google.com, pub-8571279523475240, DIRECT, f08c47fec0942fa0 Freelancers IT | Learn More About Freelancing and Outsourcing

sfd

ফাইবারে কিভাবে গিগ অপটিমাইজ করলে দ্রুত কাজ পাওয়া যাবে

ফাইবারের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার কথা বলতে গেলেই প্রথম যে সমস্যায় পড়েন অনেকেই, তা হল গিগ তৈরি করতে। গিগ তৈরি করতে পারেন অনেকেই কিন্তু সে গিগ এ কাজ আসলে তবেই সার্থকতা। কিন্তু কাজ তো আসে না গিগ এ । এমন কথা অনেকেই বলে থাকেন। তো চলুন আজকে আলোচনা করব কিভাবে গিগ তৈরি করবেন ।


আমরা কোন ট্রেইনার বা বড় ভাইয়ের পরামর্শ কম বেশি নিয়েই গিগ তৈরি করা শুরু করি। কিন্তু অনেক ফ্রিল্যান্সার বা ট্রেইনারই গিগ রিসার্চ করার বিষয় টাকে গুরুত্ব তেমন দেয় না। আর এর ফল সরুপ নবাগত ফ্রিল্যান্সাররা হতাশা ছাড়া আর কিছুই পায় না। 
খুব সাধারণ একটা বিষয বলি, একটু বোঝার চেষ্টা করুন। একটা ছোট বাচ্চাও কিন্তু কথা বলা, হাঁটা-চলাফেরা করা, খাবার খাওয়া শিখা সব কিছুই দেখে দেখে শিখে যে বড়রা কেমন করে কি করছে। বাস্তব কর্মক্ষেত্রও ঠিক একই রকম। 
যতই কোর্স করানো হোক না কেন, আর যতই মোটিভেট করিনা কেন, তাতে কোন লাভ হবে না। যতক্ষণ না আপনি অভ্যাসে পরিনত করতে পারছেন। আর এর জন্য আপনার বেশি বেশি রিসার্চ করতে হবে। 
উদাহরণ হিসেবে আরও একটি কথা না বললেই নয়। তা হল, আমরা স্কুল বা কলেজের পরীক্ষায় প্রশ্ন কমন পেতে কি করতাম। নিশচয় আমরা সকলেই জানি যে বিগত সালের প্রশ্ন ফলো করতাম। যত বেশি বিগত সালের প্রশ্ন এ্যানালাইসিস করতাম তত বেশি প্রশ্ন কমন পেতাম।এখানেও বিষযটি একই। তো চলুন সেই বিষয় টিই পরিষ্কার করা যাক। 
আমরা জানি যে, ফাইবারে কাজ পাওয়ার জন্য গিগ দিতে হয়। গিগ হল আপনার সার্ভিস বা সেবার ডিজিটাল প্রেজেস্টেশন। অনেক টা এমাজন, আলিবাবা, ডারাজ এ যেমন প্রোডাক্ট দেখেন ঠিক তেমনই। পার্থক্য হলো ঐসব মার্কেটে বিক্রি হয় প্রোডাক্ট আর ফাইবারে বিক্রি হয় সার্ভিস বা সেবা। তো সেই সার্ভিস এর পেজেন্টেশন এর উপরই নির্ভর করবে আপনার কাজ পাওয়া না পাওয়া। 
প্রোফাইল ভালভাবে অপটিমাইজ করার পরই আপনাকে যা করতে হবে তা হলো গিগ অপটিমাইজ। ফাইবার প্রোফাইল কিভাবে অপটিমাইজ করলে দ্রুত কাজ পাওয়া যায় তা জানতে এখানে ক্লিক করুন। গিগ অপটিমাইজ করার জন্য আপনাকে যা যা করতে হবে- 

১. গিগ রিসার্চঃ 

গিগ কি , তা সম্পর্কে আগেই আলোচনা করেছি। এখন কথা হচ্ছে রিসার্চ টা করব কেমনে। হ্যাঁ সে কথাই বলছি। গিগ রিসার্চ করার মানে হলো আপনি যে সার্ভিস বা সেবা বিক্রি করতে চাচ্ছেন বা আপনি যে কাজ পেতে চাচ্ছেন সেই কাজ অলরেডি যারা করছে তাদের গিগ বেশি বেশি পর্যালোচনা করা। বেশি বেশি তাদের গিগ দেখা। তাদের গিগ এর টাইটেল, ডেসক্রিপশন, ব্যানার, ট্যাগ, প্যাকেজিং প্রাইস সকল বিষয় পর্যাপ্ত ধারণা নেওয়াই হচ্ছে গিগ রিসার্চ। 
আপনি যে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন সে কাজ কি কি লিখে মানুষ সার্চ করতে পারে। বা আপনি যদি একজন ক্লাইন্ট হোন তা হলে এই কাজের জন্য কি কি লিখে সার্চ করতেন। সেই শব্দ বা শব্দ সমষ্টি দিয়ে সার্চ করুন। যা লিখে মানুষ সার্চ করে এই সকল শব্দ বা শব্দ সমষ্টিকে বলা হয় কিওয়ার্ড। এরকম প্রত্যেকটি কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করার পর প্রথম চারটি বা দশ টি করে ওপেন করুন।


সময় নিয়ে ভালভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। তারা কিভাবে টাইটেল দিয়েছে, কি ট্যাগ প্রায় সকলেই ব্যবহার করেছে। আপনি সেই ট্যাগ কে ফোকাস করুন। সকল বিষয় নোট করুন। মনে রাখবেন কোন অবস্থাতেই কপি করা যাবেনা। শুধু ধারনা নিন পরিষ্কার ভাবে। কারণ এই গিগ রিসার্চ সঠিক না হলে আপনি হাজার টা গিগ দিলেও কোন কাজ পাবেন না। 
হয়ত অনেকেই কোন রিসার্চ করা ছাড়াই পেয়ে যান সেইটা তার ভাগ্য। কিন্তু এমন খুব কমই হয়। আর বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। যাদের অনেকেই সঠিক ভাবে কাজ যানে না বা সঠিক ভাবে গিগ দেওয়ার নিয়ম যানে না। কিন্তু এতে আর কিছু না হলেও কম্পিটিশন ঠিকই বাড়ছে। 

২. গিগ তৈরিঃ 

আপনি গিগ রিসার্চ করার সময় যে বিষয় গুলো নোট করেছেন ঠিক সেই ভাবে গিগ তৈরি করে ড্রাফ্ট করে রেখে দিন। কয়েকদিন সময় নিয়ে ভালভাবে চেক করুন । প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কাউকে দেখান। আমাদেরও সহযোগীতা নিতে পারেন। 
আমাদের সহযোগীতা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে মেসেজ করুন। 
ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

as