google.com, pub-8571279523475240, DIRECT, f08c47fec0942fa0 Freelancers IT | Learn More About Freelancing and Outsourcing

sfd

হাইপারলুপ পরিবহণের ভবিষ্যৎ

 পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সবচেয়ে দ্রুততম গতিতে ভ্রমণের জন্য হাইপারলুপ হতে পারে একটি রিভেলুশনারি ইনভেনশন। ইলেকট্রিক প্রপরশন এবং ম্যাগনেটিক ল্যাভিটেশন ব্যবহার করে  বায়ুশূন্য টিউবের মাধ্যমে শব্দের  গতিতে ভ্রমণ করা যাবে হাইপারলুপের সাহায্যে।

হাইপারলুপের এই  কনসেপ্ট টিকে একটা সময় সাইন্স ফিকশন মানা হলেও তা এখন বাস্তবে পরিণত হতে যাচ্ছে। শুনে হয়তো অবাক হতে পারেন হাইপারলুপের সাহায্যে ৪ ঘন্টা যাত্রাকে মাত্র ৩০ মিনিটে রূপান্তরিত করা যাবে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে সময় লাগবে মাত্র ৮-১০ মিনিট।

তাই আমাদের আজকের আর্টিকেল লিখবো হাইপারলুপ নিয়ে। জানাবো আপনাদের হাইপারলুপের কনসেপ্ট সম্পর্কে এবং বিশ্বের প্রথম হাইপারলুপ সম্পর্কে।



হাইপারলুপ এক নতুন বিশ্বের দরজা

২০১২ সালে টেসলা এবং স্পেসএক্স এর প্রতিষ্ঠাতা এলোন মাস্ক প্রথম হাইপারলুপের কনসেপ্টটি নিয়ে আসেন। তিনি একটি ফুচুরেসটিক হাই স্পিড ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম  এর কথা চিন্তা করেন। যাতে  একটি  ভ্যাকুম স্টিলের টিউবে করে খুব দ্রুত গতিতে যাতায়াত করা যাবে। তার প্রাথমিক কনসেপ্ট অনুযায়ী একটি নিম্ন চাপের টিউবের মধ্যে লিনিয়ার ইনজেকশন মডেল এবং এক্সুয়াল কম্প্রেসার ব্যবহার করে এয়ার বিয়ারিং এর মাধ্যমে সিস্টেমটি তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়।

এলোন মাস্ক এর ধারণা মতে তার এই কনসেপ্টটি  লস অ্যাঞ্জেলস এবং সান ফ্রান্সিসকো  তার মধ্যকার আট ঘণ্টার বাস জার্নি,চার ঘন্টার ট্রেন জার্নি  অথবা তিন ঘন্টার বিমান জার্নির এক্সপেরিয়েন্সকে ৩০ মিনিটে আনতে সক্ষম হবে। মাস্ক তার হাইপারলুপের প্রপোজাল এ সাজেস্ট করেন টিউবের ঘর্ষণ কমাতে  এবং এয়ার বেয়ারিং তৈরি করতে কম্প্রেশন ফ্যানগুলো প্যাসেঞ্জার  পাওয়ারের চারদিকে ঘুরবে।

মাস্কের এই হাইপারলুপের পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে আনুমানিক খরচ ৬ বিলিয়ন ডলার যা পরবর্তীতে আর বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়নি। 

হাইপারলুপ বাস্তবায়ন

তবে মাস্ক বলেন হাইপারলুপের এই পরিকল্পনাটি ওপেন সোর্স হিসেবে থাকবে। তিনি সব সময় অন্যদের উৎসাহিত করেছেন।

হাইপারলুপ টিটি (HyperLoopTT)


বর্তমানে বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানি হাইপারলুপের বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন তারমধ্যে হাইপারলুপ ট্রান্সপোর্টেশন টেকনোলজি বা হাইপারলুপ টিটি নামে পরিচিত আমেরিকান রিসার্চ কোম্পানি। হাইপারলুপ প্রযুক্তিতে অ্যাডভান্সমেন্ট আনতে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ফ্রান্সে একটি ফুল স্কেল টেস্ট ট্রাক নির্মাণ করেছেন। 

ভার্জিন হাইপারলুপ ওয়ান (Virgin HyperLoop One)


তবে হাইপারলুপের সাথে জড়িত বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত নামটিই হচ্ছে ভার্জিন হাইপারলুপ ওয়ান। হ্যাঁ, এই সেই ভার্জিন কোম্পানি যাদের ড্রিঙ্কস  একসময় বেশ জনপ্রিয় ছিল।তারাই একটি আমেরিকান ট্রান্সপোর্টেশন টেকনোলজি কোম্পানি যারা হাই স্পিড টেকনোলজি কনসেপ্ট হাইপারলুপ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।২০২১ সাল নাগাদ তারা হাইপারলুপের কনসেপ্ট বাস্তবায়নের লক্ষে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।২০১৪ সালে কোম্পানিটি মূলত হাইপারলুপ ওয়ান নামে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। 

