এসিআই এর জনপ্রিয়তা এবং বিস্তৃতি

অ্যাডভান্স কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড  বা এসিআই লিমিটেড. বাংলাদেশের বড় কংলোমিরেট  এর মধ্যে একটি। হেলথকেয়ার, কনজিউমার গুড ,কৃষি এবং রিটেল এই চারটি খাতে মোট ৩৯ ধরনের পণ্য বিক্রি করে এসিআই। ১৫০০ কোটি টাকা মার্কেট ভ্যালু এবং ৬৩০০ কোটি টাকার রেভিনিউ  জেনারেটিং এই  কংলোমিরেটটির সাবসিডিয়ারি কোম্পানি আছে ১৪ টি,জয়েন্ট  ভ্যাঞ্চার এবং এসোসিয়েট কোম্পানি ৪ টি,ম্যানুফ্যাকশন প্লান্টস আছে ১২ টি।এতোগুলো ব্যবসায় অন্তর্ভুক্ত থাকার পরও বিগত বছরগুলোতে এসিআই লাভের জেনারেশনে ধারাবাহিকতার অভাব ছিল। 

তার উপর গতবছর  অর্থাৎ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এসিআই প্রায় ৯০ কোটি টাকা লোকসান করে।এসিআইয়ের  ইতিহাস, বিভিন্ন বিজনেস ইউনিক এবং কম্পারেটিভ অভ্যুত্থান ও প্রোফিবিলিটির অবস্থা নিয়ে আলোচনা করবো আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে। বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।


এসিআই ইতিহাস

১৯২৬ সালে ৪ টি বৃটিশ ক্যামিকেল কোম্পানির মার্জের মাধ্যমে প্রতিষ্টিত হয় "ইম্পেরিয়াল ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ বা আইসিআই"।ব্রুনার মান্ড,নোভেল এক্সপ্লোসিভ,দ্যা ইউনিটেড এলকলি কোম্পানি বৃষ্টিশ ডায়স্টাফস কর্পোরেশন।ইম্পেরিয়াল ক্যামিকেল প্রোডাক্টের মধ্যে ছিল-বিভিন্ন ধরনের ক্যামিকেল,বিস্ফোরক, কীটনাশক,প্যাইন্ট এবং রেজিন।প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি হিসেবে আরও বেশ কয়েকটি দেশে অপারেট করছিল আইসিআই। 

এশিয়া উপমহাদেশে আইসিআই

তারই ধারাবাহিকতায় ভারতীয় উপমহাদেশে কোম্পানিটি "আইসিআই ইন্ডিয়া লিমিটেড" নামের একটি  সাবসিডিয়ারের মাধ্যমে ব্যবসা করা শুরু করেন।১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান আলাদা হওয়ার পর আইসিআই ইন্ডিয়া লিমিটেডের করাচি অফিসের নাম পরিবর্তন করে "আইসিআই পাকিস্তান লিমিটেড"রাখা হয়।পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে কোম্পানিটি স্থান পরিবর্তন করে  তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আসে।পরবর্তীতে বাংলাদেশে স্বাধীনতা অর্জনের পর এই আইসিআই পাকিস্তানি ১৯৭৩ সালে আইসিআই "বাংলাদেশ ম্যানুফ্যাকচারস লিমিটেড" নামে বাংলাদেশে অপারেশন শুরু করে।

আইসিআই থেকে এসিআই

১৯৭৬ সালে "ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে" অন্তর্ভুক্ত হয় কোম্পানিটি।পরবর্তীতে ১৯৯২ সালের ৫ মে মূল কোম্পানির "আইসিআই" তার ৭০% শেয়ার লোকাল শেয়ার হোন্ডারদের কাছে বিক্রি করে দেয়।আর এই পরিবর্তনের পরই আইসিআই বাংলাদেশে "এসিআই" নামে আত্ম প্রকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবসায় শুরু করে।মোট চারটি স্ট্যাটাজিক ইউনিটে ব্যবসায় করছে এসিআই। সেগুলো হলোঃ

  •  হেলথকেয়ার
  • কনজ্যুমার ব্র্যান্ডস
  • এগরি বিজনেস 
  • রিটেইল চেইন

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই  প্রধানত ফার্মাসিউটিক্যাল ও পেস্ট কন্ট্রোল পন্যের ব্যবসায় অন্তর্ভুক্ত থাকলেও পরবর্তীতে একের পর এক সাবসিডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিভিন্ন সেগমেন্টে প্রবেশ করেন এসিআই।এসিআই দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেটে প্রায় ৩০ বছর ধরে ব্যবসায় করছে।এই ইন্ডাস্ট্রিতে এসিআই এর মার্কেট শেয়ার ৪%।এখন পর্যন্ত  ভিটামিন,এন্টিব্যাকটেরিয়াল,রেস্পিরেটরি,আনকোলজি ইত্যাদি ১০০টিও বেশি থেরাপিউটিক ক্লাসে প্রোটিন, অ্যামাইনো এসিড,নিউক্লিক এসিড ইত্যাদির মতো ২৫০টিও বেশি ফার্মাসিউটিক্যাল বাজারে এনেছে এসিআই।

এসিআই এর বিস্তৃতি

২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৩৩টি নতুন মনিকেল বাজারে আনে কোম্পানিটি।দেশের চাহিদা মিটিয়ে ৪ টি মহাদেশের ৩০ টি দেশে ঔষধ রপ্তানি করছে এসিআই।এছাড়াও আফ্রিকা ও মধ্য আমেরিকাতে ১৫ টির বেশি দেশে ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য  রেগুলেটরি কার্যক্রম চলছে।পেস্ট এবং ননপেস্ট কন্ট্রোল  এই দুইধরনের প্রোডাক্টের মাধ্যমে হোম কেয়ারস সেগমেন্টে উপস্থিতি রয়েছে এসিআইয়ের।সেই সঙ্গে আমেরিকান কনজ্যুমার ব্র্যান্ডস "এসি জনসন" ম্যানুফ্যেকচারিং ও ডিস্টিবিউশন পার্টনার হয়ে বিভিন্ন পন্যের বাজারজাত করছে এসিআই।

এসিআই পেস্ট কন্ট্রোল পণ্য

এ্যারোসল মার্কেটে এসিআই এ্যারোসন কাস্টমারদের নাম্বার ওয়ান চয়েজ।নিউসনের তথ্য মনে, এ্যারোসল মার্কেটে ৯৪ শতাংশের বেশি মার্কেট শেয়ার এসিআই এ্যারোসলের।মশার কয়েল মার্কেটে এসিআই কয়েলের শেয়ার মাত্র  ৮ শতাংশ। এই মার্কেটে অন্য ননব্যান্ড প্রোডাক্টের আধিক্যের কারণে সাম্প্রতিক বছর গুলোতে এসিআই মার্কেট শেয়ার অনেকটাই কমেছে।

এসিআই নন-পেস্ট কন্ট্রোল পণ্য

ননপেস্ট  কন্ট্রোল প্রোডাক্টের মধ্যে এ্যাঞ্জেলিক এয়ার ফ্রেশনার এবং টয়লিক ক্লিনার হিসেবে ভ্যানিশ ব্যান্ডের পন্য বাজারজাত করছে এসিআই।

স্যাভলনের পণ্য

চার দশকের বেশি সময় ধরে স্যাভলন ব্যান্ডের বিভিন্ন পন্য বাংলাদেশে আছে।মূল কোম্পানি "ইম্পেরিয়াল কেমিক্যালের" মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৯২ সাল থেকে এসিআই অধীনে চলে আসে ব্যান্ডটি।শুরুতে এই ব্যান্ডের তালিকায় শুধুমাত্র এন্টিসেপ্টিক  লিকুইড থাকলেও ১৯৯৮ সালে হ্যান্ডওয়াশ অন্তর্ভুক্ত হয়।পরবর্তীতে এসিআইয়ের টয়লেট্রিজ বিজনেসের অধিনে স্যাভলনের সাবান,হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ওয়াইপস সহ আরও বিভিন্ন পন্য অন্তর্ভুক্ত হয়। এন্টিসেপ্টিক ইন্ডাস্ট্রিতে স্যাভলনের এন্টিসেপ্টিক পন্যের মার্কেট শেয়ার ৮৪ শতাংশের ও বেশি।

করোনা ভাইরাসের প্রকোপে এসিআই টয়লেস্ট্রিজ বিজনেসে স্পেশিয়ালি সাবান, হ্যান্ডওয়াশ,হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি পন্য বিক্রি অনেক গুনে বেড়েছে। বিজনেস স্ট্যার্ন্ডারের একটি  রিপোর্ট অনুসারে, করোনা পূর্ববতী সময়ে ৩৪ কোটি টাকা সমমূল্যের স্যাভলন লিকুইড ও এন্টিসেপ্টিক ক্রিমের মার্কেট ছিল এবং কনজ্যুমার সায়েন্স ছিল ১০ লাখ।বর্তমানে ১ কোটি মানুষ যদি এইসব হাইজিন প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকে তাহলে মার্কেট সাইজ ১০ গুন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

কমুনিকেশন সেক্টরে এসিআই

২০০০ সালে ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশন লিমিটেড নামের সাবসিডারি কোম্পানি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন ইন্ড্রাস্টিজে প্রবেশ করে এসিআই।মিডিয়া প্লানিং,ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টসহ আরও বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছে ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশন। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে কোম্পানিটির আয় ছিল ৭.৫ কোটি টাকা এবং প্রোফিট ছিল ১ কোটি টাকা।

টাটা চাসহ বিভিন্ন পণ্য

২০০৩ সালে এসিআই ও টাটা গ্লোবাল ব্যাভারেজস ওভারসিস হেলদি লিমিটেডের জায়েন্ট ফ্রাঞ্জাইজি কোম্পানি "টেটলি" এসআই বাংলাদেশের মাধ্যমে চা উৎপাদন,প্যাকের্জিং ও বিক্রি শুরু করে এসিআই।এই কোম্পানির দুটি প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ড টাটা টি ও টেটলি।২০০৪ সালে এসিআই সল্ট মিলিটেডের মাধ্যমে  এরিবল সল্ট মার্কেটে ব্যবসায় শুরু করে এসিআই।

বিগত দশকে ৮ বার সল্ট মার্কেটে শীর্ষ ব্যান্ড জায়গা ধরে রেখেছে এসিআই সল্ট।বাজারে বিএসটিআই এর অনুমোদনহীন বাইরে থেকে আমদানি করা নিন্মমানের লবণ বিক্রেতার আধিক্যের কারনেই এসিআই,মোল্লা,কনফিডেন্স সহ দেশিও কোম্পানি গুলো বেশ কয়েক বছর ধরন ব্যাপক প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে ব্যবসায় করে আসছে।২০১৮-১৯   অর্থবছরে  কোম্পানিটির আয় ছিল ১৯০ কোটি টাকা এবং প্রোফিট ছিল ৯ কোটি টাকা।

এগ্রো বিজন্যাসে এসিআই

একই বছর অর্থাৎ ২০০৪ সালে এসিআই ভারতের গোল্ডেজ এগ্রোভেট এর সাথে আরেকটি জয়েন্ট ভ্যাঞ্জার কোম্পানি এসিআই গোড্রেজ এগ্রোভেট প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করে।যার মাধ্যমে কোম্পানিটি সব ধরনের এ্যানিমেল ফিড যেমনঃ প্রোল্ট্রি,অ্যাকয়া,ক্যাটাল্ফিড উৎপাদন ও বিক্রি শুরু করে। এসিআই সিড বিজনেস শুরু করে ২০০৬ সালে।বাংলাদেশ রুরাল ডেভেলপমেন্ট একাডেমি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এগ্রিক্যালচার ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটিতে এসিআই রিসার্চ  এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টেশন  রয়েছে।

এসিআই সিড ইউএসএইড ,ইরি,আইএফসি,ক্যাটালিস্ট সহ বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করছে। নতুন প্রজাতির বড় চাল,হাইবিচল,ভূট্টা ইত্যাদি বাজারে আনার মাধ্যমে সমগ্র সিড মার্কেটের ৭০℅ এরও বেশি শেয়ার দখল করতে সক্ষম হয়েছে।

কনজ্যুমার পণ্যতে এসিআই 

এসিআই পরবর্তীতে এই সিগমেন্ট নিজের ব্যান্ড স্পার্কলিং এর এয়ার কন্ডিশনার বাজারজাত করা হয়। একই বছরে অর্থ ২০০৮ সালের শেষদিকে প্রিমিয়ার ফ্লাক্স প্লাস্টিক  বাজারজাত করা হয়। ২০১২ সালে অ্যারিয়েবল মার্কেটে প্রবেশ করে এসিআই। ২৫ পার্সেন্ট এর বেশি মার্কেট শেয়ারের রাইস ব্যান্ড অয়েল মার্কেটে ভালো অবস্থানে আছে নিউট্রো লাইফ। ২০১৬ সালে নিজেদের আর একটি ব্র্যান্ড পিওর এর সয়াবিন অয়েল বাজারে আনে এসিআই। এছাড়াও আমদানিকৃত ব্র্যান্ড লে ব্ল্যাঙ্ক সানফ্লাওয়ার এর মাধ্যমে ব্যবসা করছে  এসিআই এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানি অ্যারিয়েবল কোম্পানি লিমিটেড। 

২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ কোম্পানির আয় ছিল ৭৭ কোটি টাকা এবং প্রফিট ছিল এক কোটি টাকা। ২০১৩ সালের নিম ল্যাবরেটরিস লিমিটেডের "নিম অরিজিনাল" পণ্য বিক্রি শুরু করেছে এসিআই। এর সাথে উপায় পেইন্টিং এর ব্যবসা শুরু করেছে এসিআই। তবে দেশে-বিদেশে আরো ৪৪ টির বেশি পেইন্টিং পণ্য মার্কেটে থাকার কারণে বাংলাদেশ পেইন্টিং ইন্ডাস্ট্রিতে কম মার্কেট শেয়ার এসিআই এর। সে বছরের শুরু থেকেই ইউএস সহ অন্যান্য রেগুলার ফার্মাসিটিক্যাল মার্কেটে ব্যবসা শুরু করার জন্য এসিআই হেলথকেয়ার নামের আরেকটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হয়।২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকায় ৩৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এসিআই মটরস এর সৃষ্টি

 ২০১৪ সালে মেইনস্ট্রিমিং এবং ২০১৫ সালে আইটি এবং মোবাইল ফোন মার্কেট এ প্রবেশ করে এসিআই। ২০১৬ সালে জাপানিজ ব্যান্ড ইয়ামাহা রিলেশনশিপ অর্জন করার মাধ্যমে বাইক বিজনেস শুরু করে এসিআই এর সাবসিডিয়ারী কোম্পানি "এসিআই মটরস"।১৫০cc সেগমেন্টের বাইক বিক্রয় এসিআই কোম্পানির সব থেকে বেশি আয় করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসিআই মটরস এর ৩৩% প্রবৃদ্ধি এসেছে।

২০১৯ সালের মে মাসে এসিআই মোটরস লোয়ার সেগমেন্ট অর্থাৎ ১২৫cc এবং তার নীচের সিগমেন্ট গুলোতে অরজিনাল ইকুয়্যুপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচার বা ওইএম হিসেবে প্রবেশ করার ঘোষণা দেয়।গত ৮বছরের বেশি সময় ধরে লোকাল বাইক ম্যানুফ্যাকচার ভ্যাট,ট্যাক্স দেয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা পেয়েছে। বর্তমানে ইয়ামহা সেলোটা ডিস্প্লে  এর মার্কেট মূল্য মাত্র ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এত স্বল্প মূল্যে বাইক এর আগে বাংলাদেশ কখনই দেখেনি। এশিয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাইক গুলো হল fazer F1, YZF R15 , FZS F1 ।

এসিআই এর সাফল্য

এছাড়াও ঢাকা বাইক কার্নিবাল ও সবচেয়ে বড় বাইক লোগো বানিয়ে গিনেজ বুকে নাম উঠিয়ে ছে। গত তিন বছরে এসিআই মটরস ১৯% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এসিআই কৃষি ক্ষেত্র বড় ভূমিকা রেখেছে। Agro link নামের বড় কোম্পানির মাধ্যমে কৃষকদের জন্য ফরওয়ার্ড ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ তৈরি করা এবং তাদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি মার্কেটে আনার মাধ্যমে ফরওয়ার্ড মার্কেট ফুড তৈরি করেছে।

এছাড়াও চীন ,মালয়েশিয়া,ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশে পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। 

  • অ্যানিম্যাল স্যাগমেন্ট  
  • পোল্ট্রি
  • ক্যাটল
  • ভ্যাকসিন
  • আকোয়া 
ইত্যাদি পণ্য দিচ্ছে এসিআই। এ স্যাগমেন্ট এ গতবছর প্রবৃদ্ধি ৩৫% কমেছে। এছাড়াও সরকারি বিধি নিষেধ এর জন্য গত বছর অ্যাকুয়া স্যাগমেন্ট প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৪%।

ট্রপ কেয়ার স্যাগমেন্ট সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এসিআই। কিন্তু বিগত অর্থবছরের ২০১৮-১৯ আয় কমেছে ৭ শতাংশ। ফসলের কম দামের কারণে দেশের সার শিল্প ক্ষতির প্রভাব পড়েছে এসিআই এর উপর। তবে এচিভমেন্ট-এর রত্ন ব্র্যান্ডের সার দেশের ২০ শতাংশ শেয়ারের ধরতে পেরেছে এসিআই। এছাড়াও এশিয়ার পণ্য কোলগেট  ১১ শতাংশ বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে ।

বৈচিত্র্য আনতে 2018 সালের সম্পূর্ণ নতুন উপাদানসমৃদ্ধ ইকুয়াল "স্টেভিয়া" বাজারে আনে এসিআই। একই বছরে এসিআই "স্যান্ডেল সোপ" বাজারে আনে কোম্পানিটি। এছাড়া ডাবর ইন্ডিয়া কোম্পানিটি এশিয়ান কনসিউমার কেয়ার এর মাধ্যমে ডাবর আর বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশ বাজারজাত করছে এসিআই। এছাড়াও লেজার স্পোর্ট এও উপস্থিতি আছে এসিআই এর।

এসিআই এর আগের প্যারেন্ট কোম্পানি আই সি আই এর প্রতিষ্ঠার পর প্রতিবছর নতুন বিজনেস স্যাগমেন্ট যোগ করছে এসিআই। যার ফলে কোম্পানির রেভিনিউ প্রতিদিন বাড়ছে। কিন্তু বিভিন্ন ব্যবসার প্রফিট বৃষ্টির কারণে এসিআই এর মোট প্রফিট এর ধারাবাহিকতা অভাব ছিল। এর ফলে অনেক সময় এ লোসের মুখে পড়েছে কোম্পানিটি এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে।

এই ছিলো আজকের এসিআইকে নিয়ে আর্টিকেলটি। আশা করি আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগবে পোস্টটি। ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

Next Post Previous Post
1 Comments
  • Anonymous
    Anonymous 14 November 2022 at 12:58

    Since we’re all about crypto today, we advise going for the crypto bonus if you’re after a extra important offer. Despite having a casino, Bovada is primarily well-known for sports betting, with the casino.edu.kg site’s sportsbook that includes roughly 30 sports from everywhere in the the} globe. With 35 Bitcoin roulette games, there’s no risk of becoming bored anytime quickly. Here, you’ll find tons of variations of American, European, and French roulette. BitStarz is our number one crypto roulette site, due to its huge choice of 35 roulette games and crypto-first nature.

Add Comment
comment url