স্মার্ট কার্ড না থাকলে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্রোফাইল ভেরিফাই করবেন?

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় পেশা হয়ে দাড়িছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেখানে বুড়ো থেকে শুরু করে ১২-১৩ বছরের ছেলে মেয়েরাও কাজ করছে। চাইলেই যে কেউ যে  কোন বয়সেই কাজ করতে পারে এখানে তাতে কোন ধরা বাধা নেই। 

কিন্তু বিপত্তি আসে দুই জায়গায়। চাইলে যে কউ কাজ করতে পারে ঠিকি কিন্তু চাইলে যেকোন বয়সে একউন্টের মালিক হওয়া যায় না। কোন যায় না চলুন আগে সেটি জানা যাক।

আপনি যে কোন অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করতে পারেন কিন্তু আপনাকে সেখানে একটি স্থায়ী সেলার বা বায়ার হিসেবে একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে। আপনি চাইলে যে কারো দ্বারা কাজ করিয়ে নিতে পারেন কিন্তু একাউন্টের মালিক হবে একজনই। সেই মালিকের নামেই সকল আর্থিক লেনদেন হবে।

এখন আসি বিপত্তি কোথায়? 

আমরা যারা ফ্রিল্যান্সিং করি তাদের অধিকাংশের বয়স ১৮ বছরের নিচে তাই তাদের কেউ বাংলাদেশী নাগরিক নয় এবং কারো নিজস্ব ভোটার আইডি কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা পাসপোর্ট নেই। আর আমার যে সমস্ত অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করি তারা সবাই এই তিনটি দিয়ে একজন ব্যক্তিকে তাদের ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য নিবন্ধিত করে। আবার যখন টাকা উত্তলোনের জন্য কোন পেমেন্ট মেথোড ব্যবহার করতে হয় তারাও একই পদ্ধিতে নিবন্ধিত করে থাকে। তাহলে যাদের এই কার্ডগুলো নেই তারা কী কাজ করতে পারবে না? আবার টাকাও কী তুলতে পারবে না? উত্তর হ্যাঁ অবশ্যই পারবে। আর আমরা আজকে এই সম্পর্কেই বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।

ফ্রিল্যান্সিং জগতে আসতে চাইলে অবশ্যই আপনার একটি NID সাধারন কার্ড তবে SMART CARD হলে খুব ভাল হয়। কারন অনেক ওয়েবসাইট সাধারন এনআইডি কার্ড গ্রহন করে না। এখন আপনি যে মার্কেটপ্লেসেই প্রোফাইল করুন না কেন, আপনার প্রোফাইল টি NID বা SMART CARD দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে হবে। আর ভেরিফিকেশন করতে যা লাগবে ঃ

  • NID বা SMART CARD অথবা
  • পাসপোর্ট অথবা
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স

দ্রুত কাজ পাওয়ার সিক্রেট টিকস জানতে নিচের পোস্টগুলো দেখুন। 

এছাড়া পেমেন্ট মেথড যুক্ত করার সময় যেই পেমেন্ট মেথডই ব্যবহার করেন না কেন আপনাকে NID বা SMART CARD বা পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে হবে। এরপর ব্যাংক একাউন্ট করতে গেলে তো অবশ্যই NID বা SMART CARD লাগবে।

নিজের NID বা SMART CARD না থাকলে পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স করে নিতে পারেন এবং তা দিয়ে সকল একাউন্ট ভেরিফাই করতে পারবেন। কোন সমস্যা হবে না।

কিন্তু পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলে কিছু টাকা ব্যয় করতে হয় যা অনেকের কষ্ট হয়ে যায় আবার প্রয়োজনও পড়ে না। তাই আমরা দেখব পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই কিভাবে আপনি আপনার যে কোন ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট ভেরিফেকেশন করবেন।

NID বা SMART CARD সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান কীঃ-

মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইল তৈরি করার সময় দুই টি স্টেপ এ তথ্য দিতে হয়। 

প্রথম হলো ফ্রন্ট-ইন যা সকলে দেখতে পায়। যেমনঃ ইউজার নেম, প্রোফাইল পিকচার, ডেসক্রিপশন, স্কিলস। এইসব তথ্য NID বা SMART CARD এর সাথে সম্পর্কিত নয়।

প্রোফাইল ১০০% কমপ্লিট করতে হলে দ্বিতীয় স্টেপ এ আারও তথ্য দিতে দিতে হয় যেখানে NID বা SMART CARD অনুসারে নাম. জন্ম তারিখ, ঠিকানা দিতে হয়। এইসব তথ্যের সাথে NID বা SMART CARD এর তথ্য ভেরিফিকেশন করা হয়। কোন ভাবে অমিল থাকলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীণ হতে হয়।

যখন নিজের NID বা SMART CARD থাকবে তখন কোন সমস্যা নেই। সকল তথ্য নিজের NID বা SMART CARD অনুসারে দিবেন। এমনকি জিমেইল এর সকল তথ্যও হবে একই NID বা SMART CARD অনুসারে।

কিন্তু সমস্যা হলো যদি নিজের NID বা SMART CARD  ছিল কিন্তু আগে একটি একাউন্টে ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেই একাউন্টি সাসপেন্ড হয়ে গেছে। তাহলে কি করবেন? এই সকল সব সমস্যার সমাধান পাবেন নিচের অংশে এর আগে জানা যাক একাউন্ট তৈরীর সময় কিছু সাধারন প্রশ্ন এবং তার উত্তর।

একাউন্ট তৈরীর সময় কিছু সাধারন প্রশ্ন এবং তার উত্তরঃ-

১। প্রশ্নঃ আমার কোন NID বা SMART CARD বা পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স কোন কিছুই নেই আমি কী একাউন্ট করতে পারবো?

উত্তরঃ হ্যাঁ পারবেন। সেই ক্ষেত্রে আপনার আপনজন কারো NID বা SMART CARD বা পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করবেন সেই সাথে তার সকল তথ্য দিয়ে একাউন্ট খুলবেন এমন কী পেমেন্ট নেওয়ার সময়ও তার তথ্য দিয়েই একাউন্ট করবেন। আপজন একটু শিক্ষিত হলে ভাল হয় কারন অনেক ওয়েবসাইটে লাইভ কলে ইংরেজীতে প্রশ্ন (সাধারন প্রশ্ন) করে তথ্য যাচাই করে ভেরিফাই করে।

২। প্রশ্নঃ আমার একটি NID বা SMART CARD বা পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ফ্রিল্যান্সার ডট কমে একটি একাউন্ট আছে আমি কী ওইটা দিয়ে ফাইবার,আপওয়ার্ক,ডিজাইন হিল,গ্রাফিক্স রিভার ইত্যাদিতে একাউন্ট করতে পারবো?

উত্তরঃ হ্যাঁ পারবেন। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে একটি NID বা SMART CARD বা পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে প্রতিটি মার্কেটপ্লেসে একটি করে একাউন্ট করতে পারবেন কিন্তু কোন মার্কেটপ্লেসে একই আইডি দিয়ে একাধিক একাউন্ট করতে পারবেন না।

৩। প্রশ্নঃ আমি যার নামে একাউন্ট করছি তার নামেই কী ব্যাংক একাউন্ট করতে হবে?

উত্তরঃ হ্যাঁ তার নামেই করতে হবে ।

৪। প্রশ্নঃ আমার একটি পিসিতে একই সাথে ফাইবার বা আপওয়ার্ক,ডিজাইনহিল,গ্রাফিক্স রিভার ইত্যাদিত লগইন করা যাবে কী?

উত্তরঃ হ্যাঁ যাবে । তবে অবশ্যই খেলা করতে হবে একই পিসি বা ল্যাপটপে যেন একই মার্কেটপ্লেসের একাধিক একাউন্ট লগইন না থাকে। এতে করে একউন্ট সাসপেন্ড হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

৫। প্রশ্নঃ আমি কী উইজার নাম বা সম্পূর্ন নাম ফেক দিতে পারবো ? সময় হলে পরির্বতন করব?

উত্তরঃ হ্যাঁ পারবেন তবে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং নয় আপনার জন্য অন্য কিছু। কারন আপনাদের মতো লোকদের জন্যই মার্কেট প্লেসগুলো এতো কড়াকড়ি শুরু করছে। ফ্রিল্যান্সিং করতে আসছেন ফেসবুক একাউন্ট খুলতে নয়। মনে রাখবেন সম্পূর্ন নাম এবং ভাল একটি প্রোফাইল পিকচার এবং ভেরিফাইড একাউন্ট আপনার ভাল কাজ পাওয়ার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন।

৬। প্রশ্নঃ আমি কী মার্কেট প্লেসে একাউন্ট খোলার সাথে ব্যাংকেও একাউন্ট করব?

