google.com, pub-8571279523475240, DIRECT, f08c47fec0942fa0 Freelancers IT | Learn More About Freelancing and Outsourcing

sfd

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর আগাগোড়া গাইড লাইন!

বাংলাদেশে যেখানে এখনো পর্যাপ্ত চাকরির ক্ষেত্র তৈরি নেই, যেখানে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় ৪৭% বেকার, অথচো বিকল্প পেশা হিসেবে বর্তমানে অনেক সম্মানজনক অবস্থায় আছে ফ্রিল্যান্সিং পেশা।
বিশ্বে বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের দ্বারা কাজ করানো হচ্ছে শত কোটি টাকার। যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। হিসেব মতে বর্তমানে ৫ লক্ষাধিক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে বাংলাদেশে। 
ফ্রিল্যান্সিং এর রয়েছে যেমন অপার সম্ভাবনা, তেমনি আমাদের মাঝে রয়েছে এ নিয়ে প্রচুর ভুল ধারণা। আবার এই ভুল ধারণাকে পুঁজি করেই দেশে নামে বেনামে গড়ে উঠেছে অনেক অসাধু ব্যবসায়ীদের তথা কথিত ট্রেনিং সেন্টার যা এক একটি প্রতারণার ফাঁদ। আর আজকে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর বিস্তারিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব এই ব্লগে।

ফ্রিল্যান্সিং কীঃ 

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের নাম নয়। এটি হল কাজ করার একটি প্রসেস মাত্র। যেখানে কোন প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে চুক্তিবদ্ধ না হয়ে বা কোন প্রতিষ্ঠানের তত্বাবদায়নে না থেকে বরং অনলাইনের মাধ্যমে সরাসরি কোন উদ্দ্যোক্তার কাজ প্রজেক্ট বেসিসে সম্পন্ন করা। মানুষ শত বছর ধরে ফ্রিল্যান্সিং করে আসছে । যেমন বলা যায় একজন ড্রাইভারও ফ্রিল্যান্সার, কারণ সেও স্বাধীন ভাবে অন্যের গাড়ি চালায়, ইচ্ছা হলে প্যাসেঞ্জার নেয়, নাহলে নেয় না। তার স্বাধীনতা আছে। বর্তমানে প্রোফেশনাল ফটোগ্রাফাররাও এক একজন ফ্রিল্যান্সার, কারণ তারা কোথাও ফটোগ্রাফার হিসাবে স্থায়ীভাবে চাকরি করে না বরং বিভিন্ন অনুষ্ঠান একটি নির্দিষ্ট পরিমান পারিশ্রমিক বিনিময়ে ফটো শুট করে থাকে। 
তাহলে আমরা বলতেই পারি যে, ফ্রিল্যান্সিং কোন স্থায়ী কাজ নয়, একটি কাজ করার ধরণ মাত্র। 
আবার অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং প্রক্রিয়া হলো, কোন একটি নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটের মাধ্যমে একজন বায়ার বা ক্রেতা এবং একজন সেলার বা বিক্রেতাকে তার কিছু কাজ করে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাবে । আর নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের মাধ্যমে কাজে চুক্তিবদ্ধ হবেন, সেলার বা বিক্রেতাকে নিজের দক্ষতা দিয়ে কাজটা করবেন, আর সেটা অনলাইনের মাধ্যমেই বায়ার বা ক্রেতা ডেলিভার করবেন, আর সব শেষে অনলাইনের মাধ্যমেই বায়ার বা ক্রেতা সেলার বা বিক্রেতাকে পেমেন্ট করবে।

ফ্রিল্যান্সার কে? ফ্রিল্যান্সিং কী? আউটসোর্সার কে? আউটসোর্সিং কি? একটা উদাহরণ দিয়ে আমরা বিষটি পরিষ্কার করি। 