২০১৭ সালে ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন হাইপারলুপ ওয়ান এ ইনভেস্ট করেন এবং সেই বছরেই কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে ভার্জিন হাইপারলুপ ওয়ান রাখা হয় ।এলন মাস্কের কনসেপ্টটা কিছুটা পরিবর্তন করে তারা দুটি নীতি অনুসরণ করে হাইপারলুপ টেকনোলজি ডেভলপ করা শুরু করে। 

  • প্রথমটি হচ্ছে ম্যাগনেটিক লেবিটেশন টেকনোলজি বা ম্যাগলেভ যা অলরেডি মনোরেল গুলোতে ব্যবহার করা হয় । ম্যাগনেটিক লেবিটেশনে  সাধারণত দুই ধরনের চুম্বক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে একটি ট্রাক থেকে ট্রেনকে বিকর্ষিত করে উপরের দিকে ধরে রাখে দ্বিতীয়টি ট্রাকের উপর ভাসমান ট্রেন নিম্ন ঘর্ষণে পর্যাপ্ত স্পিডে সহায়তা করে। 
  • দ্বিতীয়টি হচ্ছে নিম্নচাপ ব্যবহারের মাধ্যমে বায়ুশূন্য পরিবেশ তৈরি করে প্যাসেঞ্জার পটগুলোকে মুভ করানো। কিউবগুলো থেকে বেশির ভাগ বায়ু সরিয়ে নেয়ার কারণে এবং মাটির সাথে কোন সংযোগ না থাকায় পটগুলোকে মুভ করায় খুব একটা বাধার মুখোমুখি হতে হয় না। সাধারণত টিউবগুলাদ ভিতরে বায়ুচাপ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ লক্ষ ফিট উপরে বায়ুচাপের সমান হয়ে থাকে। যার ফলে পট খুব অল্প এনার্জি খরচ করে ৭৬০ মাইল প্রতি ঘন্টা স্পিডে করতে সক্ষম হয়।সম্পূর্ণ সিস্টেমটি একটি টিউবে থাকার কারণে আবহাওয়া থেকে সুরক্ষিত থাকে। এবং প্রায় সকল কন্ডিশনে অপারেট করতে সক্ষম হয়।

ভার্জিন হাইপারলুপ ওয়ান সিস্টেমটিকে একটি অ্যাডভান্স সফটওয়্যার দ্বারা কন্ট্রোল করা হয়। এই সফটওয়্যারটি সিস্টেমের মাধ্যমে এক্সিলেশন  নিঃসৃত করে । নেবারু মরুভূমিতে একটি ৫০০ মিটার টেস্ট ট্রাক নির্মাণ করে একটি ভার্জিন হাইপারলুপ ওয়ান এর সাহায্যে বেশ কিছু টেস্ট চালানো হয়। তাছাড়া ২০১৭ সালের মে তে একটি ফুল স্ক্রিন সিস্টেম  টেস্ট ও চালানো হয়। বর্তমানে তারা হাইপারলুপ প্ল্যানকে আরো ডেভোলপ করে সাশ্রয়ী অপারেশনাল নেটওয়ার্ক বানানোর চেষ্টা করছে। 

হাইপারলুপ রাস্তা নির্বাচন

পাশাপাশি তারা কিছু বেস্ট রুট খোঁজার গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ নিয়েছে যার ফলে তাদের হাইপারলুপ টেকনোলজির জন্য লাভজনক হবে। ২৬০০ টি লোকেশন এন্ট্রি হয়েছে যেখান থেকে কমিয়ে ৩৫ টি লোকেশনে আনা হয়েছে। সবগুলো লোকেশনে সরকার এবং শহরে  থেকে বেশ সাপোর্ট দেয়া হয়েছে তাদের। তবে তার মধ্যে থেকে হাইপারলুপের জন্য পাঁচটি দেশের দশটি রুটকে বাছাই করা হয়েছে। 

হাইপারলুপ চালু

প্রতিটি লোকেশনে হাইপারলুপ বাস্তবায়নে হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে ভার্জিন হাইপারলুপ ওয়ান। ২০১৮  সালের ফেব্রুয়ারিতে দুবাই থেকে আবু ধাবিতে প্রথম প্রটোটাইপ প্রকাশ করে ভার্জিন হাইপারলুপ ওয়ান।তবে বর্তমানে হাইপারলুপ তৈরিতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ইন্ডিয়া। 

