FREELANCERS IT
https://www.freelancersit.com/2022/11/how-to-take-metro-rail.html
উত্তরা থেকে আগারগাঁও যাওয়ার জন্য কিভাবে মেট্রোরেলে চড়বেন
আপনারা অনেকেই শুনেছেন বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক মেট্রোরেল চালু হতে যাচ্ছে। বছর মাস পেরিয়ে হিসেবটা এখন দিনের কঠাই অর্থাৎহাতেগোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরে তারপরেই স্বপ্নযাত্রায় নতুন পথ পাড়ি দিবে বাংলাদেশ। সে যাত্রা মেট্রো রেল এর যাত্রা, বৈদ্যুতিক ট্রেনের যাত্রায় পা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই ঢাকা মেট্রো রেল কিভাবে ব্যবহার করবেন, কিভাবে টিকিট কাটবেন, কিভাবে চড়বেন, সবকিছু নিয়ে আজকে আপনাদের মাঝে স্টেপ বাই স্টেপ দেখাবো।
চলুন তাহলে প্রথমে আমরা মেট্রোরেল স্টেশনের স্বপ্ন সিঁড়ি থেকে শুরু করিঃ
এর মধ্যে প্রথম নয়টি স্টেশন অর্থাৎ যে নয়টি স্টেশনে স্বপ্ন যাত্রা শুরু তারই মধ্যে নয়টি স্টেশনে অবকাঠামো কাজ প্রায় পুরোপুরি শেষ। এই মুহূর্তে বলতে গেলে নয়টি স্টেশনে কাজ শেষ মুহূর্তের একেবারে ঝালিয়ে নেওয়া কাজ। উপরের দেওয়া ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটা হচ্ছে মেইন সিঁড়ি এবং নিচের দেওয়া ছবিটিতে ভালো করে লক্ষ্য করুন শিড়ির পাশাপাশি আপনাদের জন্য লিফটের সুব্যবস্থা রয়েছে। এবং লিফটের অপরপাশে চলন্ত সিঁড়ির ব্যবস্থা রয়েছে।
চলুন তাহলে এবার আমরা জেনে নেই কিভাবে আমরা টিকিট ক্রয় করতে পারি এবং কি কি উপায়ে টিকিট ক্রয় করতে পারিঃ
নিচের দেওয়া ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি টিকিট কাউন্টার, এই টিকিট কাউন্টার টি মূলত প্রতিবন্ধী এবং যারা অনলাইন টিকিট অথবা এটিএম কার্ড থেকে টাকা বের করার মত অভিজ্ঞতা যাদের নেই তাদের জন্য। এছাড়াও যাদের হাতে টিকিট কাটার ইচ্ছা তারা চাইলে এইখান থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন।
এবার নিচের দেওয়া ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন এটিএম বুথ মেশিনের মত তিনটি মেশিন আছে যেখানে আপনারা টাকা অথবা আপনাদের কার্ড দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন।
কিন্তু কিভাবে টিকিট সংগ্রহ করবেন সেটা নিয়ে যদি বলি তাহলে নিচের দেওয়া ছবিটিতে ভালো করে লক্ষ্য করুন মনিটরের মত একটি এলইডি স্ক্রিন আছে যেটাতে এন্ড্রয়েড ফোনের মত টাচ করে আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় অপশন গুলোতে ক্লিক করে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
তারপরে আপনারা চাইলে কিভাবে হাতে টাকা পেমেন্ট করবেন? কিন্তু সেইটাও মেশিন এর মাধ্যমে। এর মধ্যে অন্যতম মজার বিষয় হলো আপনি টিকিট কাটছেন আপনার ভাড়া 30 টাকা কিন্তু আপনি 100 টাকার নোট মেশিনের ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়েছেন, বাকি 70 টাকা কি হবে? এটা অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকতে পারে। তাহলে চলুন নিচের প্রথম ছবিটিতে লক্ষ্য করে দেখি।
আপনারা উপরের তীর চিহ্ন দিয়ে মার্ক করা জায়গাটিতে দেখতে পাচ্ছেন লিখা আছে, টাকা প্রবেশ করান। অর্থাৎ আপনারা মনিটরে দেওয়া সকল নিয়ম কানুন মেনে সর্বশেষ আপনাকে টাকা পেমেন্ট করার জন্য ওই স্থানে আপনাকে আপনার টাকা প্রবেশ করাতে হবে। উপরে বলেছিলাম আপনার ভাড়া 30 টাকা হলে, আপনি 100 টাকা দিয়েছেন, বাকি 70 টাকা কিভাবে ফেরত পাবেন? সেইটা বলতে গেলে নিচের দেওয়া ছবিটি ভালো করে লক্ষ্য করুন।