মনে করুন, আপনি একাউন্টিং বিষয়ে অনেক ভাল দক্ষ। এখন আমেরিকার কোন এক ক্লায়েন্টের কোম্পানির ১৫ দিনের একাউন্ট অডিট করা প্রয়োজন। সে অনলাইনে যে কোন একটা ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে এসে অফার করল। কাজটি কারার জন্য অনেকেই এ্যাপলাই করবে আর অনেকের মত আপনিও অ্যাপ্লাই করলেন। ধরুন আপনি কাজটি পেলেন। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ পেমেন্টের বিনিময়ে আপনি চুক্তিবদ্ধ হলেন। আপনি আপনার দক্ষতার মাধ্যমে কাজটা সম্পন্ন করলেন,আর ফাইনাল ডেলিভারিটি আপনি অনালাইনের মাধ্যমেই করলেন, এখন ক্লায়েন্ট আপনার ডিলিভারি কাজটি যাচাই করে দেখবে সব কিছু তার রিকুয়েরমেন্ট অনুযায়ী আছে কী না? যদি সব ঠিক থাকে তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট আপনাকে আপনার পেমেন্ট দিয়ে দিবে। 
এখন দেখুন!
  • ফ্রিল্যান্স কাজ কে করল? উত্তরঃ আপনি! 
  • তাহলে ফ্রিল্যান্সার কে? উত্তরঃ আপনি! 
  • ফ্রিল্যান্সিং কে করল? উত্তরঃ আপনি! 
  • আউটসোর্স কে করল? উত্তরঃ ক্লায়েন্ট! 
  • আউটসোর্সার কে? উত্তরঃ ক্লায়েন্ট 
  • আউটসোর্সিং কে করল? উত্তরঃ ক্লায়েন্ট! 
অর্থাৎ এখানে কিন্তু আপনি আউটসোর্সিং করছেন না। বরং ক্লায়েন্ট আউটসোর্সিং করছেন! 

কিছু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসঃ 

যে সকল ওয়েব সাইটে এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো পাওয়া যায়, সে সকল ওয়েব সাইটকে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বলা হয়। বর্তমানে কিছু জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস এর উদাহরণ দেওয়া হলঃ

একজন প্রাইমারী লেভেলের ফ্রিল্যান্সার হিসাবে ক্যারিয়ার কিভাবে শুরু করবেন? 

ফ্রিল্যান্সার হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করতে হলে অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে কী ধরনের কাজ হয় তা সর্ম্পকেি একটি প্রাথমিক ধারনা থাকতে হবে। এর জন্য আপনি সারাসরি ওই সমস্ত ওয়েব সাইটে গিয়ে দেখতে পারেন অথবা ইউটিউব বা গুগল থেকে ধারনা পেতে পারেন।মোটামুটি আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সম্পর্কে আপনার কিছু জ্ঞান থাকতে হবে।ফ্রিল্যান্সিং কারার জন্য অবশ্যয় আপনার নিজস্ব কম্পিউটার/ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। 

১. আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ এবং কোন বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন তা স্থির করুনঃ 

বর্তমানে ফ্রিল্যান্স কাজের মধ্যে বেস কিছু জনপ্রিয় কাজ রয়েছে তার মধ্যে যেমন, ডাটা এনট্রি,গ্রাফিক্স ডিজাইন,সিপিএ মার্কেটিং,ডিজিটাল মার্কেটিং,ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, এ্যাডমিন সাপোর্ট এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে। আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ আর আপনার কোন বিষয়টি বেশি ভাল লাগে সেটি আগে নির্ধারন করতে হবে। অধিকাংশ মানুষ যে ভূলটি করে, তা হলো অন্যরা কি করছে তা অনুসরন করা। বরং সেটি না করে এ ক্ষেত্রে আপনার যে অভিজ্ঞতা আছে বা আপনার যে বিষয়টি ভালো লাগে সেটি নির্বাচন করা উচিৎ। আপনার যদি এসকল কাজ সম্পর্কে কোন ধারনা না থাকে তাহলে গুগল, ইউটিউব, ব্লগ অথবা পরিচিত যদি কেউ কাজ করে তাদের কাছে থেকে প্রাথমিক ধারনা নেওয়া শুরু করুন। তারপর ভেবে দেখুন আপনার এখন যে ব্যাকগ্রাউন্ড, স্কিল এবং ইন্টারনেট, সেটার সাথে কোন কাজের সাথে মিলে যায়। আপনি যদি সঠিক ফিল্ড পছন্দ করতে ব্যর্থ হন আর প্রশিক্ষন নেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনার সময় এবং অর্থ দুটোই নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। 

২. ভাল দক্ষতা অর্জন করুনঃ 

কাজ পছন্দ করার পর এখন চেষ্টা করুন কোন অংশ থেকে শেখা যায়, আপনার যদি ধৈর্য থাকে তবে অনলাইনে (ইউটিউব, গুগল) শিখতে পারেন অথবা যে কোন মানসম্পন্ন ট্রেনিং সেন্টার থেকেও শিখতে পারেন,তবে ট্রেনিং সেন্টার থেকে শেখার আগে আপনাকে অবশ্যই ট্রেইনার নিজে কাজ করে কিনা? ট্রেনিং সেন্টারের সফল ছাত্র-ছাত্রী আছে কী না তা যাচাই করে দেখুন। 

৩. প্রোর্টফলিও মার্কেট প্লেসে নিজের প্রোফাইল তেরী করুনঃ 

দক্ষতা অর্জনের আগে অথবা পরে প্রোর্টফলিও মার্কেটপ্লেসে নিজের একটি আকষর্নীয় প্রোর্টফলিও তৈরী করুন। একজন ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা অর্জন করার আগে কাজে কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করা ঠিক নয়। আগে নিজের সুন্দর প্রোফাইল তৈরী করুন এরপর মার্কেটের কাজের চাহিদা অনুধাবন করুন। তারপর নিজের কাজের স্যাম্পল তৈরী করে প্রোফাইল তৈরী করার সময় অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন। 

৪. পছন্দের কাজ ও সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট খুজুনঃ 

আপনার অভিজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নিন যে তারা কিভাবে কাজ খোজে আর নতুন হিসেবে আপনার কী করা ‍উচিৎ। প্রথম ১-২ মাস আপনি কাজ নাও পেতে পারেন। চেষ্টা করতে থাকুন ফেইল করলে ভুলগুলো শুধরে আবার চেষ্টা করুন। ধৈর্য্য ধরে নিজেকে আরও দক্ষ কারার জন্য নতুন নতুন কৌশল শেখার চেষ্টা করুন। আর এভাবেই এক সময় আপনার দক্ষতা আর আয় বৃদ্ধি পাবে।
আর খেয়াল করলে দেখবেন, কোন ট্রেনিং সেন্টারে ফ্রিল্যান্সিংর জন্য SEO শেখানো হয়। কিন্তু একজন এক্সপার্ট এসিও প্রফেশনাল বলতে পারবেন এই ট্রেইনিং এ SEO এর ১০% ও শেখানো হয়নি। 
আবার সম্পূর্ণ SEO এর কাজ এর পরিমাণ মার্কেটের সমস্ত কাজের ১% এর চেয়েও কম বলা যায়। তাহলে বলা যায় আরও ৯৯% কাজ আছে, যেগুলোতে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারা অংশগ্রহনই করেনা বা করতেই পারে না। 
মনে করুন, ১% কাজ ৫ হাজার জব। আর বাংলাদেশের অলিতে গলিতে এখন ট্রেইনিং সেন্টারের সংখ্যা কয়েক হাজার। সে হিসাবে বর্তমানে SEO শেখার মানুষ লাখের উপরে। তার মানে এ খাতেও বেকারত্ব দেখা যাবে। 
অন্যদিকে এন্ড্রয়েডে এপ ডেভেলপমেন্ট, গেইম ডেভেলপমেন্ট, থ্রিডি ডিজাইন,থ্রিডি এনিমেশন, ডেটা সাইন্স এরকম কাজ গুলোতে এদেশের খুব কমই স্কিল্ড আছে। এই খাতে কম্পিটিশনও কম কিন্তু ডিমান্ড বেশি। 
আসলে আমাদের কোন কাজে সফল না হতে পারার কারণ হল আমরা সঠিক পথে না গিয়ে ভুল পথে যায়। আর আপনিও যদি তাদের ভুল পথ সম্পর্কে সাবধান করে দিতে পারেন, তারা কোন না কোনভাবে সঠিক পথে এগিয়ে যাবে। 