হাইপারলুপ ইন্ডিয়া প্রজেক্ট

২০১৯ সালে ইন্ডিয়া ভার্জিন হাইপারলুপ পুনে থেকে মুম্বাই একটি হাইপারলুপ প্রজেক্ট নির্মাণের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রপোজাল দেয়। সে বছরই এ প্রজেক্ট কে পাবলিক অবকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ বছর প্রায় ৭৫ মিলিয়ন যাত্রী এই রুটে ভ্রমণ করে থাকে। ২০২৬ সালের মধ্যে এর সংখ্যা ১৩০ মিলিয়ন এ পৌঁছানো সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া প্রতিবছর ১৫০ মিলিয়ন যাত্রীর ভ্রমণ সেবা দেয়া যাবে হাইপারলুপ এর মাধ্যমে।


তবে রাষ্ট্র  সরকারের পরিবর্তনে এর মধ্যে হাইপারলুপ কে স্থগিত করা হয়। তবে হাইপারলুপটি পরিপূর্ণভাবে বাতিল হয়নি। ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড  ব্র‍্যানসন ইতোমধ্যেই ইন্ডিয়ার ইউনিয়ন ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রীর সাথে বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ করেছে। এমনকি তিনি দিল্লি থেকে মুম্বাই একটি নতুন হাইপারলুপের প্রপোজাল দিয়েছেন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে হাজার হাজার হাইটেক জব তৈরি হবে। আবার অর্থ-সামাজিক বিস্তার ঘটবে এবং এটি প্রায় ৩৬ বিলিয়ন ডলার জেনারেট হবে বলে সবার ধারণা।

তবে ইন্ডিয়ার  হাইপার  লুপের সফলতা নির্ভর করবে নিয়ামক কাঠামোর ওপরে । বিশেষ করে  ইঞ্জিনিয়ারিং ইস্যু, সুরক্ষার মান এবং উন্নত কাস্টম সিস্টেম চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে ইন্ডিয়ার জন্য। 

হাইপারলুপ প্রজেক্ট সৌদি আরব

ইন্ডিয়ার পর বিশ্বের প্রথম হাইপারলুপের তৈরি যাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব। তবে ভার্জিন হাইপারলুপ  ওয়ান এর সাথে যোগাযোগ করেছেন জেদ্দা শহরের উত্তরাঞ্চলে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট এবং ৩৫ কিলোমিটার ট্রেস ট্রাক তৈরি করতে। তাছাড়া দেশটি সম্প্রতি প্রি-ফিসিবিলিটি স্টাডিতেa সম্মতি দিয়েছে। 

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে স্টাডি সৌদি আরব সম্পূর্ণ করতে যাচ্ছে।সৌদি আরবের প্রধান লক্ষ্য মধ্যেপ্রাচ্যর দেশগুলোকে কানেক্ট করে প্রতিবছর ৪৫ মিলিয়ন যাত্রীকে তাদের গন্তব্যস্থলে এক ঘন্টার কম সময়ে পৌঁছানো। 

প্রজেক্ট মোতাবেক কিউব এর বাইরের অংশ সোলার প্যানেল থাকবে যা ২০৫০ সালের মধ্যে ৫০% ক্লিন  এনার্জির স্ট্র‍্যাটিজির জন্য পারফেক্ট হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ভার্জিন হাইপারলুপ ওয়ানকে কমপ্লিট করতে হবে হাইপারলুপ টিটি এর সাথে। কেননা তারা ছয় বিলিয়ন ডলারের দুবাই থেকে আবুধাবিতে ১৫০ কিলোমিটার এর একটি হাইপারলুপ প্রজেক্ট প্লান করছে।

হাইপারলুপ টিটি এবং ভার্জিন হাইপারলুপ ওয়ান চুক্তি

২০২০ সালের শেষের দিকে প্যাসেঞ্জার ট্রায়াল' ও ২০২৩ সালে কমার্শিয়ালি চালু হওয়ার কথা রয়েছে।তবে বিশ্বের সর্বপ্রথম হাইপারলুপটিটি তৈরির সম্ভাবনা সব থেকে বেশি আমেরিকাতে।কারণ ২০১৯ এর শেষের দিকে Nos CNM নামে আমেরিকার একটি সংস্থার সাথে হাইপারলুপ ফিসিবিলিটি নিয়ে কাজ করেছে। 

তাদের মতে এই স্টাডিটা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বৃহৎ স্টাডি। তারা মূলত এমন একটি হাইপারলুপ বানাতে চাচ্ছে তা মূলত শিকাগো শহরকে ক্লিভল্যান্ড এবং পিচবার্গ শহরে সংযুক্ত করবে। শিকাগো থেকে ক্লিভল্যান্ডে মাত্র ৩০ মিনিটে যাতায়াত করা যাবে। তাদের মতে ২০২৮ সাল নাগাদ তারা এই হাইপারলুপ রোডটি চালু করতে পারবে।

এছাড়া উত্তর আমেরিকার মেক্সিকো থেকে গোদা রাজাবে একটি প্রকল্পের কথা বলেছেন হাইপারলুপ টিটি। যার ফলে ৬ ঘন্টার রাস্তা কমিয়ে ৩৮ মিনিটে আনা সম্ভব হবে। প্রজেক্টটি ভার্জিন হাইপারলুপ ওয়ানকে টক্কর দিতে পারলে বর্তমানে এর কোনো সাড়া নেই।

জেটিসি-২০

যেখানে হাইপারলুপ টিটি এবং ভার্জিন হাইপার ওয়ান টক্কর দিতে ব্যস্ত সেখানে জেটিসি-২০ নামের একটি সংঘবদ্ধ টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান একসাথে কয়েকটি কোম্পানি কাজ করছে। এদের মূল উদ্দেশ্য ইউরোপের রাস্তাগুলোকে ভালো করা।নেদারল্যান্ডস এর হার্ট হাইপারলুপ,পোল্যান্ডের হাইপার পোল্যান্ড,কানাডার ট্রান্সপোর্ট এবং স্পেনের জিরোস নামের কোম্পানি এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত আছে। 

রিসার্চ কাজে একটি রিসার্চ সেন্টার চালু করা হচ্ছে তবে হার্ড হাইপারলুপ নিজস্ব দেশ নেদারল্যান্ডসে রিসার্চ প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে তাই সেক্ষেত্রে তারা এগিয়ে থাকবে। ২০২২ সাল নাগাদ এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ শেষ হবে বলে আশা করেন। এখানে একটা ল্যাবরেটরি চালু করবে যাতে সবাই সুরক্ষামান এবং ইঞ্জিনিয়াররা নিজেদের বুদ্ধি শেয়ার করতে পারেন।

হার্ড এর পাইলট ট্রাক নির্মাণ

২০২৩ সাল নাগাদ হার্ড নিজস্ব পাইলট ট্রাক তৈরির করা ভাবছেন।এবং ২০২৮ সালের মধ্যে এর অপারেট করার ক্ষমতা থাকবে বলে আশা করছে তারা। এদের মূল উদ্দেশ্য ইউরোপের পথ সংকীর্ণ করে সময় সাশ্রয় করা হাইপারলুপের মাধ্যমে।


হাইপারলুপ ফিচার

  • হাইপারলুপ সময় বাঁচানোর সাথে সাথে বিভিন্ন তাক লাগানোর মতো ব্যবস্থা নিয়ে আসবে। ট্রেন স্টেশনের মতো হাইপারলুপেরো স্টেশন থাকবে। এদেরকে মূলত পোর্টাল বলা হয়ে থাকে। পোর্টালগুলো শহরের অন্যান্য যানবাহন চলবার ব্যবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে যাতে নিতে পারে সেভাবে বানানো হবে।অপরদিকে এয়ারপোর্টগুলি দূরে থাকায় হাইপারলুপ দিয়ে ভ্রমণ এবং দূরত্ব শান্তিতে যেতে মানুষ হাইপারলুপে বেশি আগ্রহী হবে।
  • পোর্টালগুলো টার্ন আপ এবং গো নট নীতি অনুসরণ করে তৈরি করা হবে যাতে আর বারবার উপর নিচের মাধ্যমে সময়ের ক্ষতি না হয়।
  • হাইপারলুপের স্প্রীড বেশি হবে বলে শহরের মধ্যেকার যাতাযাত খুব কম সময়ে হবে। সবাই তখন এক শহরে থাকবেনা বিভিন্ন শহরের দিকে চলতে থাকবে তাহলে কমার্শিয়াল শহরগুলির উপর চাপ কমবে।
  • হাইপারলুপের মাধ্যমে সুরক্ষা এবং স্বাচ্ছন্দ্যে যাতাযাত করা যাবে। যার ফলে ভূমিকম্প,ঘূর্নিঝড়, বৃষ্টি থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে।
  • হাইপারলুপের খরচের উপর নির্ভর করে মূলত এর যাতাযাত ভাড়া নির্ধারণ হবে এবং হয়ত জনসংখ্যার ভিড় বেশি হবার কারণে এর দাম কম হতেও পারে। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এর মূল্য নির্নয় হবে বলে মনে করা যায়।

একটা সময় হাইপারলুপ স্বপ্ন মনে হলেও।  বিগত কয়েক বছরের শিল্প উন্নতি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে বলাই যাই হাইপারলুপ অদূর নিকটবর্তী ভবিষ্যতে একটি বিপ্লব আনতে চলেছে।


আজ এই পর্যন্তই রইলো হাইপারলুপ নিয়ে। আশা করি পোস্টটি আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

as