google.com, pub-8571279523475240, DIRECT, f08c47fec0942fa0 Freelancers IT | Learn More About Freelancing and Outsourcing

sfd

ফাইবারে বেশি কাজ পাওয়ার সকল সিক্রেটস জানুন

যারা ফাইবার মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কাজ করেন তারা হয়তো সবাই কম বেশি গিগ শব্দের সাথে পরিচিত। ফাইবারে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটি গিগ তৈরী করতে হবে । মূলত গিগে আপনার কাজের অভিজ্ঞতাকে দেখানো হয় তার মাধ্যমেই আপনি  বায়ারের কাছ থেকে ওর্ডার বা কাজ পেয়ে থাকেন। ফাইবার মার্কেট প্লেসে একটি আদর্শ গিগ আপনার ওর্ডার পাওয়ার জন্য সব থেকে বেশি ভূমিকা রাখে। 
তাই আজ আমরা জানবো কী করে আপনি একটি ভাল মানের গিগ তৈরী করবেন এবং গিগ পাবলিশ করার পর আপনার কী কী করতে হবে সেই সম্পর্কে।

দ্রুত কাজ পাওয়ার সিক্রেট টিকস জানতে নিচের পোস্টগুলো দেখুন। 

গিগ কী?

সহজ ভাষায় গিগ হলো কোন বিশেষ ক্যাটাগরি ভিত্তিক ছবি বা ভিডিও সম্বলিত একটি প্রেজেনটেশন যেখানে একটি সেলারের কাজর ধরন,নমুনা,সুবিধা ইত্যাদি তুলে ধরা হয়।

গিগ তৈরীর সময় যে বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে হবে!
১। আপনাকে প্রথমতো ফাইবারের গিগ তৈরীর উপর যে নির্দেশনা আছে তা ভাল করে পড়ে নিতে হবে।

২। আপনাকে বেশি কাজ পাওয়ার জন্য অবশ্যই আগে নিজে যে কাজ জানেন সেটাতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

৩। বেশি বেশি মার্কেট প্লেসেগুলোতে রিসার্স করতে হবে। তাড়াহুড়া করে একদিন কখনো গিগ তৈরী করে পাবলিশ করবেন না। প্রয়োজনে ২-৩ দিন ধরে সব কিছু ঠিক করে সময় নিয়ে ভাল মানের গিগ তৈরী করুন। প্রয়োজন ড্রাফ্টে গিগ রেখে দিন একটু একটু করে তৈরী করুন।

৪। যেহেতু বর্তমানে মার্কেট প্লেসেগুলোতে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি তাই যে বিষয়টিতে এখনো সবাই খুব বেশি কাজ করে না সে বিষয় নিয়ে গিগ তৈরী করতে হবে।

৫। গিগ তৈরীর সময় নিজের করা কাজের নমুনা ব্যবহার করতে হবে কারো থেকে কপি করে দেওয়া যাবে না।

৬। গিগে যদি ইমেজ ব্যবহার করা হয় খেয়াল করতে হবে সেটি যেন আকর্ষনীয় হয় এবং হিজি বিজি না হয়? আবার ভিডিও দিয়ে তৈরী করলে খেয়াল করতে হবে ভিডিও যেন বেশি বড় না হয়ে যায়।

৭। গিগ তৈরীর সময় গিগের জন্য যে মাপ রয়েছে তা সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে হবে কোন রকম কম বেশি যেন না হয়।

৮। আপনি যদি এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই গিগের ইমেজের বা ভিডিওর অফলাইন SEO করুন এতে করে গিগের র‌্যাংক দ্রুত হবে।

৯। গিগ তৈরীর পর গিগের যে ডিসক্রিপশন তা যেন স্পষ্ট,সুন্দর,আকর্ষনীয় হয়। মূল বিষয় গুলো যেন হাইলাইট হয় এবং প্রয়োজনে নিজের পোর্টফোলিও যুক্ত করে দিন।

