google.com, pub-8571279523475240, DIRECT, f08c47fec0942fa0 Freelancers IT | Learn More About Freelancing and Outsourcing

sfd

ভালো ল্যাপটপ চেনার ১০ টি অসাধারণ উপায়

ল্যাপটপ কেনার পূর্বে একটি ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় কি? অথবা ল্যাপটপের বৈশিষ্ট্য কি? সেটা জেনে নেওয়া আমাদের জন্য প্রয়োজন তা না হলে অজ্ঞতাবশত আপনার উপার্জিত টাকা নষ্ট হতে পারে । 
অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে একজন সাধারন মানুষের ল্যাপটপ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা না থাকার কারণে কম্পিউটারের দোকানের সেলসম্যান এর কম্পিউটার দোকানের সেলসম্যান এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ল্যাপটপ কিনে থাকে। এক্ষেত্রে সেলসম্যান আপনার সুবিধার বিষয়টি বিবেচনা না করে তাদের ব্যবসার লাভের বিষয় বিবেচনা করে আপনার কাছে ল্যাপটপ বিক্রি করে এ ধরনের ল্যাপটপ কেনার কিছুদিন পর তখন ল্যাপটপের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে থাকে। তখন ল্যাপটপ নিয়ে হতাশা এবং চিন্তিতর মধ্যে থাকতে হয় আপনি যদি একটি নতুন ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে আগে যে সকল বিষয় জানা প্রয়োজন সেই সকল বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিজে নিজে একটি ভাল মানের ল্যাপটপ বাছাই করে পছন্দমত ল্যাপটপ কিনতে পারবেন। 
ভালো ল্যাপটপ চেনার ১০ টি অসাধারণ উপায়

এছাড়া এই সম্পূর্ণ কনটেন্টটি পড়লে আপনি একটি পুরাতন সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে ল্যাপটপের ভালোর দিকগুলো নিজে নিজে বুঝতে পারবেন, ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় কি, একটি নতুন ল্যাপটপ কেনার সময় ল্যাপটপের প্রসেসর রেম রোম অ্যান্ড ডিসপ্লে ব্যাটারি ল্যাপটপের সব আনুষাঙ্গিক আরো কিছু বিষয় বিবেচনা করে ভালো মানের ল্যাপটপ নির্বাচন করতে হয়, ল্যাপটপ এর কয়েকটি পার্টস এবং হার্ডওয়ার সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারণা থাকলে একটি ল্যাপটপ কেনার সময় আপনাকে কারো নিকট হতে পরামর্শ নিতে হবে না। সাধারণত একটি ল্যাপটপ কেনার সময় করে i3 প্রসেসর করে i5 করিয়া i7 মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায় আবার রেমের কষ্ট হচ্ছে 4gb নিলে ভালো হবে নাকি 8GB নিলে ভালো হবে, একটি ভাল মানের ল্যাপটপ কিনতে হলে নিচের বিষয়গুলো দেখে কিনতে হবে।

আরোও গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দেখুনঃ

প্রসেসর, সিপিইউ, রেম, রোম, হার্ডডিস্ক, ডিসপ্লে, মাদারবোর্ড, ল্যাপটপের সাইজ এবং ওয়েট এবং ল্যাপটপ এর ডিজাইন, অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার এবং ল্যাপটপ ব্র্যান্ড

এবং তার আগে একটা কথা বলে নি শুধু ল্যাপটপের ভালো বৈশিষ্ট্য দেখলে হবে না আপনি যে কাজ করবেন সেই কাজের উপর নির্ভর করবে আপনার ল্যাপটপ আপনি কি রকম নিবেন অথবা আপনার ল্যাপটপ কিরকম হবে।

আপনি কোন ধরনের ল্যাপটপ কিনবেন? এবং কত দামের ল্যাপটপ কিনবেন? সেটা আপনার কাজের উপর ডিপেন্ড করবে আপনি যদি শুধুমাত্র অফিসিয়াল কাজের জন্য এম এস ওয়ার্ড এক্সেল পাওয়ার পয়েন্ট ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং গানশোনা ও ভিডিও দেখার মতন হালকা-পাতলা কাজ করার জন্য ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে আপনাকে এক ধরনের ল্যাপটপ কিনতে হবে আবার আপনি উপরোক্ত কাজগুলো পাশাপাশি ফটো এডিটিং ভিডিও এডিটিং হালকা-পাতলা গেম খেলা সহ আনুষাঙ্গিক কিছু ভারী কাজ করতে চাইলে আপনি আরেক ধরনের ল্যাপটপ কিনতে হবে, কারণ ফটো এডিটিং ভিডিও এডিটিং হালকা-পাতলা ল্যাপটপ দিয়ে করা যায় না। 