উত্তরঃ আগের ব্যাংক একাউন্ট থাকলে সেটাই এড করবেন এবং ওই ব্যাংকের সকল তথ্যের সাথে মিল রেখে মার্কেট প্লেসগুলোতে একাউন্ট খুলবেন। আর যদি একাউন্ট না থাকে তাহলে আপাতত খোলার দরকার নাই। যখন টাকা উত্তলোন করবেন তখন প্রোফাইলের নামের সাথে NID বা SMART CARD বা পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্সর নামের মিল রেখে ব্যাংক একাউন্ট করবেন।

এখন আসুন আমার জানি যদি আমাদের নিজের NID বা SMART CARD বা পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে তাহলে কী করব?

নিজের NID বা SMART CARD না থাকলে যা করবেনঃ-

আপনি যার (আপনার পরিবারের যে কারো বা আপনার যে কোন বন্ধু বা নিকট আত্বীয়ের) NID বা SMART CARD দিয়ে  ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল করতে চান  ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসসের সাথে সম্পর্কিত সকল একাউন্ট যেমনঃ জিমেইল, পেওয়নার, ব্যাংক একাউন্ট সব কিছুই তার NID বা SMART CARD অনুসারে করতে হবে। 

তবে যেসকল তথ্য NID বা SMART CARD এর সাথে সম্পর্কিত নয় যেমনঃ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের ইউজার নেম, প্রোফাইল পিকচার, ডেসক্রিপশন, স্কিলস আপনার দিতে পারেন মার্কেটিং এর সুবিধার্তে । মানে হলো আপনি যখন প্রথম কাজ পাওয়ার জন্য মার্কেটিং করবেন তখন যেন নিজের স্যোসাল মিডিয়ার প্রোফাইল ব্যবহার করে মার্কেটিং করতে পারেন।

দ্বিথীয় স্টেপ এ বিলিং ইনফরমেন এ নাম জন্ম তারিখ ও ঠিকানা সহ জিমেইল, পেমেন্ট মেথড হিসেবে পেওয়নার এবং ব্যাংক একাউন্ট যার NID বা SMART CARD  ব্যবহার করবেন তার NID বা SMART CARD  অনুসারে দিবেন। ব্যাংক একাউন্ট হিসেবে তার NID বা SMART CARD দিয়ে করা রকেট একাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন।

একবার পেমেন্ট নেওয়ার পর চাইলে নিজের ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করতে পারবেন এবং পরবর্তীতে সকল পেমেন্ট আপনার ব্যাংক একাউন্ট এ নিয়ে আসতে পারেন।

স্যোসাল মিডিয়া একাউন্ট যুক্ত করার সময় অবশ্যই যার NID বা SMART CARD  ব্যবহার করবেন তার স্যোসাল মিডিয়া একাউন্ট যুক্ত করবেন। ফোন নম্বরের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই।

NID বা SMART CARD ভেরিফিকেশন করার সময় খুব সতর্কভাবে পর্যাপ্ত আলোতে মোবাইল দিয়ে পরিষ্কার ছবি তুলে দিতে হবে। পর্যাপ্ত আলো না থাকলে বা NID বা SMART CARD এর পিকচার পরিষ্কার না হলে ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হবে না। আর একাধিক বার ভেরিফিকেশন করতে না পারলে অস্থায়ীভাবে আপনার প্রোফাইল ব্লক করে দিবে। তাই খুব সাবধানতার সাথে ভেরিফিকেশন করুন।

দ্রুত কাজ পাওয়ার আরোও সিক্রেট টিকস জনতে নিচের পোস্টগুলো দেখুন। 

ধন্যবাদ পড়ার জন্য। আরো কোন বিষয় জানার থাকলে কমেন্টস এ বলুন।

Next Post Previous Post
2 Comments
  • Unknown
    Unknown 3 September 2021 at 05:54

    vaiya amar personal account diye fiverr a ekta account create kore felci kintu amar to NID card nai . ei jonno amar ammur NID card use kore akhon account korte cacchi .ekhon ami ki korbo .amar email diye khola fiver account ta ki delete kore dibo? ami ei bepare kichui bujhtecina .I need your support . Please answer my question.

  • Unknown
    Unknown 24 April 2022 at 07:23

    Upwork এ sing up করার সময় ভুল করে আমার first-last name,ছবি দেই।এখন বাবার NID দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে চাই। এখন আমি কি করব? Please help. সবাইকে অগ্রিম ধন্যবাদ 🤗।

Add Comment
comment url