১০। একজন প্রাথমিক লেভেলের সেলার হিসেবে গিগের প্রাইজিং একটু কম রাখাই ভাল।
 
১১। গিগ তৈরী হয়ে যাওয়ার পর তা পাবলিশ করার আগে একবার ভাল করে রিভিও করে সব দেখে নিন এর পর সব ঠিক থাকলে পাবলিশ করুন।

১২। গিগ পবলিশ করার পর কখনো গিগ এডিট করবেন না ? কাজ না পেলে প্রয়োজনে গিগ ডিলিট করে আবার নতুন গিগ দিন তবুও গিগ এডিট করবেন না? গিগ এডিট করলে গিগের র‌্যাংক কমে যায় কাজও আশা বন্ধ হয়ে যায়।

গিগের অনলাইন/অফলাইন SEO কেন করবেন? কীভাবে  করবেন?

ফাইবার এমন একটি মার্কেট প্লেস যেখানে দক্ষ অদক্ষ উভয়ে কাজ করে। এখানে প্রতিযোগিতা অনেক তাই প্রতিযোগিতায় নিজেকে ধরে রাখতে হলে একটু আলাদা আর এক্সপার্ট হতে হবে। এই মার্কেটে এমনও হয় যে, কাজ না জেনে টপ রেটেড সেলার আবার হাজার কাজ জানার পরও কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

তাই ফাইবারে কাজ করতে হলে নিজেকে অনেক আপডেট আর সচেতন হতে হবে। আপনার পরিচিত যারা ফাইবারে ভাল অবস্থানে আছে প্রয়োজনে তাদের গাইডলাইন ফলো করুন। 

এখন আসি ফাইবারের জন্য গিগের  SEO কেন করবেন?
আপনি যদি আজ থেকে ফাইবারে কাজ শুরু করেন তাহলে আপনি ফাইবারে আপনার কাজের ক্যাটাগরিতে কতো তম সেটা কী জানেন? নিশ্চয় জানেন না? তাহলে সাব ক্যাটাগরিতে কতো তম?
আসলে কোনটিই আপনার জানা নেয়। তাহলে ভাবুন এতো হাজার হাজার সেলার থাকতে আপনাকে কেন কাজ দিবে? আপনার ক্যাটাগরিতে অনেক টপ রেটেড,লেভেল টু,লেভেল ওয়ান সেলার আছে তাহলে আপনি নতুন আপনাকে কেন কাজ দিবে? এখন আপনার প্রশ্ন নতুনরা কী তাহলে ওর্ডার পাবে না? উত্তর হ্যাঁ অবশ্যই পাবে।

এই হাজার হাজার সেলারের মাঝে আপনার গিগটিকে যেন ফাইবার প্রথম পেজে বা বায়ার যখন সার্চ করবে তখন তার কাছে প্রদর্শন করে এর জন্যই মূলত আপনাকে  SEO করতে হবে। SEO আপনি দুইভাবে করতে পারেবন একটি অফলাইন অপরটি অনলাইন এই দুইটিইি একটি আদর্শ গিগের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ন। বেশি বেশি কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে বেশি বেশি কী-ওয়ার্ড রিসার্চ আর  SEO খুব ভাল করে করতে হবে।

অফলাইন  SEO করার পদ্ধতিঃ-
আপনি যে নিস বা ক্যাটাগরিতে কাজ করবেন বা গিগ তৈরী করবেন সেই রিলেটেড কী-ওয়ার্ড দিয়ে ফাইবারে সার্চ করবেন তাহলে সেই রিলেটেড আরও অনেক কী-ওয়ার্ড পাবেন।


এই প্রক্রিয়ায় নোট প্যাডে সংরক্ষন করুন..



এখন এই সমস্ত কী-ওয়ার্ড নোট প্যাডে সংরক্ষন করুন। এরপর আপনার সার্ভিস রিলেটেড বিভিন্ন গিগ ভিজিট করুন এবং তাদের টাইটেল একই ভাবে নোট প্যাডে সংরক্ষন করুন। 
 নিচের এই প্রক্রিয়ায় টাইটেল সংরক্ষন করুন..
কী-ওয়ার্ড ও টাইটেল নেওয়া হয়ে গেলে একটি আকর্ষনীয় গিগের ইমেজ বা ভিডিও তৈরী করুন। অতঃপর ইমেজ তৈরী হয়ে গেলে সেটিকে ফটোশপে নিয়ে আপনার সংরক্ষিত কী-ওয়ার্ড ও টাইটেল নিচের ইমেজের মতো বসিয়ে সেভ করুন।


এই প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে আপনার গিগের যে টাইটেল দিবে সেটিই ইমেজের নাম সেট করুন।
এর পর ইমেজের রাইট সাইডে ক্লিক করে প্রেপার্টিজে গিয়ে চেক করুন যে ট্যাগ,টাইটেল,কমেন্ট সব ঠিক আছে কী না? সব ঠিক থাকলে আপনার গিগটির অফলাইন SEO করা শেষ।

অনলাইন SEO কী ভাবে করবেন?

আপনি গিগ দেওয়ার সময় প্রথম পেজেই ৫ টি ট্যাগ যুক্ত করতে পারবেন লক্ষ রাখতে হবে এই ৫ টি ট্যাগ যেন আপনার কাজের সাথে ১০০% মিল থাকে এবং ছোট হয়। এই ৫ টি ট্যাগের জন্যই মূলত আপনার গিগ বায়ারের সার্চে দেখাবে। তাহলে খুব সর্তক হয়ে ভাল মতো ট্যাগ গুলো দিতে হবে। এর পার ডেসক্রিপশনে আপনার কাজের সাথে কী কী থাকছে এবং বায়ার আপনাকে কেন ওর্ডার করবে এমন সব সুবিধা লিখুন । এর পর সবার নিচে আপনার গিগ রিলেটেড ১৫-২০ ট্যাগ যুক্ত করুন।


এই ভাবে আপনার আপনার গিগটির অনলাইন SEO করা শেষ। এখন যদি আপনি এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে গিগ পাবলিশ করে থাকেন তাহলে ফিল্টার করে সার্চ করলে নিউ গিগের ১ম পেজের ১ম গিগেই আপনার হবে ইনশাআল্লাহ। ধীরে ধীরে আপনার গিগ ফিল্টার না করেই ১ম পেজে দেখাবে।

গিগ পাবলিশ করার পার আপনার করনীয় কী? 
১। প্রথমেই আপনাকে ২৪ ঘন্টাই ফাইবারে এক্টিভ থাকতে হবে। ২৪ ঘন্টায় এক্টিভ থাকার উপায় আমাদের আগের একটি ব্লগে পাবেন।

২। প্রতিদিন ১০ করে বায়ার রিকুয়েষ্ট পাঠাতে হবে। কী ভাবে বায়ার রিকুয়েষ্ট দিলে কাজ পাওয়ার সম্ভবনা বেশি তার জন্য আমাদের আগের একটি ব্লগ পড়তে পারেন।

৩। বিভিন্ন সোশাল মিডিয়াতে আপনার গিগের মার্কেটিং করতে হবে।

৪। নিয়মিত গিগের ইমপ্রেশন,ক্লিক,ভিও চেক করে দেখতে হবে সব ঠিক আছে কী না। 

৫। এতো সব কিছু করার পরও ওর্ডার না আসলে আবার নতুন গিগ তৈরী করে দিতে হবে।

৬। গিগে কখনো এডিট করা যাবে না।

৭। কাজ পাওয়ার জন্য সম্ভাব্য যে বিষয়ে প্রতিযোগিতা কম সেই বিষয় নিয়ে গিগ পাবলিশ করারই ভাল।

মূলত এই সমস্ত বিষয়গুলো ফলো করলেই ইনশাআল্লাহ কাজ পাওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি। আর একটি ওর্ডার ম্যানুয়ালী আসলে সেটার ফিডব্যাক ভাল হলেই আপনি পরবর্তিতে নিয়মিত ওর্ডার পাবেন। শুধু চেষ্টা রাখতে হবে  কাজের মান যেন ভাল হয় বায়ার যেন খুশি হয়ে ৫ স্টার রেটিং দেয়।

এতো সময় ধরে আমাদের পোষ্টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। পোষ্টি ভাল লাগলে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের জানার সুযোগ করে দিন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

as