তাছাড়া আপনি উপরের সবগুলো কাজের পাশাপাশি ভারী ভারী বড় বড় গ্রাফিক্সের কাজ করার পাশাপাশি বড় সফটওয়্যার দিয়ে ভিডিও এডিটিং করতে চাইলে আপনাকে সবচাইতে ভালো মানের ল্যাপটপ কিনতে হবে। সেইসাথে একদিনে 10 থেকে 12 ঘন্টা ল্যাপটপ ব্যবহার চাইলেও আপনাকে একটি ভালো মানের ল্যাপটপ কিনতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার বাজেট অনেক বেশি হবে। 

একটি ভালো ল্যাপটপের মূল বৈশিষ্ট্য কি কি? 

একটি ভাল মানের ল্যাপটপ চেনার জন্য ল্যাপটপের অনেক ধরনের বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করতে হয়। কিন্তু আপনি সকল ধরনের বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে কখনো ল্যাপটপ নির্বাচন করতে পারবেন না। তাছাড়া আমরা এখানে সবগুলো বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করলে ভাল মানের ল্যাপটপ বাছাই করার ক্ষেত্রে আপনি অনেকাংশে কনফিউজ হয়ে যাবেন। সেই জন্য একটি ভালো মানের ল্যাপটপ কেনার জন্য ল্যাপটপ এর বৈশিষ্ট্যগুলো সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং অবশ্যই প্রয়োজনীয় কেবলমাত্র সেই বৈশিষ্ট্য নিয়ে এখানে আলোচনা করবো, নিজের সকল বিষয় সম্পর্কে আপনি পূর্ণাঙ্গ আইডিয়া নিতে পারলে খুব সহজে নিজে নিজে একটি ভাল মানের ল্যাপটপ কিনতে পারবেন

1. প্রসেসর বা সিপিইউ

একজন ক্রেতা ল্যাপটপ কেনার সময় ল্যাপটপের প্রসেসর নির্বাচনের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ বাজারে এত এত কোম্পানি প্রসেসর এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরি প্রসেসর রয়েছে যাতে কোন ধরনের প্রসেসর ল্যাপটপের জন্য ভালো হবে সেটা একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিও সহজে বুঝে উঠতে পারেন না। সাধারণত কম্পিউটার প্রসেসর এর ক্ষেত্রে মার্কেটে দুই ধরনের কম্পানি সবচাইতে জনপ্রিয় একটি হচ্ছে এমডি এবং অন্যটি হচ্ছে ইন্টেল কোম্পানি অথবা ইন্টেল এর সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত কিন্তু এএমডি প্রসেসর সম্পর্কে আমরা খুব বেশি কিছু জানিনা। 

এখানে প্রশ্ন হচ্ছে আপনি এএমডি প্রসেসর কিনবেন? নাকি ইন্টেলের প্রসেসর কিনবেন? আসলে সেটা আপনার বাজেটের উপর নির্ভর করবে, আপনার জন্য এএমডি প্রসেসর ভালো হবে নাকি ইন্টেলের প্রসেসর ভালো হবে। আপনার বাজেট যদি 30000 টাকার কম হয়, তাহলে আপনার জন্য এএমডি প্রসেসর ভালো হবে। কারণ 30000 টাকার কম দামে ইন্টেলের ল্যাপটপ কিনলে, সে ল্যাপটপ থেকে আপনি ভালো পারফর্মেন্স পাবেন না। কারণ 30 হাজার টাকা দিয়ে কেনা এএমডি প্রসেসর যুক্ত ল্যাপটপ 30000 টাকার ইন্টেলের প্রসেসর চাইতে  অনেক ভালো পারফর্মেন্স দিবে। সুতরাং 30000 টাকার কম মূল্যে ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে এএমডি প্রসেসর আপডেট হবে। পক্ষান্তরে আপনার বাজেট 35000 টাকা বেশি হলে আপনি অনায়াসে ইন্টেলের প্রসেসর কিনতে পারেন কারণ 35 হাজার টাকার বেশি বাজেটের ইন্টেল প্রসেসর যুক্ত ল্যাপটপ থেকে আপনি এএমডি চাইতেও অনেক ভাল পারফরম্যান্স পাবেন। কারণ ইন্টেলের প্রসেসর তুলনামূলকভাবে অন্য সকলের চাইতে কম শক্তি অপচয় হয়।

কোন ধরনের প্রসেসর কিনবেন?

নতুন ও পুরাতন ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে একজন ক্রেতাকে এখানে আরো বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ এখন আপনি কোন ধরনের প্রসেসর কিনবেন? বাজারে অনেক রকম প্রসেসর এসেছে যেমন ডুয়েল কোর i3, i5 এবং i7 এছাড়াও সর্বশেষ যেটা এসেছে সেটা হচ্ছে i9। এখন আপনি কোন ধরনের প্রসেসর কিনবেন? আপনি যে ধরনের প্রসেসর কিনবেন সেটা আপনার কাজের উপর নির্ভর করবে। এছাড়াও এই কোর শব্দের অর্থ যদি আপনি জানেন তাহলে আপনার জন্য ল্যাপটপ কেনা আরো সহজ হয়ে যাবে কোর হচ্ছে যে প্রসেসর কোর যত বেশি সে প্রসেসরে ক্ষমতা ততবেশি এবং কম্পিউটার ততো বেশি কাজ করে এখানে কোর আই থ্রি মানে তিনটি কোর  নয় এবং কোর আই ফাইভ মানে পাঁচটি কোর  নয় এগুলো হচ্ছে প্রসেসর এর এক একটি ভার্সন সাধারণত আই থ্রি প্রসেসর দুইটি কোর আছে এবং i5 ভার্সনে চারটি কোর থাকে, সম্পূর্ণ বিষয়টি বোঝানোর জন্য আমি আরো ক্লিয়ার করে একটি উদাহরণ দিচ্ছি। 

মনে করেন আপনাকে এক প্লেট ভাত দেওয়া হলো খাওয়ার জন্য আপনার একাই ভাত খেতে কমপক্ষে সময় লাগবে 2 মিনিট এবং সেই এক প্লেট ভাত যদি আপনাদের দুই জনকে দেওয়া হয়, তাহলে আপনাদের সময় লাগবে এক মিনিট। প্রসেসর এর ক্ষেত্রেও একই হিসাব, এখন উপরের বিষয় থেকেই আমার মনে হয় আপনাদের বুঝতে একটুও বাকি নেই যে, আপনার জন্য কোন ধরনের প্রসেসর ভালো হবে। আপনি যদি শুধুমাত্র অফিসিয়াল কাজের জন্য এমএস ওয়ার্ড এক্সেল পাওয়ার পয়েন্ট ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং গান শোনা ও ভিডিও দেখার মতো হালকা পাতলা  কাজ করেন, তাহলে কোর আই 3 প্রসেসর এর ল্যাপটপ কিনতে পারেন, ফটো এডিটিং ভিডিও এডিটিং এবং গেম খেলা সহ ভারী কোনো কাজ করার জন্য আপনার জন্য আই ফাইভ প্রসেসর ভালো হবে, সেই সাথে আরো ভারী ভারী কাজ করার জন্য আপনাকে আই সেভেন অথবা আই নাইন ল্যাপটপ কিনতে হবে।আর আপনি যত বেশি কোরের ল্যাপটপ কিনবেন আপনার বাজেট কিন্তু তত বেশি হবে।

কম্পিউটারের প্রসেসর এর জেনারেশন কি

কম্পিউটারের প্রসেসর এর ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় হচ্ছে জেনারেশন। প্রায় সময় আমরা ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ জেনারেশন এর ল্যাপটপের নাম শুনে থাকি। প্রসেসর এর জেনারেশন যত বেশি হয় প্রসেসর তত কম শক্তি অপচয় করে এবং প্রসেসর ততো বেশি শক্তিশালী হয়। কারণ প্রসেসর এর জেনারেশন আপডেট হওয়ার সাথে সাথে প্রসেসর এর চিপসগুলো ছোট হতে থাকে। যার ফলে প্রসেসর এর কম শক্তি অপচয় এবং ব্যাটারির কম চার্জ কম খরচ করেও বেশি কাজ করতে পারেন। বর্তমানে 9 এবং 10 জেনারেশনের ল্যাপটপ বেশি জনপ্রিয়। তবে ল্যাপটপের জেনারেশন যত বেশি হবে ল্যাপটপের দাম তত বেশি হবে