তারপর উপরের দেওয়া ছবিটিতে তীর চিহ্ন দিয়ে মার্ক করা স্থান থেকে আপনার বাকি 70 টাকা থাকবে সেটা আপনি ফেরত পাবেন। তারপরে আপনাদের টিকিট হিসেবে একটি কার্ড দেওয়া হবে, সেই কার্ডটাই হবে আপনাদের মূল চাবিকাঠি, অর্থাৎ এই কার্ড হবে আপনাদের টিকিট, এই কার্ডের মাধ্যমে আপনাদের প্রবেশের সকল ধরনের দরজা খুলবে, এবং আপনাদের সেই স্বপ্নের মেট্রোরেল অর্থাৎ বৈদ্যুতিক রেল এ উঠতে পারবেন। সেই কার্ডের মাধ্যমে চলেন তাহলে আমরা প্রবেশপথ দেখি নিই।
টিকিট কাটার পরে আপনাদের যে কার্ড দেওয়া হবে সেই কার্ডটি নিচে দেওয়া ছবিতে যেই গেট দেখানো হয়েছে, ঠিক একই রকমভাবে আপনারাও আপনাদের কার্ড এরকমভাবে শো করে আপনারা ভিতরে ঢুকতে পারেন। যখনই আপনারা আপনাদের কার্ড গেটের সামনে গিয়ে স্ক্যান করাবেন তখন অটোমেটিক্যালি আপনার প্রবেশের গেট খুলে যাবে।
এছাড়াও বিকল্প পদ্ধতি আছে সাধারণ মানুষের জন্য, যে সকল মানুষ মেশিনের মাধ্যমে টিকিট না কেটে হাতে টিকিট কেটেছেন, তাদের জন্য প্রবেশ পথ হচ্ছে নিচের দেওয়া ছবিটি লক্ষ্য করে দেখুন।
প্রথমেই বলেছিলাম এটা নয় নম্বর স্টেশন অর্থাৎ এক থেকে শুরু করে সকল স্টেশনের কাজ শেষ এটা হচ্ছে সর্বশেষ স্টেশন এর কাজ এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই স্টেশনের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
তাহলে এবার দেখি স্টেশনের ভেতরে আমরা কি কি ধরনের সুবিধা পেতে পারি।
প্রথমে নিচের একটি ডিসপ্লে বোর্ড দেওয়া আছে এইখানে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন এই ডিসপ্লেতে আমাদের যাত্রার ট্রেন কোথায় আছে এবং পৌছাতে কতক্ষন লাগবে এবং কতক্ষণ পরে স্টেশনে আসবে সকল ধরনের তথ্য আপনারা এই ডিসপ্লে তে পেয়ে থাকবেন। তার জন্য নিচের ছবিটি ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন।
উপরের দেওয়া ছবিটির মত অনেকগুলো ডিসপ্লে স্টেশন এর ভিতরে বিভিন্ন বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আপনাদের সুবিধার্থে বিশালাকৃতির বড় একটি বোর্ড, অথবা মনিটর লাগানো আছে, নিচে দেওয়া ছবিতে ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন, এই বোর্ডে আপনারা সকল ধরনের তথ্য খুব সহজেই পাবেন, যারা একটু কম বোঝেন তাদের জন্য এই বিশাল আকৃতির বোর্ডটা সুবিধাজনক হতে পারে। অর্থাৎ যাত্রী ভিতরে আসলেই সেই বিশাল আকৃতির বোর্ডটি দেখে বুঝতে পারবে যে তার এখন কি করা উচিত।
এছাড়াও স্টেশন এর ভিতরে রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা সহ সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দ্বারা সুরক্ষিত।
সর্বশেষ আপনারা রেলে উঠার জন্য এই সিঁড়ি দিয়ে অথবা আপনারা চাইলে চলমান সিঁড়ি এবং লিফটের মাধ্যমেও ট্রেনে ওঠার জন্য সেই গেটে আসতে পারে। চলেন তাহলে এবার আমরা ছবির মাধ্যমে দেখে নিই কি রকম হতে পারে সেই গেট এবং আমরা কিভাবে প্রবেশ করতে পারি।
উপরের দেওয়া ছবিটিতে যেরকম গেট দেখতে পাচ্ছেন ঠিক, এই গেটের সামনে এসে আপনার মেট্রোরেল এর গেট এসে দাঁড়াবে কখনই কম বেশী হবেনা। দাঁড়ানোর পরে আপনার সামনের যে গেট দেখতে পাচ্ছেন সেই সেফটি গেট অটোমেটিক খুলে যাবে এবং যাত্রী নামার পরে আপনাকে উঠতে হবে।। এমনকি উঠার সময় আপনার টিকিট অথবা সে কার্ডের প্রয়োজন হতে পারে।
এছাড়া সর্বশেষ পরীক্ষণমূলক ভাবে কাজ করতে চাই এই মাসটাতে এবং সামনের ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস, ডিসেম্বর মাসেই শুভ উদ্ভাবনের কাজটা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন।
পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এরকম সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েব সাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন