google.com, pub-8571279523475240, DIRECT, f08c47fec0942fa0 Freelancers IT | Learn More About Freelancing and Outsourcing

sfd

আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে যে বিপদ

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যাদের ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা টিআইএন সার্টিফিকেট রয়েছে তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। সেটি না করলে জরিমানা করার বিধান রয়েছে। তবে, রিটার্ন দাখিল করলেই যে আয়কর দিতে হবে বিষয়টি আসলে তা নয়। কারো আয় যদি করযোগ্য না হয় তাহলে কর দেবার প্রয়োজন নেই, শুধু রিটার্ন জমা দিলেই হবে। 

আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে যে বিপদ

প্রতি বছর যারা আয়কর দেন তাদের কাছে বিষয়গুলো নতুন না হলেও যারা নতুন করদাতা বা যারা নুতুন  ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা টিআইএন সার্টিফিকেট নিয়েছেন তাদের জন্য কিছু তথ্য জানা জরুরি। এছাড়া এ বছর ট্যক্স রিবেট বা কর রেয়াত গণনায় নতুন কিছু পরিবর্তনও এসেছে। চলুন এক নজরে কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ বিকাশ থেকে রকেটে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম

আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার আগে যেসব তথ্য জানা জরুরি

আয়কর প্রদর্শনের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন এসেছে তার মধ্যে একটি হলো, সেবা পেতে হলে এখন থেকে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রদর্শন করতে হবে। আয়কর বিবরণী যে আপনি দাখিল করেছেন, তার প্রমাণ সংগ্রহ করা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কিছু সেবা পেতে গেলে আপনাকে এখন রিটার্ন দাখিল করার প্রমাণ প্রদর্শন করতে হবে। আগে টিআইএন দাখিল করলেই হতো। কিন্তু চলতি বছর থেকে নতুন নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে রিটার্ন দাখিল করার প্রমাণ প্রদর্শন করতে হবে। আর যদি কেউ রিটার্ন দাখিল করার প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হন তাহলে তিনি কিছু সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন বা তার আয়করের পরিমাণ বেড়েও যেতে পারে। এবার বিনিয়োগ ভাতার সীমায় এবং রেয়াত গণনায় কিছু পরিবর্তন এসেছে।

বিনিয়োগ ভাতার সীমা হ্রাস পেয়েছে

রিটার্ন ফরম পূরণে কর পরিগণনায় ২০২২-২০২৩ করবর্ষে অর্থ আনীত পরিবর্তন সমূহ
আগে একজন ব্যক্তি করদাতা তার করযোগ্য আয়ের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ ভাতা দাবি করতে পারতেন। কিন্তু এবার তা কমে ২০ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে। এর ফলে সকল করদাতার বিনিয়োগ ভাতার পরিমাণ কমে যাবে। ফলে কর রেয়াতও কমবে।

কর রেয়াত গণনায় পরিবর্তন এসেছে

আগে কর রিয়াতের হার ছিল ২ টি । ব্যক্তি করদাতার কর যোগ্য আয়ের পরিমাণের উপর নির্ভর করে কর রিয়াতের হার নির্ধারণ হতো। যদি কোন ব্যক্তি করদাতার কর যোগ্য আয় ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হতো বা তার কম হতো তাহলে ১৫ শতাংশ হারে কর রিয়াতের বিধান ছিল। আর যদি  কোন ব্যক্তি করদাতার কর যোগ্য আয় ১৫ লাখ টাকা অতিক্রম করতো তাহলে কর রিয়াতের বিধান ছিল ১০ শতাংশ। কিন্তু এবার ২ টি কর হার বাদ দিয়ে একটি কর হার ঠিক করা হয়েছে। এর ফলে সকল শেণ্রির করদাতা ১৫ শতাংশ কর রেয়াত সুবিধা পাবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করতে না পারলে কর রেয়াত ৭.৫ শতাংশ। আগে এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিলে কেউ যদি ব্যর্থ হতো হতো তাহলে ট্যাক্স রিবেট বা কর রেয়াতের সুবিধায় কোন প্রভাব পড়ত না। কিন্তু এবার যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন করদাতা রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হন তাহলে তিনি কিছু সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। তিনি ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭.৫ শতাংশ কর রেয়াত পাবেন।

যেসব তথ্য জানা জরুরি, নয়তো আইনি ঝামেলায় পড়বতে পারেন

আয়কর রিটার্নের ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তা না হলে আইনগত ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইনকাম ট্যাক্স আইন অনুযায়ী বেশ কিছু আয় করের আওতায় পড়ে। যেমনঃ
  • চাকুরী থেকে পাওয়া বেতন
  • ব্যবসা থেকে আয়
  • বাড়ি ভাড়া থেকে পাওয়া অর্থ
  • কোন সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তরের ফলে প্রাপ্ত অর্থ
  • জামানতের সুদ ( সঞ্চয়পত্র, বন্ড, ব্যাংকের সুদ ইত্যাদি )
  • কৃষি হতে আয় ইত্যাদিি
আর আছে অন্যান্য। যার মধ্যে পড়ে অনেক কিছু। 

