কোন কাজ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলে সহজে কাজ পাবেন?
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে গেলে প্রায় সকলেরই একটা কমন সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। তা হল কোন কাজ দিয়ে শুরু করলে ভালো হয়?
কোন কাজ দ্রুত পাওয়া যায়? আবার অনেকে জিজ্ঞেস করেন যে, কোন কাজ করলে বেশি ইনকাম করা যায়? ইত্যাদি। তো চলুন আজকে দেখা যাক, কোন কাজ দিয়ে শুরু করলে বেশি ভালো হবে।
দ্রুত কাজ পাওয়ার সিক্রেট টিকস জানতে নিচের পোস্টগুলো দেখুন।
কোন কাজটি সিলেক্ট করবেন ফ্রিল্যান্সিং এর শুরুতে
শুরুতেই বলব যে, আপনি প্রথমে মূল ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুন। যেমন গ্যাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট বা ডাটা এন্ট্রি।
কিন্তু মূল ক্যাটাগরিতে শুরুতে কাজ করার চেষ্টা না করে সহজ কোন সাব ক্যাটাগরি তে কাজ করাটা ভালো বা সুবিধাজনক। মানে হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন এর সাব ক্যাটাগরি হচ্ছে লগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, এ্যাডস ডিজাইন ইত্যাদি। একদম সহজ সাব ক্যাটাগরি যদি বলি তা হলো ফটো এডিটিং এর কিছু কাজ। তবে ফটো এডিটিং এর সকল কাজ সহজ নয়। ফটো এডিটিং এর কিছু সহজ কাজ যেমনঃ ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ, অবজেক্ট রিমুভ ইত্যাদি। এই কাজ দিয়ে শুরু করলে যে কেউ আপনাকে সহজেই বিশ্বাস করবে যে এই কাজটি আপনি পারেন। এছাড়া এই কাজের তেমন কোন পোর্টফোলিও প্রয়োজন হয় না। যদিও কোন বায়ার চায় তাহলে সহজেই দেখানো যায়। যদি এই সব কাজের গিগ ঠিক মতো র্যাংঙ্ক করা যায়, তাহলে দেখবেন অনেক বায়ার জিজ্ঞেস করবে আপনি অমুক কাজ পারেন কিনা, তমুক কাজ পারেন কিনা। আর আপনি যদি সেই কাজ গুলোও পারেন, শুধু বললেই কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর অন্যান্য কাজও শুরু করতে পারবেন এক সময়।
কিন্তু শুরুতেই যদি লগো ডিজাইন, বা ব্যানার ডিজাইন দিয়ে শুরু করেন, তাহলে বায়রকে নতুন অবস্থা পোর্টফোলিও দিয়ে আকৃষ্ট করাটা কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ প্রথম দিকের কাজ স্বভাবিকভাবেই তেমন সুন্দর হয় না। তাই আমার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে সহজ কোন একটি কাজ দিয়ে শুরু করা। যেন কোন ক্লায়েন্ট বা বায়ার খুব সহজেই অর্ডার করতে পারে।
এবার আসি ওযেব ডিজাইন এবং ডিভেলপমেন্ট ক্যাটাগরিতে। অনেকেই শুরুতেই ওয়েব ডেপেলপমেন্ট দিয়ে শুরু করেতে চান। কিন্তু এখানেও সমস্যা হলো শুরুতে প্রত্যেক বায়ারই পোর্টফোলিও বা কাজের স্যাম্পল দেখতে চাইবে। তাও না হয় রেডি করে রাখলেন । কিন্তু যদি তার ভালো না লোগে বা পছন্দ না হয় সে আপনাকে কাজ দিতে চাইবে না। কিন্তু শুরুতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ছোট ছোট সাব ক্যাটাগরিতে শুরু করেন তা হলে তেমন কোন পোর্টফোলিও প্রয়োজন হয় না। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর সাথে সম্পর্কিত কিছু সহজ সাব ক্যাটাগরি হচ্ছে ওযার্ডপ্রেস ইন্সটলেশন, ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেন পোডাক্ট আপলোড ইত্যাদি। আরো সহজ যদি বলি তাহলে বলা যায় সপিফাই ওয়েবসাইট তৈরি করা । ইউটিউব থেকে একটু ভিডিও দেখেই এই কাজ গুলো শিখা যায় খুব সহজে। এর জন্য কোন কোর্স না করলেও চলবে। তবে অনেক গভীর ভাবে জানার জন্য বা বড় বড় পোজেক্ট এর কাজ করার জন্য ভালো মানের কোর্স করা প্রয়োজন। কারণ এতে খুব অল্প সময়ে স্কিল ডেভেলপ করা যায়। তবে অবশ্যই কোর্স করার আগে জানবেন ট্রেইনার একজন ফ্রিল্যান্সার কিনা এবং তিনি কেমন মানের ফ্রিল্যান্সার।
সবার শেষে আসি ডাটা এন্ট্রি ক্যাটাগরিতে। ডাটা এন্ট্রি কাজেরও অনেক সাব ক্যাটাগরি বা শ্রেনিবিভাগ রয়েছে। আপনি যে কাজটি পরিপূর্ণ ভাবে জানেন এবং বায়ার কোন স্যাম্পল চাইলে তা দিতে পারবেন সেই ক্যাটাগরিতেই শুরু করুন। এরপর ধীরে ধীরে মার্কেট রিসার্চ করে পছন্দ মতো যে কোন কাজ সাথে যুক্ত করতে পারবেন।
এছাড়াও অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং, এন্ডয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।
তবে যে ক্যাটাগরিই আপনার পছন্দ হোক না কেন, শুরুতে সব সময় চেষ্টা করুন সহজ কাজ গুলো দিয়ে। এরপর আপনার ইচ্ছামতো যে কোন কাজ যুক্ত করতে পারবেন। আর সে অনুযায়ী আপনার প্রোফাইল এর টাইটেল ও ডেসক্রিপশন পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং শুরু করার আগেও আপনি ওযার্ডপ্রেস ইন্সটলেশন, ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেন পোডাক্ট আপলোড ইত্যাদি কাজগুলো করতে পারেন। কারণ এইসবগুলো কাজই একে অপরের সাথে সম্পর্কত।
আবার গ্রাফিক্স ডিজাইন ক্যাটাগরির এ্যাড্স ডিজাইন বা সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর পোস্ট বা এ্যাড্স ডিজাইন এর সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং গভীরভাবে সম্পর্কিত।
এইভাবে বুঝেশুনে সহজ এবং সম্পর্কিত কাজ দিয়ে শুরু করুন। এবং ধীরে ধীরে স্কিল ডেভেলপ করে মূল ক্যাটাগরির দিকে অগ্রসর হউন। এতে খুব সহজেই বড় ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন এবং অল্প সময়ে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ফ্রিল্যান্সিং সংক্রন্ত যে কোন বিষয় জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে মেসেজ করুন।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন