রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ জেনে নিন

আপনি যে রিটার্ন দাখিল করবেন, সেটি নির্ধারণের হ্মমতা কিন্তু আপনার হাতে থাকছে না। উপকর কমিশনার  বরাবর আপনি একটি রিটার্ন সাবমিট করবেন,  তার পরে সেটা জাস্টিফাই হবে | অর্থাৎ আপনার শুনানি হবে,  শুনানিতে  আপনি   হাজির হবেন, সেখানে আপনার কর নির্ধারণ হবে। সার্বজনীন হলে আপনার কর নির্ধারণের হ্মমতা আপনার কাছে থাকছে। যতহ্মন না সেই ফাইল  টা ওডিট  করছে  বা যতহ্মন উপকর কমিশনার সেটাকে আনএক্সপেক্টটেড মনে করছেন না। যে, এটাতে কোন সমস্যা আছে। ততহ্মণ পর্যন্ত কিন্তু আপনি  নিরাপদ। আপনি কোনো কিছু হাইড করলেও সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনি  নিরাপদ।

রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ জেনে নিন

রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ 

রিটার্ন জমা দেওয়ার  শেষ তারিখ  আসলে কোন টা  সঠিক,  ৩০ শে নভেম্বর? নাকি ৩০ শে জুন? এখন, যারা আগে অন্তত এক বার রিটার্ন দাখিল করেছেন, তাদের জন্য  ৩০ শে নভেম্বর। আর যারা  এখনো রিটার্ন দাখিল করেননি  বা এখনও  যারা  নতুন, তাদের জন্য  ৩০ শে জুন পর্যন্ত।  ৩০ শে নভেম্বর এর পরে যদি তারা রিটার্ন সাবমিট  করেন, তাহলে তারা আর সার্বজনীন এর আওতায় অর্থাৎ আন্ডার সেকশন 882  b সার্বজনীন এই ধারাতে আর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন না। তাদেরকে সাধারন হিসাবে  রিটার্ন দাখিল করতে হবে ।


আরো পড়ুনঃ আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে যে বিপদ

৩০ শে নভেম্বর নাকি ৩০ শে জুন রিটার্ন দাখিল করা ভালো হবে?

যখনই সার্বজনীন রিটার্ন সাবমিট করে দিবেন, তখনই কিন্তু আপনার রিটার্ন জমা হয়ছে কি না, তার একটি রিটার্ন  ছিলিপ আপনি পেয়ে যাবেন। কিন্তু সার্ব ধরণের এর বাইরে যদি সাধারন রিটার্ন  দাখিল করেন, এহ্মেএে  কিন্তু  আপনার এই সুযোগ টা   আর থাকবেনা বা থাকছেনা। তাহলে কি করতে হবে? যারা সর্ব প্রথম রিটার্ন দাখিল করবেন অর্থাৎ পুর্বে  যারা কখনো রিটার্ন দাখিল করেন নি,  এই বছর প্রথম রিটার্ন দাখিল করবেন, টিন সার্টিফিকেট  আপনি যত আগেই নেন না কোনো,  আপনি হয় তো ২০১৮ সালে নিয়েছেন বা ২০১৯ সালে বা ২০২০ সাল বা ২০২১ সাল  এবং এ বছরেও যারা  নিয়েছেন,  তাদের সবার  জন্য ৩০ শে জুন পর্যন্ত সময় থাকবে । অর্থাৎ আগামি ১ বছর বা আগামি  ২০২৩ সালের ৩০ শে  জুন অর্থাৎ ২০২২ সালের জুলাই মাসের ১তারিখ থেকে শুরু করে পুরা ১ বছর, ৩০ জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত আপনারা সময় আপনাদের রিটার্ন দাখিল করার জন্য। আশা করছি যে আপনারা বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে বুঝতে পেরেছেন।


এক কথায়, যারা এবছর রিটার্ন প্রথম দাখিল করবেন, তারা পাবেন ৩০শে জুন ২০২৩ পর্যন্ত। আর যারা পূর্বে এক বার হলেও রিটান সাবমিট  করেছেন, তারা ৩০শে  নভেম্বর ২০২২ তাদের শেষ সময় । আপনারা যারা নতুন রিটার্ন  দাখিল করবেন, তারা যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়া ৩০ শে জুন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে , ৩০ শে নভেম্বরের মধ্যেই রিটার্ন টি সাবমিট করে দিবেন।


কারণ, ৩০ শে নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন সাবমিট করার মানে  হচ্ছে যে, আপনি একটা  জ্যাম বা ভিড়ের মধ্যে   আপনার রিটার্নটি সাবমিট করছেন। ৩০ শে নভেম্বরের পর আপনার আয় করের অফিস গুলো খালি হয়ে যাবে। তখন কোন জ্যাম থাকবেনা। এই ভিড়ের মধ্যে আপনার রিটার্ন সাবমিট না করে যদি অপেক্ষা করেন, সেহ্মেএে কিন্তু পরবর্তীতে  গিয়ে আর রিটার্ন  জমার ভিড় বা চাপ থাকবেনা। তখন আপনি একটা  রিটার্ন  সাবমিট  করলে  সেই  রিটার্ন একদম ভালো করে দেখা হবে।


রিটার্ন জমা নেওয়ার  সময়  কোনো ধরনের সমস্যা থাকলে সাথে সাথে আপনাকে ধরা হবে। আর যদি আপনি এই সময় এর  মধ্যে  রিটার্ন সাবমিট করে দেন বা এই ভিড়ের মধ্যে করে দেন, তাহলে আপনার এই ধরনের ঝামেলা  থাকছে না বা ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।


তাই যদি আপনার একান্ত কোনো সমস্যা না হয়, তাহলে আপনি ৩০ শে  নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন সাবমিট করে দিবেন। আশা করি,  বিষয় টা বুঝতে পেরেছেন। আর একটি বিষয় হলো, যদি আপনি ৩০ শে জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করেন, এহ্মেএে  আপনার সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তখন তো আর ভিড় থাকবেনা। তাই তখন আপনার ফাইল টি ভালোভাবে চেক করা হবে। আপনাকে প্রশ্ন করা  হবে।

এই কারণে আপনি ৩০ শে নভেম্বরের জ্যামের মধ্যে বা ভিড়ের মধ্যে আপনি রিটার্ন টি সাবমিট করে দিলে আপনার জন্য  ভালো। কারণ তখন ভিড়ের মধ্যে এতো কিছু দেখার সময় বা ধরার সময় সুযোগ থাকে না।


আরো জানুনঃ
পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এরকম সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েব সাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url