এবার চলুন ফ্রিল্যান্সিং করার সঠিক পথ নিয়ে আলোচনা করা যাক..! 

আমরা জানি ফ্রিল্যান্সিং খাতে কয়েকশ ক্যাটাগরির কাজ অনলাইনে আছে। আইটি, নন-আইটি, বিজনেস, ক্রিয়েটিভ, ইঞ্জিনিয়ারিং সব সেক্টরের জন্যই কাজ পাওয়া যায়। আপনি আপনার দক্ষতার উপর আপনার কাজটি বেছে নিবেন। 
ফ্রিল্যান্সিং কোন সহজ কাজ নয় আবার দক্ষতা থাকলে খুব কঠিনও নয়? আবার এই খাতে একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের আয় ও কম নয়। 
কোন প্রেফেশনাল ফ্রিল্যান্সারের লাইফ সম্পর্কে বলতে গেলে বলা যায়, একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের সফল হওয়ার পেছনের গল্প শুনলে আপনি তাকে ‘লিজেন্ড’খেতাব দিবেন। কারণ সফলতার পেছনের গল্প আনন্দের হয়না, অনেক পরিশ্রম আর স্ট্রাগল থাকে। রাতের পর রাত জেগে কাজ শেখা, ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখা, বই পড়া, কাজ গুলো প্র্যাক্টিস করা, ধৈর্য ধরে টাকার আশা না করে কাজে দক্ষ হওয়ার জন্য মাসের পর মাস সময় দিয়ে লেগে থাকা, এসব থাকে একজনের সফলতার পেছনে। 

একটা উদাহরণ দেয়া যাক। 

আপনি ধরুন বিএসসি পড়ছেন। ফিন্যান্স নিয়ে।প্রাইমারী থেকে শুরু করে পড়াশোনা শেষ করতে কমপক্ষে আপনার সময় লাগবে ২০ বছর। ২০ বছর পড়াশোনা করা আপনি একটা জবে ফ্রেশার হিসেবে এপ্লাই করবেন, হয়তো যার সেলারি ১৫-২০ হাজার টাকার মত হবে। অনেক জায়গায় অনেকবার রিজেক্ট হতে হয়, কারণ আরও শত-শত এপ্লাই করছে। শেষমেশ একটা জব হয়তো পান।
১৫ হাজার টাকার সেলারির জব করার জন্য ২০ বছর পড়াশোনা করলেন। পড়াশোনা শেষ করে একটা লোকাল জবের জন্য প্রতিযোগীতায় নামলেন একই শহরের অন্যদের সাথে, যারা আপনার লেভেলের পড়াশোনাই করেছে। 
এবার ভাবুন ফ্রিল্যান্সিং এর কথা,কানাডার একটা কোম্পানি তাদের একটা জব আউটসোর্স করল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে। ২ সপ্তাহের প্রজেক্ট, যার মূল্য ১ হাজার ডলার। এখানে এপ্লাই করল কারা? বিশ্বের সকল দেশ থেকে টপ প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সাররা এখানে এপ্লাই করল, সাথে আপনিও করলেন। তার মানে? আপনার প্রতিযোগীতার লেভেল কোথায় এখন ভেবে দেখুন? 
তাহলে একবার ভেবে দেখুন তো, এই লেভেলে প্রতিযোগিতার জন্য আপনি কি শুধু ২ বা ৩ মাসের কোর্স করেই দক্ষ হতে পারবেন? এইটা অবাস্তব নয় কী? 
ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করা যায়( বাংলাদেশে প্রায় ২০% এর বেশি ফ্রিল্যান্সার মাসে ২ লাখ টাকার উপর আয় করে থাকে) কিন্তু তারা ২ মাসে কোর্স করে এই পযার্য়ে আসেনি। তারা কঠোর পরিশ্রম করে অন্তত এক বছর সময় নিয়ে কোন টাকা আয়ের কথা না ভেবে শুধু শেখার উপর জোর দিয়েছিল! 
১৫ হাজার টাকার সেলারির জবের জন্য ২০ বছর পড়াশোনা করলেন? আর মাসে কয়েক লক্ষ আয় করতে, বিশ্বের টপ-লেভেল প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারদের সাথে প্রতিযোগিতায় নামতে ১-২ বছর সময় দিয়ে কাজ শিখবেন না?

কাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং পেশা? 

– যাদের অতিরিক্ত লোভ নেই।
– যারা কাজ শেখার যথেষ্ট ধৈর্য রাখে। 
– যারা শর্টকাটে টাকা আয় করার জন্য উপায় বের করে না। 
– যাদের জীবনে কিছু করার প্রবল ইচ্ছে শক্তি তৈরী করতে পারে। 
– যারা সৎ পথে জীবিকা নির্বাহের আত্নবিশ্বাস রাখে। 

যারা এ পথে না আসলে ভাল করবেনঃ

  • যারা কাজ না শিখে আগেই টাকার চিন্তা করেন।  
  • যারা সহজেই কী করে অল্প সময়ে আয় করা যায় সেই পথ খুঁজছেন। 
  • যারা চাকরি করার পাশাপাশি বা অন্য পেশায় নিযুক্ত থাকার পাশাপাশি আউট ইনকামের আশায় ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভাবছেন। 
  • যারা মনে করছেন শেখা শুরুর ১৫দিন – ১ মাসের মধ্যেই হাজার হাজার ডলার আশা শুরু করবে। 
  • যারা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ট্রেইনিং সেন্টারের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে “ঘরে বসে লাখ টাকা আয় করা যায়” এই সমস্ত বিজ্ঞাপনে আগ্রহী। 
  • যারা ফ্রিল্যান্সিং কে একেবারেই খুব সহজ ভাবেন। 

কিভাবে আসবেন এই পেশায়?

  • আগে জানুন এ খাতে কোন কোন ফিল্ড আছে কাজ কারার মতো। 
  • তারপর দেখুন আপনার এখন যে স্কিল এবং ইন্টারেস্ট আছে সেটার সাথে কোন ফিল্ডটির বেশি মিলে রয়েছে। 
  • বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে ঐ ফিল্ড গুলোর এখন পোস্ট করা জব গুলো বার বার ঘেঁটে দেখুন, বুঝার চেষ্টা করুন এ ধরণের কাজে কি কি স্কিল লাগে আর আপনার সাথে যায় কী না? 
  • সঠিক ডিসিশন নিন তারপর ঠিক করুন করুন কোথা থেকে শেখা যায়? অনলাইন নাকি অফ লাইন? অনলাইনেই শেখা যায় ধৈর্য থাকলে যা এদেশের প্রথম সারির ফ্রিল্যান্সাররা নিজে নিজেই শিখে সফল। 
  • কারো কাছ থেকে পরামর্শ নিন যে এই বিষয়ে দক্ষ এবং দীর্ঘ দিন যাবৎ কাজ করছে। আপনি স্কিল্ড হওয়ার পর পরামর্শ নিন কিভাবে ফিল্ডে নামা যায়। প্রথমেই ‘ভাই, ইনকাম করার সহজ পথ বলেন’বলে কাউকে ইরিটেট করবেন না এতে করে তার আপনার প্রতি শেখানোর আগ্রহ হারিয়ে যাবে। 
  • চেষ্টা করতে থাকুন, ফেইল করলে আবার ভুল গুলো শুধরে বার বার ট্রাই করুন।দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বেশি বেশি প্র্যাক্টিস করুন। স্যাম্পুল প্রজেক্ট হিসেবে প্র্যাক্টিসও হবে, পোর্টফোলিও হবে। 
  • ধৈর্য ধরে নিজেকে আরও দক্ষ করে তোলার জন্য নতুন নতুন কিছু স্টাডি করুন।

ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সাধারন মানুষের কিছু ভুল ধারণাঃ 

  • ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং শেখা খুব সহজ ১-২ মাসে টাকা আয় করা যায়। 
  • ৩-৫ হাজার টাকা দিয়ে ২ মাসের যে কোন একটি কোর্স করলেই হাজার টাকা আয় করা যায়! 
  • ট্রেইনিং সেন্টারে গেলেই সফল হওয়া যায় আর বেশি টাকা আয় করা যায়। 
  • মোবাইল দিয়ে পিটিসি, BET365, CAPTCHA এন্ট্রি, ফেইক লাইক এগুলো করলেই টাকা ইনকাম করা যায়।. 
  • ফ্রিল্যান্সিং যে শুধুমাত্র আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডদের জন্য একে বারে সাধারণ ছেলে মেয়েদের জন্য না এটি ভুল ধরনা। 
  • ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আইটি ওরিয়েন্টেড ফিল্ডে কাজ করতে হবে তাছাড়া টাকা ইনকাম সম্ভব নয়।

বর্তমানে কিছু অপ্রকাশিত তথ্যঃ

  • আমাদের দেশে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং অথবা অনলাইন প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছে।
  • বাংলাদেশে নামে বেনামে ট্রেইনিং সেন্টারের সংখ্যা প্রায় ১১০০০ + 
  • বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কোর্সে ট্রেইনিং প্রাপ্ত স্কিল্ড ছেলেমেয়ের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখেও বেশি (এর অর্থ হল ১৪ লক্ষ বেকার, কারণ তারা সত্যিকার অর্থে স্কিল্ড না)। 
  • নন-আইটি, বিজনেস, ক্রিয়েটিভ, ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ড এর জন্য কাজের সংখ্যা মোট মার্কেটের ৫৩% প্রায়।

কিছু পরামর্শঃ 

  • চটকদ্বার বিজ্ঞাপন যুক্ত ট্রেইনিং সেন্টার থেকে দূরে থাকুন, নিজে শেখার চেষ্টা করুন প্রয়োজনে গুগল,ইউটিউবের পরার্মশ নিন। 
  • ট্রেইনিং সেন্টারে যদি যেতেই হয়, আগে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে জানুন তারা কতোটা জানে ফ্রিল্যান্সিং। প্রয়োজনে আপনার পরিচিত এই খাতে সফল কেউ থাকলে তার পরামর্শ নিন। 
  • অল্প সময়ে হাজার হাজার ডলার আয় করার কথা যারা বলে তাদের এড়িয়ে চলুন। 
  • চাকুরীর পেছনে না ছুটে ফ্রিল্যান্সিং এর পেছনে ছুটুন। আর ভবিষ্যতে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করুন। 
পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন থেকে আয় সংক্রান্ত আরো কোন বিষয় জানার থাকলে কমেন্ট করে বলুন।
Next Post Previous Post
1 Comments
  • Unknown
    Unknown 18 October 2021 at 21:28

    Marketplace sara kibave bahire kaj kora jay........ Kindly bolbe.

Add Comment
comment url

as