2. রেম

রেম ল্যাপটপের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ল্যাপটপের প্রসেসর এর চাহিদা তুলনায় ল্যাপটপের রেম কম হলে আপনাদের চাহিদা মতন ল্যাপটপের ভালো গতি পাওয়া যাবে না সেজন্য প্রসেসর এর শক্তি বিবেচনা করে রেমের কম বেশী হয়ে থাকে আপনি যদি i3 এর ল্যাপটপ কিনেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই 4gb রেম হতে হবে, এবং আই ফাইভ ল্যাপটপের জন্য 8gb এবং আই সেভেন ল্যাপটপের জন্য 16 জিবি রেম এর ল্যাপটপ কিনতে হবে, সেই ক্ষেত্রে 8 9 10 জেনারেশনের ল্যাপটপের জন্য ddr4 রেম এর ল্যাপটপ ক্রয় করবেন, ddr4 রেম অন্যান্য রেমের তুলনায় শক্তিশালী ও দ্রুতগতির হয়।

3. রোম বা হার্ডডিস্ক

কম্পিউটারের স্থায়ী মেমোরি কে হার্ডডিস্ক বলা হয়, এ হার্ডডিস্কে আমাদের সকল ফাইল সংরক্ষণ করা থাকে, সেইসাথে ল্যাপটপের হার্ড ডিক্সের সি ড্রাইভের ল্যাপটপের সকল সিস্টেম সফটওয়্যার ইনস্টল থাকে। আমরা সাধারণ ব্যবহারকারীরা ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক থেকে তেমন গুরুত্ব দেইনা। নরমালি আমাদের ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক ১tb  পেলে আমরা খুশি হয়ে যায়। কিন্তু আমরা জানি না যে ল্যাপটপের প্রসেসর রেম রোম এবং হার্ডডিস্ক এর সম্বন্ধে একটি ল্যাপটপ এর স্পিড নির্ভর করে। এই তিনটির মধ্যে যেকোনো একটি একটু দুর্বল হলে আপনি আপনার চাহিদামত স্পিড পাবেন না সেই সাথে শুধু বড় মাপের হার্ডডিস্ক হলেই হবে না। হার্ডডিস্কটা ভালো মানের হতে হবে। আপনার বাজেট মাঝারি অংকের হয়ে থাকলে একটি ১ টিবি হার্ডডিস্ক এর পাশাপাশি একটি 128gb কিংবা 256gb এসএসডি যুক্ত ল্যাপটপ কিনলে ল্যাপটপের স্পিড অনেক বেশি পাবেন কারণ এসএসডি এর মধ্যে উইন্ডোজ ইনস্টল করে রাখলে ল্যাপটপ অনেক দ্রুত কাজ করবে,।

4. মাদারবোর্ড

মাদারবোর্ড হচ্ছে কম্পিউটারের সার্কিট বোর্ড। এক কথায় এটি কম্পিউটারের মূল ফাউন্ডেশন হিসেবে কাজ করে। এটি কম্পিউটারের চেসিস এর সাথে কিংবা সাইটে যুক্ত থাকে। মাদারবোর্ড কম্পিউটারের অন্যান্য ডিভাইস এর পাওয়ার সাপ্লাই দেয় এবং সিপিইউ রেম অন্যান্য হার্ডওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। মাদারবোর্ডের আরো অনেক নাম রয়েছে যেমন এমবি, বেচ বোর্ড, মোবো, বেস বোর্ড, মেইন বোর্ড, মেইন সার্কিট বোর্ড, এম-বোর্ড, সিস্টেম বোর্ড, প্লানার বোর্ড, লজিক বোর্ড ইত্যাদি, কম্পিউটারের সাইজ ও টাইপিং এর ওপরে বিভিন্ন ধরনের মাদারবোর্ড রয়েছে ল্যাপটপ এর মাদারবোর্ড নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। তবে ল্যাপটপ কেনার সময় ল্যাপটপের মাদারবোর্ড আপডেট এবং সব ধরনের চিপস সাপোর্টেড কিনা জেনে নিবেন যেমন ধরেন,

বিশেষ করে DDR4 RAM  M .2 ssd  এবং NVME M.2 SSD  সাপোর্ট করে কিনা তা জেনে নিয়ে ল্যাপটপ কিনবেন।

এছাড়া ভবিষ্যতে ল্যাপটপ আপগ্রেড করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে ।

5. ল্যাপটপের ডিসপ্লে

1366x768 সাইজের ডিসপ্লে হাফ এইচডি।

1920x1080 সাইজের ডিসপ্লে ফুল এইচডি।

বর্তমান সময়ে হাস এইচডি ডিসপ্লে এর চাহিদা খুব একটা নেই। এইজন্য ল্যাপটপ কেনার সময় ফুল এইচডি ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করবেন। তাহলে হাই রেজুলেশনের ভিডিও দেখা স্বচ্ছ ক্লিয়ার এবং পরিষ্কার । এছাড়াও গ্রাফিক্সের ভিডিও এডিটিং এর কাজ খুব সহজেই করতে পারবেন। তবে শুধুমাত্র ফুল এইচডি ডিসপ্লে ল্যাপটপ কিনলেই হবে না ফুল এইচডি ডিসপ্লে কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই ল্যাপটপের গ্রাফিক্স কার্ড আছে কিনা সেটাও গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। কারণ ফুল এইচডি ল্যাপটপে গ্রাফিক্স কার্ড না থাকলে আপনার ল্যাপটপ ফুল এইচডি ডিসপ্লে হলেও গ্রাফিক্স কার্ড না থাকায় গ্রাফিক্সের কাজ করা এবং ভিডিও এডিটিং অথবা ভিডিও দেখার সময় ফুল এইচডি সুবিধাটি পাবেন না। কারণ ফুল এইচডি পেতে হলে গ্রাফিক্স কার্ড এর প্রয়োজন অবশ্যই। এইজন্য ল্যাপটপ কেনার সময় ফুল এইচডি ডিসপ্লে দেখে কিনবেন এবং সেইসাথে সর্বনিম্ন 2 জিবি গ্রাফিক্স কার্ড আছে কিনা চেক করে নেবেন। যদি না থাকে তাহলে 2 জিবি গ্রাফিক্স কার্ড সহ ফুল এইচডি ডিসপ্লের ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করবেন। তবে আপনি গ্রাফিক্সের কাজ অথবা কোন রকম গেম খেলতে চাইলে 4gb গ্রাফিক্স কার্ড দেখে কিনবেন তাহলে গ্রাফিক্সের সুবিধাটি আরেকটু বেশি পাবেন।

6. ব্যাটারি ক্যাপাসিটি

ব্যাটারি মাধ্যমে ল্যাপটপ চার্জ করে বিদ্যুৎ ছাড়াই যেকোন জায়গা থেকে ব্যবহার করা যায়। বিধায় ল্যাপটপের চাহিদা এত বেশি যে, সকল ব্যাটারির গায়ে 44 WH /50 WH লেখা থাকে সেগুলো বেশি সময় ধরে চার্জ সংরক্ষণ করতে পারে। ল্যাপটপের ব্যাটারির অফিশিয়াল ডকুমেন্ট দেখে ল্যাপটপের ব্যাটারির ক্যাপাচিটি এবং ব্যাকআপ দেখে নিবেন, নরমালি 6 থেকে 7 ঘন্টা ব্যাকআপ পাওয়া যায় এমন ল্যাপটপ দেখে কিনবেন।

7. ল্যাপটপ সাইজ এবং ওয়েট

আপনি মূলত কি কাজের জন্য ল্যাপটপ কিনবেন সেটার উপর নির্ভর করে আপনার ল্যাপটপের সাইজ এবং ওয়েট নির্ধারণ করতে হবে। আপনি যদি ঘরে বসে কাজ করতে চান তাহলে আপনার জন্য এক সাইজের ল্যাপটপ হবে আপনি যদি বাইরে কোথাও কাজ করতে চান, তাহলে আরেক ধরনের ল্যাপটপ হবে, সাধারণত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে কাজ করতে হয় এবং বিভিন্ন মিটিং এর প্রেজেন্টেশন করতে হয় তাদের কাছে একটু ছোট সাইজের হালকা-পাতলা ল্যাপটপ কেনা ভালো। এতে সহজে বহন করা সম্ভব হয় এবং যে কোন জায়গায় ব্যবহার করতে কম্ফোর্টেবল হয়। সচরাচর বাহিরে কাজ করার প্রয়োজন না হলে আপনি 15 ইঞ্চি ল্যাপটপ কিনতে পারেন, তবে বাহিরে কাজ করার জন্য 14 ইঞ্চি ল্যাপটপ এবং হালকা-পাতলা ল্যাপটপ কেনা ভালো। সেই সাথে আপনার বাজেট একটু বেশি হলেও নোটবুক কেনা আপনার জন্য ভালো হবে। 

8. অপারেটিং সিস্টেম বা সফটওয়্যার

অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে আমি বলব সব সময় উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা ভালো। খুব অল্প দামে কিনতে পাওয়া যায়। তাছাড়া আপনি টাকা খরচ করতে না চাইলে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে ক্রাক করেও সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে আমি বলবো পাইরেট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার না করে কিছু টাকা খরচ করে হলেও উইন্ডোজ টেন প্রো ভার্সন ব্যবহার করলে ল্যাপটপ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বেশ ভালো পারফর্মেন্স দিবে। বাজেট কম হলে আপনি উইন্ডোজ টেন হোম ব্যবহার করতে পারেন।

9. অন্যান্য হার্ডওয়্যার

ল্যাপটপের অনেক সময় এসডিকার্ড লাগানোর প্রয়োজন পড়ে সেজন্য ল্যাপটপে এসডি কার্ড লাগানোর পোর্ট আছে কিনা দেখে নিবেন, যদি এসডি কার্ডের পোর্ট থেকে থাকে তাহলে কাটরিটার ছাড়া আপনি এসডি কার্ড অথবা ডিএসএলআর এর এসডি কার্ড অ্যাক্সেস করতে পারবেন। এছাড়াও ল্যাপটপের ইউএসবি 3.0 আছে কিনা দেখে নিবেন। সাধারণত সকল ল্যাপটপের ইউএসবি থাকে তবে 2.0 থাকে একটু খেয়াল করে দেখে নিবেন 2.0 চাইতে 3.0 স্পিড একটু বেশি দেয়। এজন্য সব সময় 3.0 দেখে নিবেন, তাছাড়া একটি ভাল মানের ল্যাপটপ কেনার সময় ল্যাপটপের কিবোর্ড বাকলাইট সবকিছু আছে কিনা তাঁহলে অন্ধকারের বোতাম পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। 

10. কোন ব্রান্ডের ল্যাপটপ কিনবেন

ল্যাপটপ কেনার আগে সবাই বুঝতে পারে না যে, কোন ব্রান্ডের ল্যাপটপ ভালো। ল্যাপটপের ব্র্যান্ড কিন্তু একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অধিকাংশ লোক ল্যাপটপ কেনার আগে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না যে কোন ব্রান্ডের ল্যাপটপ কিনবো বা কোন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ সবচাইতে ভালো ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে কেউ বলে DELL ভালো কেউ বলে HP ভালো আবার কেউ বলে ASUS ভালো আবার কেউ বলে ACER ভালো আবার কেউ বলে LENOVO ভালো। সবকিছু বাদ দিয়ে আমি বলব যে অ্যাপেলের ল্যাপটপ ভালো, তবে এর বাজেট এত বেশী যে এটা আমাদের ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকে যার জন্য আমি বলব, এছাড়াও আমি বলবো অ্যাপেলের ল্যাপটপ আমাদের দেশের সার্ভিস নেই আমাদের দেশে কোন সার্ভিসিং হয় না অ্যাপেলের ল্যাপটপ নিয়ে আপনাদের যদি কোনো সমস্যায় পড়ে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের সেটার কোন সার্ভিস হবে না, মিড বাজেট এর মধ্যে বর্তমানে সবচাইতে ভালো ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ হচ্ছে HP DELL  ASUS এবং ACER আমি ব্যক্তিগতভাবে বলি HP ProBook সিরিজের ল্যাপটপ একটু বেশি ভালো হবে। এছাড়াও সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে যে চার-পাঁচটি ব্রান্ডের নামঃ আমি বলেছি এগুলো আপনার এলাকার মধ্যে সার্ভিসিং সেন্টার আছে নাকি দেখে কিনবেন যদি সার্ভিসিং সেন্টার না থাকে পরবর্তীতে যদি আপনার ল্যাপটপের কোন সমস্যা হয় আপনাকে নানান রকম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে।

আরো দেখুনঃ

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।

Next Post Previous Post
2 Comments
  • CHBD
    CHBD 20 June 2021 at 17:18

    Wow, nice post and very helpful

    • Md Abdur Rahman
      Md Abdur Rahman 20 June 2021 at 17:23

      Thanks for your good comment. To get more stay with us.

Add Comment
comment url

as