন আপনি পেইড কোর্স করতে পারেন। কোথায় ভালো মানের কোর্স করানো হয় জানতে নিচের  পোস্ট টি পড়ুন

সাজেশনঃ

যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন গ্যারান্টি নেই যে, আপনি সফল হতে পারবেন কি না। তাই আগেই বেশি টাকা ইনভেস্ট করবেন না। আগে অন্তত এক মাস নিজে নিজেই দেখবেন। তারপর বুঝেশুনে কোর্স করবেন।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসতে চাইলে আপনারা বাংলাদেশি অনেক ফেসবুক গ্রুপ আছে সেগুলোতে জয়েন হবেন যেমনঃ ফাইবার বাংলাদেশ, আপওয়ার্ক বাংলাদেশ ইত্যাদি। চোখ রাখবেন, যারা সফল হয়েছে তারা কিভাবে হয়েছে। নিজের নেটওয়ার্ক বাড়াবেন। আশেপাশের সফল ফ্রিল্যান্সারদের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবেন। এত করে কি হবে? আপনার যদি কোন গাইডলাইন প্রয়োজন হয় তাহলে সহজেই পেয়ে যাবেন।

অনেকেই মেসেজ করে বলেন, ভাইয়া আমার এই সমস্যা, ঐ সমস্যাভ যেভাবেই হোক ইনকাম করতে হবে। ভাই আপনি নিজেই ভালভাবে চিন্তা করে দেখেন এই পুরো প্রসেসটা কতো লম্বা । তাই তারাহুরা না করে সময় নিয়ে ধীরে ধীরে নিজেকে প্রস্তুত করেন। যখন আপনি নিজেকে পরিপূর্ণ কনফিডেন্ট মনে হবে তখন  মার্কেটপ্লেস এ আসেন।

তো অনেক কথা বললাম। আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে। এরকম আরো ভালো ভালো পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের সাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

as