সম্পদের স্বচ্ছ বিবরণ

আপনার ব্যক্তিগত আয়, ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা, সঞ্চয়পত্র, শেযার, ডিবেঞ্চার এবং অন্যান্য স্থাবর সম্পদের বিবরণ আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। যদি আপনি কোন সম্পদের বিবরণ রিটার্নে তুলে না ধরেন, তাহলে সেটি বৈধ থাকবেনা এবং আইনগত ঝামেলায় পড়তে পারেন।

যথাযথ কাগজপত্র দাখিল

যখন আয়কর রিটার্ন দাখিল করা হয় তখন তার সাথে কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হয়। চাকুরীজীবী হলে বেতন এবং সুযোগ-সুবিধার বিবরণ, ব্যাংকে টাকা জমা থাকলে সুদ থেকে পাওয়ার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এছাড়া সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা হলে সেটির ফটোকপি এবং মুনাফা বাবদ পাওয়া টাকার সার্টিফিকেট দিতে হবে। এজন্য সবধরনের কাগজপত্র সর্বক্ষণ কপি করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ভালোমতো রিটার্ন ফরম পূরণ

আপনি চাইলে নিজে রিটার্ন ফরম পূরণ করে জমা দিতে পারেন। অথবা একজন ভালো আয়কর আইনজীবির পরামর্শ নিতে পারেন। ভালো আয়কর আইনজীবি থাকাটাও জরূরী। অনেক সময় আইনজীবিরর ভুলের কারণে করদাতা ঝামেলায় পড়তে পারেন। আইনজীবি আপনার আয়, ব্যয় এবং সম্পদের পরিমাণ কিভাবে তুলে ধরছেন তা খেয়াল এবং বোঝার চেষ্টা করবেন।

প্রথমবার রিটার্নের ক্ষেত্রে সতর্কতা

যারা প্রথমবার রিটার্ন জমা দিচ্ছেন তারা ফরম পূরণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। সম্পদের বিবরণ দাখিলের ক্ষেতে স্বচ্ছ থাকুন। কোন কিছু লুকানোর চেষ্টা করবেন না। অনেকে মনে করেন, প্রথমবার সব সম্পত্তির বিবরণ না দিয়ে ধাপে ধাপে প্রতি বছর সেগুলো দেখানো হবে। কিন্তু এইটা একটা ভুল ধারণা। বিষয়টি যদি আয়কর কর্তৃপক্ষের নজরে আসে তাহলে আপনিি আইনগত ঝামেলাতেও পড়তে পারেন। 
আয়কর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে কোন ফাইল অডিট হতে পারে, সেক্ষেত্রে গড়মিল পাওয়া গেলে বড় অংকের জরিমানা হতে পারে।

আয়-ব্যয়ের সংগতিপূর্ণ রিটার্ন দাখিল

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আপনি আয় যেমন দেখাবেন, তেমনি ব্যয়ও দেখাবেন। আয়ের সাথে ব্যয়ের সামঞ্জস্য থাকাটা জরুরি। আপনার জীবনযাত্রার ব্যয় যদি আয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয় তাহলে আপনি আইনগত ঝামেলায় পড়তে পারেন। 

কৃষি আয় এড়িয়ে যাবেন না

কৃষিখাত থেকে আপনার কোন আয় থাকলে সেটি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। কুষি জমি থেকে শস্য বা মৎস্য উৎপাদনের মাধ্যমে প্রতিবছর আপনি যে আয় করেন সেখান থেকে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে বাকি টাকার উপর কর দিতে হবে। যদি কৃষি আপনার একমাত্র আয়ের উৎস হয়ে থাকে তাহলে কিছু বাড়তি সুবিধাও পাওয়া যাবে।

বাড়ি ভাড়া থেকে আয়

আপনি যদি বাড়ি ভাড়া দিয়ে কোন আয় করেন তাহলে সেটি আয়কর রিটার্নে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। সেক্ষেত্রে যে অংশটি আপনি ভাড়া দিয়েছেন সেটার আয়তন কত তা উল্লেখ করতে হবে। বাড়ি ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকার বেশি আয় হলে বাড়ির মালিককে ব্যাংক হিসেবে সেটা জমা রাখতে হবে। সেটা না করলে জরিমানা করার বিধান রয়েছে।

আরো জানুনঃ
পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এরকম সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েব সাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

as