google.com, pub-8571279523475240, DIRECT, f08c47fec0942fa0 Freelancers IT | Learn More About Freelancing and Outsourcing

sfd

বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের নতুন নিয়ম

বাংলাদেশ পুলিশ এর চাকুরী আমাদের অনেকের কাছে হয়তো অনেক পছন্দের একটি চাকুরী। অনেকেই বাংলাদেশ পুলিশ এ চাকুরী করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্বপ্ন দেখে এবং এস,এস,সি পরীক্ষায় উত্তীর্ন হওয়ার পর পরই বাংলাদেশ পুলিশ এর নিয়োগের অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশ এ চাকুরী পাওয়ার আগে কয়েকটি কঠিন ধাপ অতিক্রম করতে হয়। এই সকল ধাপ গুলো যারা সফল ভাবে অতিক্রমে করতে পারে তারাই শেষ পর্যন্ত কৃতকার্য হয় এবং বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল এ যোগদান করতে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে নতুন কিছু নিয়ম প্রনয়ন করা হয়েছে। তাই আপনি যদি বাংলাদেশ পুলিশ এর নিয়োগের অপেক্ষায় থেকে থাকেন তাহলে আজকের টিপসগুলো আপনার জন্য খুবই জরুরী। তবে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের নতুন সংস্কারণ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস।

বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ এর সংস্কারণ এবং নতুন নিয়ম প্রনয়ন :

নতুন নিয়মে বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবলে নিয়োগ : আমরা অনেকই হয়তো জানি বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবলে নিয়োগ দিলে নির্দিষ্ট একটি আবেদন ফরম পূরণ করে এবং ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি বাবদ টাকা জমা দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবলের জন্য আবেদন করতে হয়। কিন্তু এটা পূর্বের নিয়ম। বর্তমানে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০২৫ সালে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশকে যুগপযোগী করে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে  বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষনা মতে বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পদ্ধতি আরও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এই পদ্ধতি বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পর থেকে মোট ০৭ ধাপ অতিক্রম করে বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবলে নিয়োগ প্রদান করা হবে। 

নতুন নিয়মে আবেদন পদ্ধতি : বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে যে নতুন নিয়ম প্রনয়ন করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি পদ্ধতি আবেদন প্রক্রিয়া। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবলে নিয়োগ দেওয়ার পর সেটি যদি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং শারীরিক যোগ্যতার সাথে ফিট থাকে তাহলে আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবলের নিয়োগের জন্য আবেদন করা যাবে এবং পরীক্ষার ফি বাবদ নির্ধারিত টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। এই পদ্ধতি আপনি আপনার সকল শিক্ষাগত যোগ্যতা, শারীরিক যোগ্যতা এবং ব্যক্তিগত ইনফরমেশন যেমন, নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ, এড্রেস ইত্যাদি সকল তথ্য সঠিক ভাবে প্রদান করতে হবে। আপনার সকল তথ্য প্রদানের পর একটি আবেদন কপি চাইলে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন সম্পূর্ন হওয়ার পর  নিয়োগপত্রে প্রকাশিত পরীক্ষার ফি বাবদ নির্ধারিত টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে। এবং টাকা জমা দেওয়ার পরে আপনার মোবাইল নম্বরে একটি কনফারমেশন মেসেজ পাবেন। উক্ত মেসেজ এ আপনাকে একটি ইউজার আইডি এবং একটি পাসওয়ার্ড প্রদান করা হবে। অন-লাইনে তথ্য প্রদানের সময় কোনরকমে ভুল তথ্য প্রদান করা যাবে না। যদি আপনি অনলাইনে কোন রকমের ভুল তথ্য প্রদান করে থাকেন তাহলে নিয়োগর প্রক্রিয়ার যে কোন ধাপে আপনার আবেদনটি সম্পূর্ন বাতিল বলে গণ্য হবে। 

এ্যাডমিট কার্ড বা প্রবেশ পত্র সংগ্রহ : আপনার আবেদনটি সঠিকভাবে সাবমিট করার পরে আপনার প্রদানকৃত তথ্য নিয়োগ পত্রের তথ্যের সাথে যদি যোগ্য বলে প্রমানিত হয়  তবে পরবর্তীতে আপনার শারীরিক যোগ্যতা এবং কাগজপত্র যাচায়ের জন্য আপনার মোবাইল নম্বরে নির্ধারিত তারিখ সহ ইউজার আই,ডি এবং পার্সওয়ার্ড সম্বলিত একটি মেসেজ প্রদান করা হবে। উক্ত ইউজার আই,ডি এবং পাসওয়ার্ড টি ব্যবহার করে বাংলাদেশ পুলিশ এর নির্ধারিত ওয়েব সাইট থেকে আপনার এ্যাডমিট কার্ডটি ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করতে পারবেন। উক্ত এ্যাডমিট কার্ডটির ২টি প্রিন্ট কপি নিতে হবে। 

প্রাথমিক পর্যায়ে শারীরিক যোগ্যতা এবং কাগজপত্র যাচাই : অনলাইন থেকে এ্যাডমিট কার্ড বা প্রবেশ পত্র সংগ্রহের পরে আপনার মোবাইলে প্রেরিত মেসেজ অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখে আপনার অনলাইন থেকে সংগৃহীত এ্যাডমিড কার্ডের ২টি প্রিন্ট কপি সহ শিক্ষগত যোগ্যতার সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, নাগরিক সনদ, নিধারিত সাইজের ছবি, চারিত্রিক সনদ সহ সারর্কুলারে বর্ণিত সকল কাগজ পত্র নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে সঠিক সময়ে উপস্থিত থাকতে হবে। উক্ত স্থানে প্রার্থীত সকলকে সারিবদ্ধ ভাবে লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে আপনার এ্যাডমিড কার্ডের ২টি কপি আছে কি না সেটি দেখিয়ে ভেনুতে প্রবেশের সময় আপনার উচ্চতার একটি মাপ নিয়ে মূল ভেনুতে প্রবেশ করানো হবে। মূল ভেনুতে প্রবেশের পর প্রার্থীত সকলের উচ্চতা, ওজন, বুকের মাপ নেওয়া হবে। শারীরিক ফিটনেস ঠিক থাকলে কাগজপত্র যাচা-বাছাই অন্তে সঠিক প্রমানিত হলে আপনি আবেদনের যোগ্য বলে আপনার এ্যাডমিড কার্ডে একটি সিলমেরে দেওয়া হবে। প্রিন্টকৃত ২টি এ্যাডমিট কার্ডের একটি সংরক্ষণ করবে এবং অন্যটি আপনাকে প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে আপনার শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষার জন্য একটি তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। 

শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষা : প্রাথমিক পর্যায়ে শারীরিক যোগ্যতা এবং কাগজপত্র যাচাই বাছাই অন্তে আপনাকে শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষা দেওয়ার পূর্বে আপনি শারীরিক ও মানসিক ভাবে সম্পূর্ন সুস্থ্য আছেন এই মর্মে ইনডেমনিটির ঘোষনা পত্র পূরন পূর্বক নিয়োগ কমিটির নিকট জমা দিতে হবে এবং মোট ০৭টি ধাপে আপনাকে শারীরিক ফিটনেসর এর পরীক্ষা অংশ গ্রহণ করতে হবে। নিম্নে এই ০৭টি ধাপ পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করা হলো :-

প্রথম ধাড দৌড় :  প্রথম ধাপে দৌড় প্রতিযোগীতায় প্রতি পুরুষ প্রার্থীর জন্য ২৮ সেকেন্ডে ২০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করতে হবে এবং প্রতি মেয়ে প্রার্থীর জন্য ৩৪ সেকেন্ডে ২০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করতে হবে। দৌড় প্রতিযোগীতার জন্য নির্ধারিত স্থান থেকে রেফারি বাশি দেওয়ার সাথে সাথে দৌড় প্রতিযোগীতা শুরু করতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২০০ মিটার দৌড় সম্পন্ন করতে হবে অন্যথায় প্রার্থী বাতিল বলে গণ্য হবে। প্রথম ধাপে সফল ভাবে উত্তীর্ণ হলে দ্বিতীয় ধাপে অংশ গ্রহণের সুযোগ পাবে। 

দ্বিতীয় ধাপ পুশআপ : প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা দ্বিতীয় ধাপে পুশআপ বা বুক ডাউন এ অংশ গ্রহণ করতে পারবে। এই ধাপে প্রতি পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ সেকেন্ডে ১৫ টি পুশআপ এবং মেয়ে প্রার্থীদের জন্য ৩০ সেকেন্ডে ১০টি পুশআপ সম্পন্ন করতে হবে। রেফারির বর্ণনামতে পুশআপ এ উত্তীর্ণ প্রার্থরা কেবল মাত্র তৃতীয় ধাপে অংশ গ্রহণ করার সুযোগ পাবে। 

তৃতীয় ধাপ লং জাম্প : যে সকল প্রার্থী পুশআপ এ উত্তীর্ন হবে তারাই শুধু তৃতীয় ধাপে অংশ গ্রহণ করার সুযোগ পাবে।

আরও গুরত্বপূর্ণ পোস্ট দেখুন: ঘরে বসে মোবাইলে করোনা ভাইরাসের টিকা কার্ড নিবন্ধন করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

as