ফাইবার প্রোফাইল কিভাবে অপটিমাইজ করলে দ্রুত কাজ পাওয়া যাবে

কম বেশি কাজ জানা অনেকেই ফাইবারে প্রোফাইল তৈরি করে গিগ দিয়ে বসে আছি দীর্ঘদিন যাবত। কিন্তু কোন কাজ পাই না। চলুন আজকে সে সম্পর্কে একটি পরিষ্কার গাইডলাইন দেওয়ার চেষ্টা করি।


আমরা সচরাচর যা করি তা হল, কোথাও থেকে কোর্স করে বা কোর্স না করে কিছু ভিডিও দেখে পোফাইল তৈরি করি । আবার গিগও দেই। আর এরপর স্বপ্ন দেখি হাজার হাজার ডলার আয় করার। কিন্তু কোনভাবেই কাজ আসে না। দুই/তিন মাস এভাবে কাটার পর বলি আমাকে দিয়ে হবে না। বা ট্রেনিং সেন্টার ভালো না। এইসব বলে হাল ছেড়ে দেই। কিন্তু কখনোই নিজের ভুল টা কি? তা খোঁজার চেষ্টা করি না। 
একটা সাধারণ কথা বোঝার চেষ্টা করি চলুন। বর্তমানে চাকুরীর অবস্থা সম্পর্কে মোটমুটি সকলেই জানি। যে চাকুরীরর জন্য ২০-২৫ বছর পড়াশুনা করেও নিশ্চিত হওয়া যায় না। আর সেখানে ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করার জন্য তারাহুরার শেষ নেই। আবার অনেকে মনে করেন ঘরে বসেই যেহেতু ইনকাম করা যায়। কাজ টা মনে হয় খুব সহজ। আজকে শুরু করলাম আর রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলাম। হাজার হাজার ডলারের মালিক হলাম। বিষয়টি মোটেও তা না।
আমরা চাকুরীর জন্য যেই পরিমাণ পরিশ্রম করি তার চেয়েও অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। পার্থক্য হলো চাকুরীর পরিশ্রম বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য যে পরিশ্রম করা হয় তা হলো বাস্তবমুখী এবং সম্পূর্ণভাবে ডিজিটালভাবে। অর্থাৎ কম্পিউটার স্কিলস এর মাধ্যমেই সকল কাজ। তবে এক এক জনের ক্যাটাগরি আলাদা হতে পারে। কিন্তু সকল ফ্রিল্যান্সারকেই কম্পিউটার স্কিলস এর দিক থেকে শতভাগ দক্ষ হতে হবে। 
পরীক্ষায় হয়ত ১০০ তে ৩৩ পেলে পাস করা যায়। ৮০ নম্বর পলে এ প্লাস পাওয়া যায়। কিন্তু এইখানে কাজের ক্ষেত্রে ১০০ তে ১০০ আ পাইতে হবে।যদি কোন প্রকার কমতি থেকে থাকে তাহলে খুব বেশি দিন টিকে থাকতে পারবেন না এইসব অনলাইন মার্কেটপ্লেসে। তাই যে ক্যাটাগরিতেই কাজ করুন না কেন।সঠিকভাবে শিখে, ভালভাবে প্যাকটিস করে, এক্সপার্ট হয়ে, মার্কেট ভালোভাবে রিসার্চ করে তারপর প্যোফাইল তৈরির কথা ভাবুন।
যাই হোক অনেক কথা বললাম। এবার কাজের কথাই আসি। ফাইবার এমন একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে শুধু মাত্র সেবা বা সার্ভিস বিক্রি বা সেল করা যায় কোন প্রকার ইনভেস্ট ছাড়াই। অনেক টা এমাজন, ইভেলি, ডারাজ এর মতো। কিন্তু এই মার্কেটগুলোতে শুধু প্রোডাক্ট সেল করা হয়। এখন কথা হচ্ছে প্রোডাক্ট হোক বা সার্ভিস। মূল বিষয় হল সেল করা। এর জন্য প্রয়োজন একটি ওয়েবসাইট এবং সঠিক মার্কেটিং। যার জন্য অনেক ব্যয় বহন করতে হয়। এরপর আসবে সেল বা বিক্রি। কিন্তু ফাইবারে কোন সার্ভিস সেল করার জন্য আপনাকে কোন ওয়েব সাইট ও করতে হবে না। এমনকি মার্কেটিং না করল্রেও সমস্যা নাই। বা বলতে পারেন মার্কেটিংও করতে হবে না। তাহলে কি করতে হবে? চলুন সেইটাই জানা যাক।

১. প্রোফাইল রিসার্চঃ 

আপনি যখন কোন সার্ভিস নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিবেন তখন, প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হল প্রোফাইল রিসার্চ। এর মানে হল আপনার মতো অনেকেই অলরেডি মার্কেটপ্লেসে খুব ভালভাবে কাজ করছে। তারা কিভাবে প্রোফাইল সাজিয়েছে। তারা কোন কোন সার্ভিস নিয়ে কাজ করছে, খুঁটিনাটি সকল বিষয় জানা। 
এখন প্রশ্ন হলো সেইটা জানব কেমনে? হ্যাঁ, তো চলুন বলছি। 
  • কাজ শুরু করার পূর্বে আপনি যে সার্ভিস নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন তা লিখে সার্চ করুন।
  • এরপর প্রথম পাঁচটি গিগ থেকে তাদের পোফাইল ভিজিট করুন। 
  • তাদের প্রোফাইল থেকে সকল বিষয় নোট করুন। কপি করার জন্য নয় আইডিয়া নেওয়ার জন্য। এরপর নিজে নিজে আপনার প্রোইল এর টাইটেল, ডিসক্রিপশন লেখার চেষ্টা করুন। 
  • ইংরেজি তে না পারলে বাংলাই লেখুন ।তারপর ধীরে ধীরে ইংরেজিতে অনুবাদ করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে ইংরেজিতে অভিজ্ঞ কারো সাহায্য নিন। 
বিনা ইনভেস্ট এর বিজনেজ বলে যেমন তেমন প্রোফাইল তৈরি করলেই কাজ পাবেন না। মনে রাখবেন এই প্রোফাইল থেকেই মাসে কমপক্ষে হাজার ডলার আয় করার স্বপ্ন দেখছেন। সুতরাং অনেক যত্ন সহকারে সময় নিয়ে গভীরভাবে প্রোফাইল রিসার্চ করুন। 

২. প্রোফাইল অপটিমাইজঃ

প্রোফাইল অপটিমাইজ মানে হলো সঠিকভাবে প্রোফাইল টা সাজানো। আপনার প্রোফাইল সুন্দভাবে না সাজানো থাকলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এইটাই আপনার ইনভেস্ট। এই ইনভেস্ট করতে পারলেই আপনি হাজার হাজার ডলার আয় করতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং এর পরিপূর্ণ গাইডলাইন পেতে নিচের পোস্টগুলো দেখুন। 
সবশেষে অভিজ্ঞ কাউকে দেখান । কারণ নিজের ভুল সহজে নিজে ধরা যায় না। প্রয়োজনে আমাদের সহযোগীতা নিতে পারেন। আমরা দীর্ঘদিন যাবত কাজ করছি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে। আমাদের সহযোগীতা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজ - এ মেসেজ করুন। 
ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url