ব্লু লাইট সম্পর্কে সচেতন হোন, আপনার চোখকে সুরক্ষিত রাখুন!

বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকি। যেমন- স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, টেলিভিশন ইত্যাদি ইত্যাদি। ছোট বড় সকলেই আমরা স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করে থাকি। আমরা দীর্ঘ সময় ধরে স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করে থাকি যেমন- অফিস আদালতে কাজের ভিতরে, মুভি অথবা ভিডিও দেখে, গেম খেলে। আবার যারা ফ্রিল্যান্সার তারা অনেক রাত জেগে কম্পিউটার নিয়ে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু আমরা কি কেউ একটি বারও ভেবে দেখেছি দীর্ঘ সময় এই সকল ডিভাইস ব্যবহার করার ফলে আমাদের চোখ এবং মস্তিস্কে কি পরিমাণ  চাপ সৃষ্টি হয়। হয়তো আমরা অনেকেই শুনেছি দীর্ঘ সময় কম্পিউটার বা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকলে আমাদের চোখের অনেক সমস্য হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো জানি না কি কারণে আমাদের এই সমস্যাগুলো হয় এবং এই সমস্যা সমাধানের সঠিক উপায়। মূলত আমরা যখন স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করি তখন এই সকল স্মার্ট ডিভাইস থেকে ব্লু লাইট নামক একটি ক্ষতিকর রশ্মি আমাদের চোখ এবং মস্তিস্কে একটি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ফলে আমাদের চোখ এবং মস্তিস্কে নানা ধরনের সমস্যা দেখো দেয়। তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক ব্লু লাইট কি এবং এটা থেকে কিভাবে আমরা আমাদের চোখকে সুরক্ষিত রাখতে পারি। 
মোবাইল টাওয়ারের ক্ষতিকর দিক, মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন স্বাস্থ্যঝুঁকি, মোবাইল রেডিয়েশন চেক, Blue cut glass চেনার উপায়, ব্লু লাইট ফিল্টার কি, মেয়েদের চশমার ডিজাইন ২০২১,

ব্লু লাইট নামক ক্ষতিকর রশ্মি থেকে আপনার মস্তিস্ক এবং চোখকে সুরক্ষিত রাখুন: 

ব্লু লাইট কি ? : ব্লু লাইট এক ধরনের ক্ষতিকর রশ্মি, যেটি সূর্যের আলো, টেলিভিশন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন সহ বিভিন্ন ধরনের স্মার্ট ডিভাইস থেকে নির্গত হয়। যেমন আমরা যখান কম্পিউটারে কাজ করি তখন কম্পিউটারের মনিটর থেকে ব্লু কালারের এক ধরনের রশ্মি আমাদের চোখে এসে পড়ে ঠিক স্মার্টফোন ব্যবহারের সময়ও আমাদের চোখে এই ধরনের আলো এসে পড়ে আর এটিকে ব্লু লাইট বলা হয়। এই ব্লু লাইট আমাদের মস্তিস্ক এবং চোখের জন্য খুবই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। 

ব্লু লাইট কি ধরনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে ? : মূলত আমরা যখন দিনের বেলায় বাইরে থাকি তখন সূযের আলো আমাদের চোখে পড়ে, তখন আমরা বুঝতে পারি এখন দিন এবং দিনের বেলায় আমাদের তেমন ঘুম আসে না। ঠিক একই ভাবে বিশেষ করে রাতের বেলায় আমরা যখন কম্পিটারে কাজ করি বা মোবাইল ব্যবহার করে থাকি তখন আমাদের চোখে এই ব্লু লাইট এসে পড়ার কারণে আমাদের মস্তিস্কে বুঝতে পারে না যে এখন রাত এবং আমাদের ঘুমও খুব সহজে আসে না। ফলে অনেক রাত জেগে থাকার কারণে আমাদের স্মৃতিশক্তি অনেকটাই লোপ পাই, আমরা অনেক কিছুই ভুলে যায়, যেমন একটু আগে কি কাজ করছি একটু পরে তা ভুলে যাই এই ধরনের নানা সমস্যা দেখা দেয়। আবার দিনের বেলায় অথবা রাতে দীর্ঘ সময় কম্পিউটার এবং মোবাইলে দিকে একটানা তাকিয়ে কাজ করার সময় কম্পিউটার এবং মোবাইল থেকে আসা এই ব্লু লাইট এসে আমাদের চোখের অনেক সমস্যা দেখা দেয় যেমন- চোখে ঝাপসা দেখা, চোখের ভিতর খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া এই ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দেয় এবং পরবর্তীতে আমাদের চোখ অতি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই আমাদের উচত আগে থেকে সতর্ক হওয়া এবং চোখের যত্ন নেওয়া। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্লু লাইট থেকে কি ভাবে আমাদের চোখকে সুরক্ষিত রাখতে পারি।  
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য চশমা, কোন মুখে কেমন চশমা, কোনটি চোখের জন্য ক্ষতিকর, মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়, মোবাইলের আলো থেকে বাচার উপায়, রেডিয়েশনের ক্ষতিকর দিক, ফোনের রেডিয়েশন জানার উপায়,

ব্লু লাইট থেকে চোখকে সুরক্ষিত রাখার উপায় ? : আপনি যদি তথ্য প্রযুক্তির কাজ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করা লাগে অথবা আপনার হাতের স্মার্টফোনটি আপনাকে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করা লাগে অথবা আপনি বাইরে ঘুরতে বের হলে আপনাকে অবশ্যই সূযের আলোয় যাও লাগে তাই ব্লু লাইট থেকে আপনার চোখকে কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন সে সম্পর্কে জেনে রাখা আপনার জন্য খুবই জরুরী। তাই আজকের এই টিপস টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নোক্ত ২টি পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি ব্লু লাইট থেকে আপনার মূল্যবান চোখকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। 

ব্লু কার্ট গ্লাস ব্যবহার করে : ব্লু লাইট এর ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনা করে বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ধরনের ব্লু কাট গ্লাস পাওয়া যায়। ব্লু কার্ট গ্লাস যেটি কম্পিউটার,ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন বা অন্যান্য ডিভাইস থেকে নির্গত হওয়া ব্লু লাইট রশ্মিকে রোধ করে। ফলে এই ব্লু কার্ট গ্লাস ব্যবহার করে আপনি আপনার চোখকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন। বাজারে বিভিন্ন মূল্যমানের ব্লু কার্ট গ্লাস পাওয়া যায় যেটি আপনার চোখকে সূর্যের আলো, কম্পিউটার বা ল্যাপটপের ও স্মার্টফোনের ব্লু লাইট থেকে রক্ষা করবে। তাই আর দেরি না করে বা হেলায় না কাটিয়ে আপনার নিকটতম যেকোন অপটিক্যাল বা চশমার দোকান থেকে ব্লু কার্ট গ্লাস নিয়ে ব্যবহার করুন। বর্তমানে বিভিন্ন মূল্যমানের ব্লু কার্ট গ্লাস পাবেন কিন্তু চেষ্টা করবেন একটু দাম দিয়ে ভাল মানের গ্লাসটি নেওয়ার। যেটি আপনার চোখটিকে সুরক্ষিত রাখবে। 

কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের সেটিংস বা সফ্‌টওয়্যার ব্যবহার করে : আমরা অনেকে গ্লাস বা চশমা ব্যবহারে অভ্যস্ত নয় বা চশমা ব্যবহার অনেকটাই বিরক্তিকর মনে হয় তাই তাদের জন্য কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনে কিছু সেটিংস চাল করে বা সফ্‌টওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে এই ব্লু লাইট থেকে চোখকে সুরক্ষিত রাখা যায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক কি ভাবে কম্পিউটারের সেটিংস ঠিক রেখে ব্লু লাইট থেকে রক্ষা পাও যায়। 

কম্পিউটারের সেটিংস অপশন ঠিক রেখে কি ভাবে ব্লু লাইট থেকে রক্ষা পাওয়া যায় : কি ভাবে কম্পিউটারের সেটিংন অপশন ঠিক করেবন পর্যায়্ক্রমে আলোচনা করা হলো। 
Blue cut glass চেনার উপায়, ব্লু লাইট ফিল্টার কি, মেয়েদের চশমার ডিজাইন ২০২০, চশমার পাওয়ার গ্লাসের দাম, চশমার লেন্সের দাম, চশমার নতুন ডিজাইন, ফ্রিল্যান্সারদের জন্য চশমা, কোন মুখে কেমন চশমা,
প্রথমে আপনার কম্পিউটারের START মেনুর পাশে সার্চ বক্সে Night Light লিখে সার্চ করবেন। দেখবেন Night Light নামে একটি অপশন পাবেন সেটিতে ক্লিক করুন। 
মোবাইল থেকে কোন রশ্মি বের হয়, ব্লু লাইট ফিল্টার চশমার দাম, ব্লু লাইট ফিল্টার চশমা দাম, কোনটি চোখের জন্য ক্ষতিকর, মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়, মোবাইলের আলো থেকে বাচার উপায়, মোবাইলের আলোর ক্ষতি, ব্লু কার্ট লেন্স,
Night light এ ক্লিক করার পর Night light Setting নামে একটি পেজ পাবেন এবং এখান থেকে Turn on now তে ক্লিক করে Strength বাড়ানো কমানো করতে পারবেন। মূলত যে পরিমান Strength আপনার কাছে পারফেক্ট মনের হবে আপনি সেই পরিমান রেখে ব্যবহার করতে পারেন অথবা Strength এর নিচে Schedule নামে একটি  একটি অপশন পাবেন এই অপশনটি অন করুন। 
মোবাইল রেডিয়েশন থেকে বাঁচার উপায়, মোবাইলের আলোর ক্ষতি, ব্লু লাইট ফিল্টার চশমা, কম আলো চোখের ক্ষতি, কোনটি চোখের জন্য ক্ষতিকর,

Schedule অপশনটি On করার পরের দুটি অশন দেখতে পাবেন একটি Sunset to sunrise বা সূর্য ওঠা থেকে সূর্য ডোবা এই অপশন টিতে ক্লিক করলে অটোমেটিক একটি লাইট সেটিংস হয়ে যাবে। দ্বিতীয়টি  Set hours এই অপশনটিতে ক্লিক করে আপনি আপনার পছন্দ মত একটি টাইম জোন সেট করে আপনার সেটিংসটি ঠিক করে নিতে পারেন। বিশেষ করে যারা কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করেন তাদের জন্য এই সেটিংস টা খুব সহজে পাও যাবে। আর মোবাইলের ক্ষেত্রেও ঠিক একই ধরনের সেটিংস রয়েছে। মোবাইলের সেটিংস অপশনে গিয়ে ড্রাক মুড করার একটি অপশন রয়েছে এটি চালু করে রাখলেও ব্লু লাইট থেকে আপনার চোখকে সুরক্ষা করতে পারেন। 
 
সফ্‌টওয়্যার ব্যবহার করে : উপরোক্ত সেটিংস অপশন ছাড়া অনলাইন থেকে বিভিন্ন ধরনের সফ্‌টাওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলের ব্লু লাইট রক্ষা পেতে পারেন। নিম্নে এমন একটি সফ্‌টওয়্যার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 
প্রথাম আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপের গুগল ব্রাউজার থেকে গুগল সাচবক্সে গিয়ে flux লিখে সার্চ করবেন। 
মোবাইল টাওয়ারের ক্ষতিকর দিক, মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন স্বাস্থ্যঝুঁকি, মোবাইল রেডিয়েশন চেক, রেডিয়েশনের ক্ষতিকর দিক, ফোনের রেডিয়েশন জানার উপায়, মোবাইল রেজিস্ট্রেশন,

f.lux লিখে সার্চ করার পরে প্রথমে f.lux software নামে একটি অপশন পাবেন এবং সেটিতে ক্লিক করুন
মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন স্বাস্থ্যঝুঁকি, মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়,

 এখান থেকে সফ্‌টওয়্যারটি খুব ইজি ভাবে ডাউনলোড করুন। এইটা ডাউনলোড করা খুবই ইজি কারণ এটি একটি ছোট ফাইল এবং এটি ডাউনলোড করতে আপনার কোন রেজিষ্ট্রেশন করা লাগবে না। ডাউনলোকড ক্লিক করলে এটা ডাউনলোড হয়ে যাবে এবং খুব সহজে ইনস্টল করা যাবে। 
মোবাইল টাওয়ারের ক্ষতিকর দিক মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক অনুচ্ছেদ, চোখের যত্ন

ডাউনলোড করার পরে ইনস্টল কমপ্লিট করুন। 
Blue cut glass চেনার উপায়, ব্লু লাইট ফিল্টার কি, মেয়েদের চশমার ডিজাইন ২০২০, চশমার পাওয়ার গ্লাসের দাম, চশমার লেন্সের দাম, চোখের যত্ন

ইনস্টল শেষ হওয়ার পরে এই ধরনের একটি ইন্টারফেস দখা যাবে এবং এখান থেকে মাউস ক্লিক করে আপনার কম্পিউটারের ব্রাইডনেস টা বাড়ানো কমানো করতে পারবেন। এর ্ব্রাইডনেসটা কমিয়ে দিলে কিছুটা হলুদ বর্ণের দেখা যাবে। আবার আপনি যদি চান উপরের ডান পাশের Custom color থেকে আপনার পছন্দমত কালার সেট করতে পারবেন এবং বাম পাশের থ্রি ডট মেনু থেকেও আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপের ব্রাইডনেসটা সেট করে নিতে পারবেন। এভাবে আপনার প্রয়োজনমত ব্রাইডনেস সেট করে ব্লু লাইট থেকে আপনার মূল্যবান চোখকে সুরক্ষিত করতে পারবেন। এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করে গ্লাস ব্যবহার না করেও আপনার কম্পিউটারের ব্লু লাইট থেকে আপনার চোখকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। 

আশা করি আজকের এই টিপসটি আপনাদের খুবই উপকারে আসবে, ভবিষ্যতে এই ধরনের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ন টিপস পেতে লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করুন। 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url