ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার যে অভিজ্ঞতা গুলো থাকতেই হবে
যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং করতে চান বা শুরু করার চেষ্টা করেন, তাদের অধিকাংশই মনে করেন কাজ শিখার পরই কেবল প্রোফাইল বানানো যায়। যা একটা ভূল ধারণা। একটা সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করা যেতে পারে, তাতে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু ভালোভাবে কাজ না শিখে কোন কাজে বিড করা বা অফার পাঠানো উচিৎ নয়।
এজন্য আগে মার্কেটপ্লেসে প্রতিনিয়ত কি কি কাজ আসছে, ক্লায়েন্ট কি ধরনের কাজ চাচ্ছে, ক্লায়েন্ট যা চাচ্ছে তার সাথে আর কি কি অতিরিক্ত কাজ দেওয়া যায়, এই কাজ গুলো ক্লায়েন্ট এরি কি কাজে লাগবে ইত্যাদি কাজ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।
নতুন অবস্থায় প্রত্যেকের মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা না থাকাটায় স্বাভাবিক। কিন্তু কাজ শুরু করার আগে মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জানতে হবে। মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানার জন্য বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ আছে, বিভিন্ন ফোরাম সাইট ও ব্লগ সাইট রয়েছে। এই গুলো থেকে নিয়মিত বিভিন্ন বিষয জেনে তারপর কাজ শুরু করা উচিৎ।
তাই ফ্রিল্যান্সিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে আপনাকে প্রথমেই লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। কোন কাজটি দিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন সেই কাজ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। কেননা লক্ষ্য নির্ধারণ করতে ভূল করলে কখনও সফল হতে পারবেন না।
বিষয়টা এমন নয় যে, আমি দেখলাম একজন গ্রাফিক্স ডিজাইন করে মাসে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে তাই আমিও গ্রাফিক্স ডিজাইন করব। বা একজন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে মাসে লাক্ষ লাক্ষ টাকা ইনকাম করছে আমিও এই কাজটিই করব। এভাবে ভাবলে কখনই সফল হতে পারবেন না।
তাই নিজের সক্ষমতা ও ভালোলাগার সাথে মিল রেখে কোন একটা কাজ বেছে নিন। আর বিষধভাবে জেনুন।
ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে ধারাবাহিকভাবে যে স্টেপগুলো অনুসরণ করা উচিৎঃ
১. পোর্টফোলিও বা কাজের স্যাম্পল তৈরি করাঃ
কাজ শিখার পর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পোর্টফোলিও তৈরি করা। কেননা পোর্টফোলিও আপনার কাজের স্যাম্পল বা আপনি যে কাজ জানেন তা কতটুকু জানেন তা প্রকাশ করে। আপনারা জানেন যে নতুন একজন ফ্রিল্যান্সার কে কেউ কাজ দিতে চায় না। তবে খুব ভালো পোর্টফোলিও থাকলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এক কথায় পোর্টফোলিও আপনার অভিজ্ঞতা প্রকাশ করার সহজ উপকরণ। তাই বেশি বেশি পোরটফোলিও তৈরি করা উচিৎ একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের।
২. মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল তৈরি করাঃ
অনলাইনে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস রয়েছে। যেমনঃ upwork.com, freelancer.com, fiverr.com এই সব মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে, সকল নিয়ম কানুন জেনে বুঝে তার পর প্রোফেশনাল একটি প্রোফাইল তৈরি করা। নুতুন রা প্রায়ই বলে থাকেন প্রোফাইল কোথায় করব? কাজ কিভাবে পাব, টাকা কিভাবে নিব ইত্যাদ। তো এই প্রোফাইল এর মাধ্রমেই আপনি আপনার এই সকল কাজ করতে পারবেন। মানে ক্লাযেন্ট এর সাথে যোগাযোগ করা, কাজ নেওয়া- দেওয়া এবং টাকা নেওয়া। মনে িএইটাই হলো আপনার ডিজিটাল অফিস। যত সুন্দর আর নিক্ষুত করতে পারবেন তত কাজ পেতে সুবিধা হবে। আবার অনেক নিষেধও আছে যেগুলো মেনে চলতে হবে। না হলে আপনার প্রোফাইল সাসপ্যান্ড হয়ে যাবে। তাই সকল বিষয় জেনে প্রোফাইল করতে হবে।
আরো জানুনঃ
- ফাইবার প্রোফাইল কিভাবে অপটিমাইজ করলে দ্রুত কাজ পাওয়া যাবে
- কি কি কারণে ফাইভার প্রোফাইল সাসপেন্ড বা ডিস্যাবল হয়?
৩. মার্কেটিং বা ব্র্যান্ডিং করাঃ
আপনাক কাজ পেতে হলে ক্লায়েন্টদের জানা প্রযোজন যে আপনি কাজ জানেন বা আপনি সার্ভিস দেন। এই কাজটির জন্য মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন স্যোসাল মিডিয়াতে প্রোফাইল ও পেইজ তৈরি করে নিয়মিত পোস্ট দিতে হবে আপনার সার্ভিস সম্পর্কিত। যেই পোস্ট গুলো তাদের উপকারে আসবে। এত ক্লায়েন্ট রা জানতে পারবে এবং কাজ দিতে আগ্রহী হবে। সাথে একটি পোর্টফোলিও ওয়েব সাইট করতে পারলে আরও বেশি ভালো হবে।
পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের শেয়ার করে তাদেরও জানার সুযোগ করে দিন। আর আপনার মতামত কমেন্ট এ জানান। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।