১২ বছেরর উর্দ্ধ বয়সীদের টিকাদান শুরু হবে ৭ জুন থেকে

২০১৯ সালে চীনের উহান প্রদেশ করোনা ভাইরাস নামে একটি নতুন ভাইরাসের উৎপত্তি হয়ে বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এটি ব্যাপক ভাবে বিস্তার লাভ করেছে। ইতিমধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে করোনা টিকা পৌঁছে গেলেও সেটা পর্যাপ্ত নয়। 

জার্মানীতে ১২ বছেরর উর্দ্ধ বয়সী সকলের টিকাদান কার্য শুরু হবে আগামী ৭ জুন থেকে 

এ বিষয়ে  আঙ্গেলা ম্যার্কেল স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার  জানান যে আগামী ০৭ জুন থেকে তার দেশের ১২ বছরের উর্দ্ধ বয়সী সকলেই টিকা গ্রহণ করতে পারবে।

সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন শিশুদের টিকাদান বাধ্যতামূলক করা যাবে না। বর্তমান করোনা পরিস্থিতীর কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশুরা ছুটিতে আছে, তাদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না।  ফলে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে শিশুদের উপর তেমন কোন প্রভাব বিস্তার করবে না। 

আঙ্গেলা ম্যার্কেল জনান দ্যা ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সী স্থানীয় সময় শুক্রবার  ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকার অনুমোদন দেওয়া হবে বলে তিনি আশাবাদী।  এই টিকা প্রয়োগের মধ্যে অনুমোদন পেয়েছে ১৬ বছরের বেশী বয়সী ইউরোপিয়ানরা। 

ম্যার্কেল জার্মানীর বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা অন্তে বলেন ১২ বছরের বেশী বয়সী শিশুরা টিকার জন্য অ্যাপয়েটমেন্ট নিতে পারবে আগামী ৭ জুন থেকে। যে সকল শিশুরা টিকা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক তারা আগামী আগস্টের মধ্যে প্রথম দুই ডোজ টিকা নিতে পারবে। দীর্ঘ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর নতুন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হওয়ার পূর্ব মূহুর্তে এবং নতুন বছর  শুরুর আগেই শিশুদের এই টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।

মার্কেল সাংবাদিকদের মাধ্যমে যা বলেন :

তিনি সাংবাদিকদের এক সম্মেলনে অভিভাবকদের  উদ্দেশ্য করে বলেন শিশুদের টিকা দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। কারণ টিকা দেওয়ার পরে যে, ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারবে তেমনটি না। আবার কোন কোন অভিভাবক হয়তো ভাবতে পারেন টিকা দেওয়ার পরে শিশুদের নিয়ে ভ্রমন, বিনোদনে যাওয়া যাবে, শিশুরা টিকা গ্রহণ করেছে , তারা সম্পূর্ন নিরাপদ, তাদের আর কোন সমস্যা হবে না সেটাও সম্পূর্ন ভুল ধারনা। এই রকম কোন নিয়ম নেই। 

তিনি বলেন শিশুদের টিকা দেওয়ার একটাই লক্ষ্য যাতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের বিরুদ্ধে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।  

যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় ১২ বছরের বেশী বয়সী শিশুদের মধ্যে টিকা দেওয়া কার্যক্রম ইতিমধ্যে চালু করা হয়েছে। ডাক্তারদের মতে শিশুদের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হলেও সেটা বেশি ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে না। 

তিনি আরও বলেন পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা এখনও সরবরাহ হয়নি।  জার্মানীতে বয়স্কদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ লোক টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করতে পেরেছে এবং ১৫ শতাংশ মানুষ টিকার ২য় ডোজ গ্রহণ করতে পেরেছেন। 

তার বক্তব্যে আরো বলেন কঠোর বিধি নিষেধের কারণে এবং সঠিক সময় করোনা টেস্ট করার কারণে জার্মানীতে করোনা সংক্রামনের পরিধি তেমন বিস্তার লাভ করতে পারেনি। তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরিধান করার ব্যাপারে কঠোর নজরদারী রাখেন। ফলে করোনা সংক্রামন জার্মানীতে তুলনা মূলক ভাবে তুলনামূলক ভাবে কম বিস্তার লাভ করেছে। মার্কেল এটাকা বড় সফালতা বলে মনে করেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url