ফ্রিল্যান্সিং এর বর্তমান অবস্থা
নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং পেশাই আসতে চাই বা নতুন ফ্রিল্যান্সার, আমাদের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন আসে। যেমন ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি । ফ্রিল্যান্সিং এর বর্তমান অবস্থা কি। এরকম নানা প্রশ্ন মাথায় আসে। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পড়লে ফ্রিল্যান্সিং এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন।
বর্তমানে বাংলাদেশে দিনে দিনে জনপ্রিয় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং পেশা। বর্তমানে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা বিশ্বজুড়ে সুনাম অর্জন করছে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে। বর্তমানে বাংলাদেশে যে হারে ফিল্যান্সার বাড়তেছে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী খাত হয়ে দাঁড়াবে তা বলার অবকাশ রাখেনা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকদের মতে, ২০২৭ সালের মধ্য বাংলাদেশের ২য় সর্বোচ্চ খাত হতে পারে এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর। বাংলাদেশ আজ একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরী করেছে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে। বাংলাদেশ আজ ডিজিটািলাইজড হচ্ছে তার সাথে সাথে বাংলাদেশের আইটি সেক্টর এবং ইন্টারনেট খাতে বিনিয়োগ বেড়েছে। যার ফলে ফ্রিল্যান্সার বাড়তেছে।
ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং এ ৮ম অবস্থান আছে। গিগ ইন্ডেক্স এর প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং এ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৭% । ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অন্যান্য দেশের ফ্রিল্যান্সারদের থেকে অনেক ভালো। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ২০২১ সালের আগস্টে যে জরিপ চালায়। সেখানে লক্ষ করা যায় ২০১৯ সালের পর থেকে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা খুব দ্রুত গতিতে উন্নতি করেছে এবং ইনকামের দিক থেকেও এগিয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং খাত থেকে বছরে এক বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ । ২০২৫ সালের মধ্য এ খাতের আয় ২ থেকে ৩ বিলিয়নে উন্নীত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান । তিনি আরো বলেন, সমস্যা সমাধান ও ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা উন্নয়নে উদ্যেগ নেওয়া হচ্ছে। এসব উদ্যোগে কেন্দ্র করে ২০২৫ সালেই ২ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার আয়ের সপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।
বিশ্বায়নের ফলে ছোট্র গ্রামে পরিণত হযেছে পুরো দুনিয়া। প্রযুক্তির কল্যাণে ফ্রিল্যান্সিং এর মতো বৈদিশিক মুদ্রা আয় ও কর্মসংস্থানের উৎস খুজে পেয়েছে বাংলাদেশ। ঘরে বসেই হুন্দাই ও মার্সিডিজের মতো বিখ্যাত গাড়ির থ্রি ডি নকসা তৈরী করছেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা।
তিনি এসময় আইডি কার্ড ও রিন সুবিধা প্রদানসহ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য নানা উদ্যেগের কথা তুলে ধরেন সালমান এফ রহমান।
বিশ্বের টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সারদেন ৬৪ শতাংশই বাংলাদেশি। তারপরও আত্মবিশ্বাশের অভাবে নামমাত্র মূল্যে কাজ করেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা। ফ্রিল্যান্সিং এর বাজারে সাড়ে ছয় লাখ বাংলাদেশি কর্মী সরবরাহের দিক থেকে ২য়। অথচ আয় এর দিক থেকে ৮ম। এর জন্য আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সমস্যা
দিন দিন ফ্রিল্যান্সিং জনপ্রিয় হওয়ার কারণে, সবাই ঝুকছে ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে। আমাদের মধ্যে একটা ভুল ধারণা তৈরী হযেছে যে, ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে তেমন কিছু জানার দরকার নাই।ন২ দিন এর প্রশিক্ষন গ্রহন করে কম্পিউটারে ইন্টারনেট নিয়ে বসলেই ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে। ঝড় ঝড় করে টাকা আসবে। এটা আমাদের খুব বড় একটা সমস্যা বর্তমান সময়ে।
কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য ছেলে মেয়েদের ভুল ধারণা দিযে হাতিয়ে নিচ্ছে অনেক টাকা। আমরা সবাই ফ্রিল্যান্সারদের সফলতাই দেখি। এর পিছনে কিন্তু এর পিছনে তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও সময দেখি না। ওমুক ঐই কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করতেছে। আমিও করবো এটা ঠিক না কারণ আপনার যে কাজ ভালো লাগবে সেটা আপনাকে করতে হবে।
আরেকটা খুব বড় সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তা হলো। কোনো কাজ ভালো ভাবে না জেনেই কাজের স্কিল না বাড়িয়ে জনপ্রিয় মার্কেট প্লেস গুলোতে একাউন্ট তৈরী করতেছে সবাই। একাউন্ট এ কাজ পাওয়ার পর কাজ ভালো ভাবে করে দিতে পারতেছে না। যার ফলে ক্লাইন্ট খারাপ মন্তব্য করতেছে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সরদের উপর। এতে যেটা হচ্ছে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস গুলোতে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা কমে যাচ্ছে।
তাই আমি বলতে চাই আমরা যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাই। আমাদের সকলের উচিৎ আগে স্কিলড হওয়া। তার পরে মার্কেপ্লেস গুলোতে আসা।
আরও জানুনঃ
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন